০৯:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জে নদ-নদীর পানি বাড়ছে

হবিগঞ্জে শুক্রবার রাত থেকে দেখা মিলেছে স্বস্তির বৃষ্টির। তবে রবিবার (৫ মে) সন্ধ্যায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টিতে ফসল ও অনেক ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে হবিগঞ্জের খোয়াই, কুশিয়ারা ও কালনী নদীর পানি। ঝড়বৃষ্টির সাথে হবিগঞ্জের বিদ্যুৎ সরবরাহ মারাত্মকভাবে বিঘ্ন ঘটছে।

তবে হাওরের অধিকাংশ জমির ধান কেটে ফেলায় বোরো ধানের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেল থেকে শুরু হয় সমগ্র জেলায় শিলাবৃষ্টি ও ঝড়-তুফান। শিলাবৃষ্টিতে অনেক টিনের ঘরের চালা ছিদ্র হয়ে গেছে। হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নুরে আলম জানান, শিলাবৃষ্টিতে ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। হাওরের অধিকাংশ কৃষক বোরো ধান ঘরে তুলে ফেলেছেন। তবে আরো বৃষ্টিপাত হলে কিছু ক্ষতির আশঙ্কা আছে।

হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ জানান, হবিগঞ্জের খোয়াই, কুশিয়ারা, কালনী নদীসহ সব নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তবে এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টি না হলে পানির অবস্থা স্বাভাবিক থাকবে।

এদিকে বৃষ্টির সাথে সাথে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটছে। শুক্রবার রাতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের। রবিবার বৃষ্টিপাতের ফলে অনেক স্থানে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।

বিষয়

হবিগঞ্জে নদ-নদীর পানি বাড়ছে

প্রকাশিত: ১২:০৩:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪

হবিগঞ্জে শুক্রবার রাত থেকে দেখা মিলেছে স্বস্তির বৃষ্টির। তবে রবিবার (৫ মে) সন্ধ্যায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টিতে ফসল ও অনেক ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে হবিগঞ্জের খোয়াই, কুশিয়ারা ও কালনী নদীর পানি। ঝড়বৃষ্টির সাথে হবিগঞ্জের বিদ্যুৎ সরবরাহ মারাত্মকভাবে বিঘ্ন ঘটছে।

তবে হাওরের অধিকাংশ জমির ধান কেটে ফেলায় বোরো ধানের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেল থেকে শুরু হয় সমগ্র জেলায় শিলাবৃষ্টি ও ঝড়-তুফান। শিলাবৃষ্টিতে অনেক টিনের ঘরের চালা ছিদ্র হয়ে গেছে। হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নুরে আলম জানান, শিলাবৃষ্টিতে ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। হাওরের অধিকাংশ কৃষক বোরো ধান ঘরে তুলে ফেলেছেন। তবে আরো বৃষ্টিপাত হলে কিছু ক্ষতির আশঙ্কা আছে।

হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ জানান, হবিগঞ্জের খোয়াই, কুশিয়ারা, কালনী নদীসহ সব নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তবে এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টি না হলে পানির অবস্থা স্বাভাবিক থাকবে।

এদিকে বৃষ্টির সাথে সাথে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটছে। শুক্রবার রাতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের। রবিবার বৃষ্টিপাতের ফলে অনেক স্থানে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।