০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটে পানি কমছে ধীরে, দুর্গত এলাকায় ভোগান্তি চরমে

বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমলেও সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি কমছে ধীরে। তবে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর চারটি পয়েন্টে পানি এখনো বিপৎসসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যা ছয়টায় সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১০৪ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৮ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে জেলার অন্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করছে।


সর্বশেষ খবর বাঙালনিউজ এর গুগল নিউজ চ্যানেলে


এদিকে নদনদীর পানি কমলেও নদীর তীরবর্তী উপজেলার প্লাবিত এলাকাগুলোর বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। জেলার ১ হাজার ১৩৯টি গ্রাম প্লাবিত রয়েছে। এতে প্রায় ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিনযাপন করছে। দুর্গত এলাকায় খাবার, বিশুদ্ধ পানি, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।

সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে সাড়ে ৫ লাখ ৮৮ হাজার ২৮৭ জন মানুষ পানিবন্দী। বর্তমানে জেলার ১ হাজার ১ শ ৩৯টি গ্রাম প্লাবিত। আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন ৯ হাজার ৮৩১ জন। বন্যাকবলিত বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণসহায়তা অব্যাহত আছে।

সিলেটে পানি কমছে ধীরে, দুর্গত এলাকায় ভোগান্তি চরমে

প্রকাশিত: ০৯:০১:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমলেও সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি কমছে ধীরে। তবে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর চারটি পয়েন্টে পানি এখনো বিপৎসসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যা ছয়টায় সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১০৪ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৮ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে জেলার অন্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করছে।


সর্বশেষ খবর বাঙালনিউজ এর গুগল নিউজ চ্যানেলে


এদিকে নদনদীর পানি কমলেও নদীর তীরবর্তী উপজেলার প্লাবিত এলাকাগুলোর বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। জেলার ১ হাজার ১৩৯টি গ্রাম প্লাবিত রয়েছে। এতে প্রায় ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিনযাপন করছে। দুর্গত এলাকায় খাবার, বিশুদ্ধ পানি, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।

সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে সাড়ে ৫ লাখ ৮৮ হাজার ২৮৭ জন মানুষ পানিবন্দী। বর্তমানে জেলার ১ হাজার ১ শ ৩৯টি গ্রাম প্লাবিত। আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন ৯ হাজার ৮৩১ জন। বন্যাকবলিত বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণসহায়তা অব্যাহত আছে।