১১:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ড. ইউনূসকে শেখ হাসিনা

‘একজন নোবেলজয়ী সামান্য এমডি পদের জন্য লালায়িত কেন’

ছবি: সংগৃহীত

পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি ব্যাংকের এমডির পদ নিয়ে যত সমস্যা। নামি দামি নোবেল লরিয়েট সামান্য এমডি পদের জন্য লালায়িত কেন? এই পদে কী মধু আছে? তবে তা শ্রমিকদের মামলা আর অডিট রিপোর্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগের জন্য এডিবি, বিশ্বব্যাংকের মতো বিদেশি অনেক সংস্থাই এগিয়ে এসেছিল। কিন্তু একটি ব্যাংকের এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) পদের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ আটকে যায়। এই পদ নিয়েই যত সমস্যা। ব্যাংকের আইন অনুযায়ী একজন ২০ বছর পর্যন্ত এমডি থাকতে পারবে। ইতোমধ্যে তার বয়স ৭০ হয়ে গেছে। অতিরিক্ত সময় থেকে ফেলেছেন। তাহলে সে আর ব্যাংকের এমডি পদে থাকেন কীভাবে। একজন নোবেল বিজয়ী সামান্য এমডির জন্য এত লালায়িত কেন? এই প্রশ্নের উত্তর কখনো পেলাম না।’


সর্বশেষ খবর বাঙালনিউজ এর গুগল নিউজ চ্যানেলে


ড. ইউনূস এমডি পদ টেকানোর জন্য দেশি-বিদেশি শক্তি কাজে লাগিয়েছেন দাবি করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এই পদের জন্য বড় বড় দেশের অ্যাম্বাসেডর আমার অফিসে এসে আমার অফিসারদের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলে। তাদের বলে এমডির পদ না থাকলে বিদেশি অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাবে। এমডির পদের জন্য হিলারি ক্লিনটন, শেরি ব্লেয়ার আমাকে ফোন করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এলো। আমি শুধু তাদের বলেছি- এই এমডি পদে কী মধু আছে?’

হিলারি ক্লিনটন টেলিফোনে ২০ মিনিট ধরে অনুরোধ করেছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পরে ড. ইউনূসকে নিয়ে কোনো মার্কিনীর কথা শুনব না, দেখাও করব না, বলে দিয়েছিলাম তাদের। এমডি পদে থাকতে পারল না বলে হিলারি ক্লিনটনের মাধ্যমে সেতুর টাকা বন্ধ করল। মালয়েশিয়া সরকার পদ্মা সেতুতে টাকা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেদের টাকায় করেছি এটা।’

পদ্মা সেতু নির্মাণে কোনো দুর্নীতি হয়নি দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রকল্পের টাকায় এক পয়সাও দুর্নীতি হয়নি। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যা বলেছে সব ভুয়া, ভিত্তিহীন। এটা ফেডারেল কোর্টের রায়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাবা কখনো কারও কাছে মাথা নত করেনি, আমিও কারও কাছে মাথা নত করি না। ক্ষমতায় থাকি আর না থাকি, দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় থাকার মানুষ আমি না।’

সূত্র: ঢাকা মেইল

ড. ইউনূসকে শেখ হাসিনা

‘একজন নোবেলজয়ী সামান্য এমডি পদের জন্য লালায়িত কেন’

প্রকাশিত: ০৭:২৮:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪

পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি ব্যাংকের এমডির পদ নিয়ে যত সমস্যা। নামি দামি নোবেল লরিয়েট সামান্য এমডি পদের জন্য লালায়িত কেন? এই পদে কী মধু আছে? তবে তা শ্রমিকদের মামলা আর অডিট রিপোর্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগের জন্য এডিবি, বিশ্বব্যাংকের মতো বিদেশি অনেক সংস্থাই এগিয়ে এসেছিল। কিন্তু একটি ব্যাংকের এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) পদের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ আটকে যায়। এই পদ নিয়েই যত সমস্যা। ব্যাংকের আইন অনুযায়ী একজন ২০ বছর পর্যন্ত এমডি থাকতে পারবে। ইতোমধ্যে তার বয়স ৭০ হয়ে গেছে। অতিরিক্ত সময় থেকে ফেলেছেন। তাহলে সে আর ব্যাংকের এমডি পদে থাকেন কীভাবে। একজন নোবেল বিজয়ী সামান্য এমডির জন্য এত লালায়িত কেন? এই প্রশ্নের উত্তর কখনো পেলাম না।’


সর্বশেষ খবর বাঙালনিউজ এর গুগল নিউজ চ্যানেলে


ড. ইউনূস এমডি পদ টেকানোর জন্য দেশি-বিদেশি শক্তি কাজে লাগিয়েছেন দাবি করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এই পদের জন্য বড় বড় দেশের অ্যাম্বাসেডর আমার অফিসে এসে আমার অফিসারদের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলে। তাদের বলে এমডির পদ না থাকলে বিদেশি অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাবে। এমডির পদের জন্য হিলারি ক্লিনটন, শেরি ব্লেয়ার আমাকে ফোন করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এলো। আমি শুধু তাদের বলেছি- এই এমডি পদে কী মধু আছে?’

হিলারি ক্লিনটন টেলিফোনে ২০ মিনিট ধরে অনুরোধ করেছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পরে ড. ইউনূসকে নিয়ে কোনো মার্কিনীর কথা শুনব না, দেখাও করব না, বলে দিয়েছিলাম তাদের। এমডি পদে থাকতে পারল না বলে হিলারি ক্লিনটনের মাধ্যমে সেতুর টাকা বন্ধ করল। মালয়েশিয়া সরকার পদ্মা সেতুতে টাকা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেদের টাকায় করেছি এটা।’

পদ্মা সেতু নির্মাণে কোনো দুর্নীতি হয়নি দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রকল্পের টাকায় এক পয়সাও দুর্নীতি হয়নি। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যা বলেছে সব ভুয়া, ভিত্তিহীন। এটা ফেডারেল কোর্টের রায়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাবা কখনো কারও কাছে মাথা নত করেনি, আমিও কারও কাছে মাথা নত করি না। ক্ষমতায় থাকি আর না থাকি, দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় থাকার মানুষ আমি না।’

সূত্র: ঢাকা মেইল