০৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইতালি যাওয়া হলো না, ভূমধ্যসাগরে দুই তরুণের মৃত্যু

লিবিয়া থেকে সাগরপথে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরে মারা গেছেন সুনামগঞ্জের দুই যুবক।

মৃতরা হলেন– শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের থলেরবন্দ গ্রামের আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে সাহিবুর রহমান মান্না (২৩) ও ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম (২৪)।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২১ জুন লিবিয়া থেকে ইতালি যেতে সুনামগঞ্জের আরও লোকজনের সঙ্গে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ওঠেন মান্না ও রেজাউল। এর আগে দু’জনই দেশে ফোন করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু বুধবার উভয়ের পরিবারের সদস্যরা খবর পান, ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি ইতালি পৌঁছালেও পথে মান্না ও রেজাউল অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।

মান্নার বড় ভাই শাহিবুল ইসলাম জানান, এক ব্যক্তি ফোন করে আমাদের জানিয়েছে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর। কীভাবে তারা মারা গেছে, সেটা জানানো হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, আমার ভাই আর নেই। আমরা দরিদ্র মানুষ। অনেক কষ্ট করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উজ্জ্বল আহমদ নামে এক দালালের মাধ্যমে ১০ মাস আগে মান্না লিবিয়া যায়। এর জন্য দালালকে সাড়ে ৯ লাখ টাকা দিতে হয়েছে।

অন্যদিকে রেজাউলের পরিবার জানায়, এক বছর আগে দুবাই গিয়েছিলেন তিনি। এর পর সেখান থেকে মিসর হয়ে লিবিয়া যান। লিবিয়া থেকে গত শুক্রবার ফোন করে রেজাউল পরিবারের সদস্যদের জানান, তিনি অবৈধপথে ইতালি যাচ্ছেন। তাঁর আরও দুই ভাই ওমান প্রবাসী। বুধবার সকালে ওমানপ্রবাসী বড় ভাই নজরুল ইসলামকে নৌকায় থাকা অন্যরা ফোনে রেজাউলের মারা যাওয়ার খবর দেয়। রেজাউলের পরিবারের পক্ষ থেকে গতকাল বিষয়টি ছাতক উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

ইতালি যাওয়া হলো না, ভূমধ্যসাগরে দুই তরুণের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০১:১০:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

লিবিয়া থেকে সাগরপথে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরে মারা গেছেন সুনামগঞ্জের দুই যুবক।

মৃতরা হলেন– শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের থলেরবন্দ গ্রামের আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে সাহিবুর রহমান মান্না (২৩) ও ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম (২৪)।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২১ জুন লিবিয়া থেকে ইতালি যেতে সুনামগঞ্জের আরও লোকজনের সঙ্গে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ওঠেন মান্না ও রেজাউল। এর আগে দু’জনই দেশে ফোন করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু বুধবার উভয়ের পরিবারের সদস্যরা খবর পান, ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি ইতালি পৌঁছালেও পথে মান্না ও রেজাউল অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।

মান্নার বড় ভাই শাহিবুল ইসলাম জানান, এক ব্যক্তি ফোন করে আমাদের জানিয়েছে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর। কীভাবে তারা মারা গেছে, সেটা জানানো হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, আমার ভাই আর নেই। আমরা দরিদ্র মানুষ। অনেক কষ্ট করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উজ্জ্বল আহমদ নামে এক দালালের মাধ্যমে ১০ মাস আগে মান্না লিবিয়া যায়। এর জন্য দালালকে সাড়ে ৯ লাখ টাকা দিতে হয়েছে।

অন্যদিকে রেজাউলের পরিবার জানায়, এক বছর আগে দুবাই গিয়েছিলেন তিনি। এর পর সেখান থেকে মিসর হয়ে লিবিয়া যান। লিবিয়া থেকে গত শুক্রবার ফোন করে রেজাউল পরিবারের সদস্যদের জানান, তিনি অবৈধপথে ইতালি যাচ্ছেন। তাঁর আরও দুই ভাই ওমান প্রবাসী। বুধবার সকালে ওমানপ্রবাসী বড় ভাই নজরুল ইসলামকে নৌকায় থাকা অন্যরা ফোনে রেজাউলের মারা যাওয়ার খবর দেয়। রেজাউলের পরিবারের পক্ষ থেকে গতকাল বিষয়টি ছাতক উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।