০৬:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আহত ৪

কাউন্সিলর আজাদের বাসায় হামলা-ভাঙচুর

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের বাসায় হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে চারজন আহত হয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে নগরীর টিলাগড় ভাটাটিকর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- আজাদুর রহমানের ভাইয়ের ছেলে তাহমিদুর রহমান এবং তার অনুসারী হীরক রঞ্জন দে পাপলু, ফয়ছল ও মুতাছির।

কাউন্সিলর আজাদের অনুসারীদের অভিযোগ, শেখ নজরুল ইসলাম ওরফে বিজয়, রাব্বী, রিয়াজুল, সুহেল, নাসির, সামাদসহ বেশ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে তার পৈতৃক ভিটায় হামলা চালান। পরে নগরের পূর্ব শাপলাবাগ এলাকায় কাউন্সিলরের নিজ বাসভবনেও হামলা চালিয়ে বাসার জানালার কাচ ভাঙচুর করা হয়।

একই সঙ্গে ওই রাতে আজাদের ঘনিষ্ঠ অনুসারী ও মহানগর যুবলীগের সদস্য শমশের আলীর বাসায়ও হামলা হয়েছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। খবর পেয়ে আজাদের অনুসারীরা জড়ো হলে তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন হামলাকারীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজাদুর রহমান আজাদের বাসায় হামলাকারীদের কেউ কেউ স্থানীয়ভাবে প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তবে আজাদের বাসায় হামলার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তার অনুসারীরা জড়ো হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া দেয়। ধাওয়ার মুখে হামলাকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর আজাদুর রহমান বলেন, ‘এলাকায় বিভিন্ন চাঁদাবাজি, হামলা-দখলবাজি চালিয়ে আসছে একটি চিহ্নিত মাদকসেবী চক্র। তাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী বিভিন্ন সময় আমার কাছে অভিযোগ করেছে। সেসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান ছিল। ওই ক্ষোভ থেকেই তারা হামলা চালিয়েছে। তিনি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।’

এ বিষয় জানতে চাইলে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি  শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘যারা হামলা করেছেন, তারা চোর-ডাকাত; কোনো গ্রুপের (দল) নন। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমি সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেছি। আজাদুর রহমানের সাথেও আমার কথা হয়েছে।’

সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য জানান, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ করছে। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আহত ৪

কাউন্সিলর আজাদের বাসায় হামলা-ভাঙচুর

প্রকাশিত: ১২:১৩:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের বাসায় হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে চারজন আহত হয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে নগরীর টিলাগড় ভাটাটিকর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- আজাদুর রহমানের ভাইয়ের ছেলে তাহমিদুর রহমান এবং তার অনুসারী হীরক রঞ্জন দে পাপলু, ফয়ছল ও মুতাছির।

কাউন্সিলর আজাদের অনুসারীদের অভিযোগ, শেখ নজরুল ইসলাম ওরফে বিজয়, রাব্বী, রিয়াজুল, সুহেল, নাসির, সামাদসহ বেশ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে তার পৈতৃক ভিটায় হামলা চালান। পরে নগরের পূর্ব শাপলাবাগ এলাকায় কাউন্সিলরের নিজ বাসভবনেও হামলা চালিয়ে বাসার জানালার কাচ ভাঙচুর করা হয়।

একই সঙ্গে ওই রাতে আজাদের ঘনিষ্ঠ অনুসারী ও মহানগর যুবলীগের সদস্য শমশের আলীর বাসায়ও হামলা হয়েছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। খবর পেয়ে আজাদের অনুসারীরা জড়ো হলে তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন হামলাকারীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজাদুর রহমান আজাদের বাসায় হামলাকারীদের কেউ কেউ স্থানীয়ভাবে প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তবে আজাদের বাসায় হামলার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তার অনুসারীরা জড়ো হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া দেয়। ধাওয়ার মুখে হামলাকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর আজাদুর রহমান বলেন, ‘এলাকায় বিভিন্ন চাঁদাবাজি, হামলা-দখলবাজি চালিয়ে আসছে একটি চিহ্নিত মাদকসেবী চক্র। তাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী বিভিন্ন সময় আমার কাছে অভিযোগ করেছে। সেসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান ছিল। ওই ক্ষোভ থেকেই তারা হামলা চালিয়েছে। তিনি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।’

এ বিষয় জানতে চাইলে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি  শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘যারা হামলা করেছেন, তারা চোর-ডাকাত; কোনো গ্রুপের (দল) নন। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমি সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেছি। আজাদুর রহমানের সাথেও আমার কথা হয়েছে।’

সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য জানান, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ করছে। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।