০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলতি মৌসুমে ছয়বার ডুবল সিলেট

টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ফের ডুবেছে সিলেট। গতকাল সোমবার রাত থেকেই নগরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এছাড়া জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুরসহ সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতেও আবারও বন্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত ২৫ ঘণ্টায় সিলেটে ২৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

সকালে সিলেট নগরের বেশ কিছু এলাকার সড়ক ও বাসাবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে নগরের মির্জাজাঙ্গাল, মণিপুরি রাজবাড়ি, তালতলা, জামতলা, কুয়ারপা শিবগঞ্জ, শাহজালাল উপশহর, হাওয়াপাড়া, যতরপুর, মেন্দিবাগ, তোপখানা, মজুমদারি, চৌকিদেখী, দক্ষিণ সুরমাসহ বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরের বাসিন্দারা।

এদিকে সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৪টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। নদীর ওই পয়েন্টে মঙ্গলবার বেলা ১২টায় বিপৎসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর অমলশিদে ৭৭, শেওলায় ২৩, শেরপুর ১৪ ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়া সারী গোয়াইন নদীর পানি গোয়াইনঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ০৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ৪৮ ঘণ্টায় ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে। সেখানে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া সিলেটেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টি ও ঢল নামা থামলে দ্রুত পানি নেমে যাবে।

এর আগে গত ২৮ মে থেকে ভারী বৃষ্টির ফলে প্রথম দফায় সিলেটজুড়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে গত ১৬ জুন আবার বন্যা পরিস্থিতিতে দুর্ভোগে পড়েন সিলেটের বাসিন্দারা। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে মঙ্গলবার পর্যন্ত ষষ্ঠবারের মতো জলাবদ্ধ পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন সিলেট নগরের বাসিন্দারা।

চলতি মৌসুমে ছয়বার ডুবল সিলেট

প্রকাশিত: ০২:৫২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ফের ডুবেছে সিলেট। গতকাল সোমবার রাত থেকেই নগরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এছাড়া জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুরসহ সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতেও আবারও বন্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত ২৫ ঘণ্টায় সিলেটে ২৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

সকালে সিলেট নগরের বেশ কিছু এলাকার সড়ক ও বাসাবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে নগরের মির্জাজাঙ্গাল, মণিপুরি রাজবাড়ি, তালতলা, জামতলা, কুয়ারপা শিবগঞ্জ, শাহজালাল উপশহর, হাওয়াপাড়া, যতরপুর, মেন্দিবাগ, তোপখানা, মজুমদারি, চৌকিদেখী, দক্ষিণ সুরমাসহ বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরের বাসিন্দারা।

এদিকে সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৪টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। নদীর ওই পয়েন্টে মঙ্গলবার বেলা ১২টায় বিপৎসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর অমলশিদে ৭৭, শেওলায় ২৩, শেরপুর ১৪ ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়া সারী গোয়াইন নদীর পানি গোয়াইনঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ০৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ৪৮ ঘণ্টায় ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে। সেখানে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া সিলেটেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টি ও ঢল নামা থামলে দ্রুত পানি নেমে যাবে।

এর আগে গত ২৮ মে থেকে ভারী বৃষ্টির ফলে প্রথম দফায় সিলেটজুড়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে গত ১৬ জুন আবার বন্যা পরিস্থিতিতে দুর্ভোগে পড়েন সিলেটের বাসিন্দারা। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে মঙ্গলবার পর্যন্ত ষষ্ঠবারের মতো জলাবদ্ধ পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন সিলেট নগরের বাসিন্দারা।