০৭:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩ দফা দাবিতে সিমেবি কর্মচারীদের গণসাক্ষর কর্মসূচি

৩ দফা দাবিতে ‘গণসাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি’ পালন করেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত ‘সিমেবি কর্মচারী পরিষদ’ এ কর্মসূচীর ডাক দেয়।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামন থেকে এ কর্মসূচী শুরু হয়ে একটানা চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত।

প্রথম দিনে স্বাক্ষর দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৭০ জন কর্মচারী। আগামীকাল সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচী চলবে।

সূত্র জানায়, প্রায় এক বছর যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। নানা জটিলতার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুই দফায় জনবল নিয়োগের সার্কুলার আবেদন করলেও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি।

এদিকে নানা জটিলতার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ এ এইচ এম এনায়েত হোসেন।

অন্যদিকে দীর্ঘদিন যাবত বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন এখানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বেতন-ভাতা নিয়মিত করণ ও চাকুরি স্থায়ী করণের দাবি জানিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের সাথে সাক্ষাৎ করলেও তিনি কেবল আশ্বস্তই করে যাচ্ছেন।

সিমেবি কর্মচারী পরিষদ এর সদস্য সচিব নাদিম সীমান্ত রোববার বেঙ্গলনিউজকে জানান, ৩ দফা দাবি আদায়ে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ‘গণসাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি’ পালন করছি। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত আমাদের এ কর্মসূচী চলবে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমারা একের পর এক কর্মসূচি চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

তিন দফা দাবিগুলো হলো-

১. নিঃশর্তে সকল পর্যায়ের কর্মচারীদের চাকুরী স্থায়ী করণ করতে হবে।

২. প্রায় ১ বছর যাবত বেতন বন্ধ থাকায় কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই অনতিবিলম্বে সকল বকেয়া বেতন-ভাতাদি পরিশোধসহ বেতন-ভাতা নিয়মিত করণ করতে হবে।

৩. কর্মস্থলে কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবিলম্বে নিজস্ব স্থায়ী জায়গায় স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বিষয়

৩ দফা দাবিতে সিমেবি কর্মচারীদের গণসাক্ষর কর্মসূচি

প্রকাশিত: ১১:০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

৩ দফা দাবিতে ‘গণসাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি’ পালন করেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত ‘সিমেবি কর্মচারী পরিষদ’ এ কর্মসূচীর ডাক দেয়।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামন থেকে এ কর্মসূচী শুরু হয়ে একটানা চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত।

প্রথম দিনে স্বাক্ষর দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৭০ জন কর্মচারী। আগামীকাল সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচী চলবে।

সূত্র জানায়, প্রায় এক বছর যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। নানা জটিলতার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুই দফায় জনবল নিয়োগের সার্কুলার আবেদন করলেও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি।

এদিকে নানা জটিলতার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ এ এইচ এম এনায়েত হোসেন।

অন্যদিকে দীর্ঘদিন যাবত বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন এখানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বেতন-ভাতা নিয়মিত করণ ও চাকুরি স্থায়ী করণের দাবি জানিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের সাথে সাক্ষাৎ করলেও তিনি কেবল আশ্বস্তই করে যাচ্ছেন।

সিমেবি কর্মচারী পরিষদ এর সদস্য সচিব নাদিম সীমান্ত রোববার বেঙ্গলনিউজকে জানান, ৩ দফা দাবি আদায়ে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ‘গণসাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি’ পালন করছি। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত আমাদের এ কর্মসূচী চলবে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমারা একের পর এক কর্মসূচি চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

তিন দফা দাবিগুলো হলো-

১. নিঃশর্তে সকল পর্যায়ের কর্মচারীদের চাকুরী স্থায়ী করণ করতে হবে।

২. প্রায় ১ বছর যাবত বেতন বন্ধ থাকায় কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই অনতিবিলম্বে সকল বকেয়া বেতন-ভাতাদি পরিশোধসহ বেতন-ভাতা নিয়মিত করণ করতে হবে।

৩. কর্মস্থলে কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবিলম্বে নিজস্ব স্থায়ী জায়গায় স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।