০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছাত্রী হত্যা: দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

হবিগঞ্জে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থী জেরিনকে হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের দেড় লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক সুদীপ্ত দাস এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধল গ্রামের দিদার হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন (২৪) ও পাটুলী গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে নূর আলম (২২)।

রায় ঘোষণার সময় জাকির আদালতে উপস্থিত থাকলেও নূর আলম পলাতক।

এ তথ্য নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পেশকার পার্থ প্রতীম সেন।

হত্যার শিকার মদিনাতুল কুবরা জেরিন ধল গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে। সে রিচি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। জেএসসিতে জিপি-৫ পাওয়া ওই ছাত্রী দশম শ্রেণির মেধাতালিকায় প্রথম ছিল।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৮ জানুয়ারি নূর আলমের সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল জেরিন। পথে অটোরিকশায় ওঠেন জাকির। পরে স্কুলের সামনে মেয়েটিকে নামিয়ে না দেওয়ায় সে ধস্তাধস্তি শুরু করে। একপর্যায়ে গাড়ি থেকে পড়ে মাথায় আঘাত পায় সে। এ অবস্থায় পরদিন হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।

এ ঘটনায় জেরিনের বাবা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। জাকির প্রায়ই মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন এবং তা প্রত্যাখ্যান করায় মেয়েটিকে হত্যা করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বৃহস্পতিবার এ রায় দেন আদালত।

বিষয়

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছাত্রী হত্যা: দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ০১:১৩:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

হবিগঞ্জে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থী জেরিনকে হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের দেড় লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক সুদীপ্ত দাস এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধল গ্রামের দিদার হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন (২৪) ও পাটুলী গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে নূর আলম (২২)।

রায় ঘোষণার সময় জাকির আদালতে উপস্থিত থাকলেও নূর আলম পলাতক।

এ তথ্য নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পেশকার পার্থ প্রতীম সেন।

হত্যার শিকার মদিনাতুল কুবরা জেরিন ধল গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে। সে রিচি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। জেএসসিতে জিপি-৫ পাওয়া ওই ছাত্রী দশম শ্রেণির মেধাতালিকায় প্রথম ছিল।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৮ জানুয়ারি নূর আলমের সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল জেরিন। পথে অটোরিকশায় ওঠেন জাকির। পরে স্কুলের সামনে মেয়েটিকে নামিয়ে না দেওয়ায় সে ধস্তাধস্তি শুরু করে। একপর্যায়ে গাড়ি থেকে পড়ে মাথায় আঘাত পায় সে। এ অবস্থায় পরদিন হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।

এ ঘটনায় জেরিনের বাবা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। জাকির প্রায়ই মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন এবং তা প্রত্যাখ্যান করায় মেয়েটিকে হত্যা করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বৃহস্পতিবার এ রায় দেন আদালত।