০৩:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বন্যা আক্রান্ত ৬ লাখ ৪৩৪৭০

সিলেটে বানভাসির পাশে নেই জনপ্রতিনিধি, ত্রাণ সংকট

সিলেটে বানভাসি মানষের পাশে নেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এমন অভিযোগ অসহায় বানভাসি মানুষের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্যা আক্রান্ত একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, তিনদিন ধরে গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি। উপজেলার অন্তত ৭০ ভাগ এলাকা বন্যায় প্লাবিত। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কেউই তাদের দেখতে আসেননি। প্রতিনিধির মাধ্যমে সামান্য কিছু শুকনো পাঠিয়ে যেন তারা দায় সারছেন। এছাড়া বন্যকবলিত এলাকায় বিশুদ্ব পানির তীব্র সংকটের কথাও জানিয়েছেন বন্যা আক্রান্ত মানুষ।

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় দশগাঁও নওয়াগাঁও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে গেলে গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা আবু বকরের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি খোলা কাগজকে বলেন, গত বুধবার রাতে তাঁর বসত ঘরে পানি ঢুকতে শুরু করে; চোখের পলকেই তলিয়ে যায় পুরো ঘর। প্রাণ বাঁচাতে পরদিন সকালে পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে তিনি এখানে আশ্রয় নেন। আক্ষেপ করে তিনি বলেন- ‘দুইদিন ধরে এখানে আশ্রয় নিয়েছি এখন পর্যন্ত কেউ ত্রাণ নিয়ে এলোনা। সাথে সামান্য কিছু চিড়া আর গুড় ছিলো সেগুলোও প্রায় শেষ। পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে শুকনো খাবার খেয়ে খুব কষ্ঠে দিনযাপন করছি।’

একই গ্রামের হাসান মিয়া বলেন, পুরো গুচ্ছ গ্রাম পানি নিচে তলিয়ে গেছে। গ্রামের ১০৩টি পরিবার এই কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ না পাওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির কয়েকজন প্রতিনিধি খোঁজ খবর নিয়ে এই আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছিলেন এসময় আশ্রিতদের পরিবার প্রতি ১ কেজি করে চিড়া আর আধা কেজি গুড় দিয়ে গেছেন।

আশ্রয়কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে দেখা গেল আরও করুণ দৃশ্য। একই কক্ষে গদাগদি করে থাকছেন অন্তত চার পরিবার। এসময় কক্ষের ভেতরে ভেজা ধান শুকাতে দেখা গেল এক নারীকে। কথা হলে কান্নাজড়িত কন্ঠে কনিফা বেগম জানান, তার ঘরে হাঁটু সমান পানি। দুইদিন আগে পরিবারের ৭ সদস্যকে নিয়ে এখানে আশ্রয় নেন; তিনিও ১ কেজি চিড়া আর আধা কেজি গুড় পেয়েছেন। সেই খাবার শেষ হওয়ায় বাচ্চারা কান্না করছে। এখন বাচ্চাদের শান্তনা দেওয়া ছাড়া করার আর কিছু নেই। এসময় আশ্রয়কেন্দ্রের সামনে জমে থাকা পানিতে অনেককে গোসল করতে দেখা গেছে। তারা জানিয়েছে  এই পানি দিয়ে গোসল ও রান্নাবান্না করছেন।

কদমতলা গ্রামের আনা মিয়া জানান, বানের জলে তার গ্রামও ডুবেছে। কেবল মাত্র বসতভিটা বাকি। গতকাল বৃহস্পতিবার তার চারা মারা যান। গ্রামে কবর দেওয়ার মতো শুকনো এক টুকরো মাটি না থাকায় ঘরের ভেতরে চাচাকে দাফন করেছেন।

এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে সিলেটে বৃষ্টিপাত থেমেছে। আজ সিলেটের আকাশে রোদের দেখাও মিলেছে। এ অবস্থায় বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। তবে ব্যতিক্রম চিত্রও দেখা গেছে। সীমান্ত এলাকায় পানি কিছুটা কমলেও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। সুরমার পানি উপচে খাল-নলা বেয়ে বৃহস্পতিবার রাত থেকে নগরে প্রবেশ করছে পানি। এরই মধ্যে নগরের যতরপুর, তালতলা, জামতলা, মাছিমপুরসহ নিচু কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা। জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৮টি উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটির অবস্থা ভয়াবহ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় জানায়, এখনো সুরমা কুশিয়ারার পানি তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৬টায় সিলেটের কানাইঘাট সুরমা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। জকিগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর অমলসিদ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২০৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই নদীর শেওলা পয়েন্টে বিপৎসীমার ০৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অন্য দুটি পয়েন্ট গোয়াইনঘাটের জাফলং ডাউকি পয়েন্ট ও সারি গোয়াইন পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সিলেটের ৮ উপজেলায় একের পর এক গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে।সরকারি হিসেবে শুক্রবার পর্যন্ত ৮ উপজেলায় ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭০ জন বন্যাকবলিত হয়েছেন। বন্যার পনিতে সড়ক ডুবে যাওয়ায় অনেক উপজেলায় জেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার ৫ হাজার ৬০১ হেক্টর জমির ফসল। এমন পরিস্থিতিতে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সিলেটের সব পর্যটন কেন্দ্র।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ খোলা কাগজকে বলেন, ‘শুক্রবার সিলেটে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢল না হলে পরিস্থিতির দ্রæত উন্নতি হবে। এ রকম আবহাওয়া থাকলে আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে পানি পুরোপুরি নেমে যাবে।’

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বন্যাকবলিত উপজেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাাবিত হয়েছে, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট। বন্যার পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় জেলা সদরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ অনেকটা বন্ধ হয়ে পড়েছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, অনেক এলাকার পানিবন্দি মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্র ও নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে। জেলার পাঁচটি উপজেলায় জরুরি ভিত্তিতে প্রায় ৪৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩৭৩৯ জন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় ১ হাজার বস্তা শুকনো খাবার, ৭৫ টন চাল ও আড়াই লাখ টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে।

বন্যা আক্রান্ত ৬ লাখ ৪৩৪৭০

সিলেটে বানভাসির পাশে নেই জনপ্রতিনিধি, ত্রাণ সংকট

প্রকাশিত: ০৮:০৮:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪

সিলেটে বানভাসি মানষের পাশে নেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এমন অভিযোগ অসহায় বানভাসি মানুষের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্যা আক্রান্ত একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, তিনদিন ধরে গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি। উপজেলার অন্তত ৭০ ভাগ এলাকা বন্যায় প্লাবিত। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কেউই তাদের দেখতে আসেননি। প্রতিনিধির মাধ্যমে সামান্য কিছু শুকনো পাঠিয়ে যেন তারা দায় সারছেন। এছাড়া বন্যকবলিত এলাকায় বিশুদ্ব পানির তীব্র সংকটের কথাও জানিয়েছেন বন্যা আক্রান্ত মানুষ।

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় দশগাঁও নওয়াগাঁও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে গেলে গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা আবু বকরের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি খোলা কাগজকে বলেন, গত বুধবার রাতে তাঁর বসত ঘরে পানি ঢুকতে শুরু করে; চোখের পলকেই তলিয়ে যায় পুরো ঘর। প্রাণ বাঁচাতে পরদিন সকালে পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে তিনি এখানে আশ্রয় নেন। আক্ষেপ করে তিনি বলেন- ‘দুইদিন ধরে এখানে আশ্রয় নিয়েছি এখন পর্যন্ত কেউ ত্রাণ নিয়ে এলোনা। সাথে সামান্য কিছু চিড়া আর গুড় ছিলো সেগুলোও প্রায় শেষ। পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে শুকনো খাবার খেয়ে খুব কষ্ঠে দিনযাপন করছি।’

একই গ্রামের হাসান মিয়া বলেন, পুরো গুচ্ছ গ্রাম পানি নিচে তলিয়ে গেছে। গ্রামের ১০৩টি পরিবার এই কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ না পাওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির কয়েকজন প্রতিনিধি খোঁজ খবর নিয়ে এই আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছিলেন এসময় আশ্রিতদের পরিবার প্রতি ১ কেজি করে চিড়া আর আধা কেজি গুড় দিয়ে গেছেন।

আশ্রয়কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে দেখা গেল আরও করুণ দৃশ্য। একই কক্ষে গদাগদি করে থাকছেন অন্তত চার পরিবার। এসময় কক্ষের ভেতরে ভেজা ধান শুকাতে দেখা গেল এক নারীকে। কথা হলে কান্নাজড়িত কন্ঠে কনিফা বেগম জানান, তার ঘরে হাঁটু সমান পানি। দুইদিন আগে পরিবারের ৭ সদস্যকে নিয়ে এখানে আশ্রয় নেন; তিনিও ১ কেজি চিড়া আর আধা কেজি গুড় পেয়েছেন। সেই খাবার শেষ হওয়ায় বাচ্চারা কান্না করছে। এখন বাচ্চাদের শান্তনা দেওয়া ছাড়া করার আর কিছু নেই। এসময় আশ্রয়কেন্দ্রের সামনে জমে থাকা পানিতে অনেককে গোসল করতে দেখা গেছে। তারা জানিয়েছে  এই পানি দিয়ে গোসল ও রান্নাবান্না করছেন।

কদমতলা গ্রামের আনা মিয়া জানান, বানের জলে তার গ্রামও ডুবেছে। কেবল মাত্র বসতভিটা বাকি। গতকাল বৃহস্পতিবার তার চারা মারা যান। গ্রামে কবর দেওয়ার মতো শুকনো এক টুকরো মাটি না থাকায় ঘরের ভেতরে চাচাকে দাফন করেছেন।

এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে সিলেটে বৃষ্টিপাত থেমেছে। আজ সিলেটের আকাশে রোদের দেখাও মিলেছে। এ অবস্থায় বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। তবে ব্যতিক্রম চিত্রও দেখা গেছে। সীমান্ত এলাকায় পানি কিছুটা কমলেও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। সুরমার পানি উপচে খাল-নলা বেয়ে বৃহস্পতিবার রাত থেকে নগরে প্রবেশ করছে পানি। এরই মধ্যে নগরের যতরপুর, তালতলা, জামতলা, মাছিমপুরসহ নিচু কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা। জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৮টি উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটির অবস্থা ভয়াবহ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় জানায়, এখনো সুরমা কুশিয়ারার পানি তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৬টায় সিলেটের কানাইঘাট সুরমা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। জকিগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর অমলসিদ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২০৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই নদীর শেওলা পয়েন্টে বিপৎসীমার ০৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অন্য দুটি পয়েন্ট গোয়াইনঘাটের জাফলং ডাউকি পয়েন্ট ও সারি গোয়াইন পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সিলেটের ৮ উপজেলায় একের পর এক গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে।সরকারি হিসেবে শুক্রবার পর্যন্ত ৮ উপজেলায় ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭০ জন বন্যাকবলিত হয়েছেন। বন্যার পনিতে সড়ক ডুবে যাওয়ায় অনেক উপজেলায় জেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার ৫ হাজার ৬০১ হেক্টর জমির ফসল। এমন পরিস্থিতিতে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সিলেটের সব পর্যটন কেন্দ্র।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ খোলা কাগজকে বলেন, ‘শুক্রবার সিলেটে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢল না হলে পরিস্থিতির দ্রæত উন্নতি হবে। এ রকম আবহাওয়া থাকলে আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে পানি পুরোপুরি নেমে যাবে।’

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বন্যাকবলিত উপজেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাাবিত হয়েছে, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট। বন্যার পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় জেলা সদরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ অনেকটা বন্ধ হয়ে পড়েছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, অনেক এলাকার পানিবন্দি মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্র ও নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে। জেলার পাঁচটি উপজেলায় জরুরি ভিত্তিতে প্রায় ৪৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩৭৩৯ জন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় ১ হাজার বস্তা শুকনো খাবার, ৭৫ টন চাল ও আড়াই লাখ টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে।