০৭:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা

সুনামগঞ্জে আজ বুধবার ভোর থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে নামছে উজানের পাহাড়ি ঢল। এতে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা জেলার সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার। ছাতক উপজেলার সব ইউনিয়ন ও পৌরসভা প্লাবিত। শহরের পুরোটাই বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। সদর উপজেলার দেখার হাওরে পানি বেড়ে যাওয়ায় রাতে অনেক ঘরবাড়িতে নতুন করে পানি উঠেছে। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে মানুষের ঘরবাড়িতে পানি ঢুকছে।

গতকাল রাত থেকে জেলার শান্তিগঞ্জ, জগন্নাথপুর, জামালগঞ্জ, দিরাই, মধ্যনগর উপজেলায় পানি বেড়েছে। ছাতক-সিলেট সড়ক, সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়ক, সুনামগঞ্জ-দোয়ারাবাজার সড়ক, সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর সড়ক, সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়ক, সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর সড়ক প্লাবিত হওয়ায় সড়কগুলো দিয়ে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।

এদিকে সুনামগঞ্জ শহরের বেশির ভাগ এলাকাই বন্যাকবলিত। অনেক রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িতে বন্যার পানি আছে। শহরের প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই বন্যার্ত মানুষেরা আশ্রয় নিয়েছে। বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করায় মানুষ চরম দুর্ভোগে আছে। শহরের ষোলঘর, নবীনগর, বড়পাড়া, মল্লিকপুর, ওয়েজখালী, ফিরোজপুর, উকিলপাড়া, মুক্তারপাড়া, হাজীপাড়া, আরপিননগর, পশ্চিমবাজার, নতুনপাড়া, কালীপুর সময়বায় সুপার মার্কেট, মধ্যবাজার, পশ্চিমবাজার এলাকায়ও বন্যার পানি আছে। এসব এলাকায় অনেক দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি আজ সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। ছাতক উপজেলা সদরে সুরমা নদীর পানি ১৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার বলেন, সুরমা নদীর পানি কোনো কোনো স্থানে সামান্য কমেছে। তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী, অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তাই পানি আরও বাড়তে পারে। যদি উজানে বেশি বৃষ্টি হয়, তাহলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের পর্যবেক্ষণে আছে। পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী আছে। আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনা খাবার, রান্না করা খাবার বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা

প্রকাশিত: ০৩:০৮:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪

সুনামগঞ্জে আজ বুধবার ভোর থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে নামছে উজানের পাহাড়ি ঢল। এতে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা জেলার সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার। ছাতক উপজেলার সব ইউনিয়ন ও পৌরসভা প্লাবিত। শহরের পুরোটাই বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। সদর উপজেলার দেখার হাওরে পানি বেড়ে যাওয়ায় রাতে অনেক ঘরবাড়িতে নতুন করে পানি উঠেছে। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে মানুষের ঘরবাড়িতে পানি ঢুকছে।

গতকাল রাত থেকে জেলার শান্তিগঞ্জ, জগন্নাথপুর, জামালগঞ্জ, দিরাই, মধ্যনগর উপজেলায় পানি বেড়েছে। ছাতক-সিলেট সড়ক, সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়ক, সুনামগঞ্জ-দোয়ারাবাজার সড়ক, সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর সড়ক, সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়ক, সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর সড়ক প্লাবিত হওয়ায় সড়কগুলো দিয়ে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।

এদিকে সুনামগঞ্জ শহরের বেশির ভাগ এলাকাই বন্যাকবলিত। অনেক রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িতে বন্যার পানি আছে। শহরের প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই বন্যার্ত মানুষেরা আশ্রয় নিয়েছে। বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করায় মানুষ চরম দুর্ভোগে আছে। শহরের ষোলঘর, নবীনগর, বড়পাড়া, মল্লিকপুর, ওয়েজখালী, ফিরোজপুর, উকিলপাড়া, মুক্তারপাড়া, হাজীপাড়া, আরপিননগর, পশ্চিমবাজার, নতুনপাড়া, কালীপুর সময়বায় সুপার মার্কেট, মধ্যবাজার, পশ্চিমবাজার এলাকায়ও বন্যার পানি আছে। এসব এলাকায় অনেক দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি আজ সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। ছাতক উপজেলা সদরে সুরমা নদীর পানি ১৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার বলেন, সুরমা নদীর পানি কোনো কোনো স্থানে সামান্য কমেছে। তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী, অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তাই পানি আরও বাড়তে পারে। যদি উজানে বেশি বৃষ্টি হয়, তাহলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের পর্যবেক্ষণে আছে। পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী আছে। আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনা খাবার, রান্না করা খাবার বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’