০৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত, ফসল হারানোর শঙ্কা

সিলেটের সুরমা কুশিয়ারাসহ বিভিন্ন নদনদীর পানি কমতে শুরু করেছে। চব্বিশ ঘন্টার ব্যবধানে প্রতিটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বাড়ছে। পাউবোর তথ্যমতে গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও গতকাল শুক্রবার তা কমেছে। একইভাবে পানি কমেছে কুশিয়ারার আমলশীদ পয়েন্টে।

পানি উন্নয়ন বোডের্র কর্তারা বলছেন, বৃষ্টিপাত হলে নদ-নদীর পানি একটু বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে স্থায়ীত্ব বেশিক্ষণ হবে না।

এদিকে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার নয়াবাড়ি, ফুলবাড়ি, কেন্দ্রী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, খারম্নবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১ নম্বর লক্ষীপুর, ২ নম্বর লক্ষীপুর, আমবাড়ি, ঝিঙ্গাবাড়ি, কাঠালবাড়ির নিম্নাঞ্চল এখনো প্লাবিত রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার কৃষক। একই অবস্থা জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জেও।

বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে এসব এলাকায় তলিয়ে গেছে হাওরের বোরো ধান। এতে কৃষকদের মধ্যে ফসল হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে। শিলাবৃষ্টি কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর এবার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হবে কৃষকদের। বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে অনেকে আধাপাকা ধান কেটে আনছেন। তবে খুব বেশি পানির চাপ নেই। ফলে দ্রুতই পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে জানিয়েছে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড।

জকিগঞ্জের সোনাসার এলাকার কৃষক ফজল আলী বলেন, শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন বন্যা হলে অবশিষ্ট যা ছিল তাও হারাতে হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১১ দশমিক ১৩ সেন্টিমিটার। দুপুর ১২টায় তা কমে ১০ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটারে দাঁড়িয়েছে। সিলেট পয়েন্টে সকাল ৬টায় ছিল ৮ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। দুপুরে ছিল ৮ দশমিক ১২ সেন্টিমিটার। সুনামগঞ্জে সকাল ৬টায় পানির উচ্চতা ছিল ৪ দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার। দুপুরে ছিল ৪ দশমিক ৬৪ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে সকাল নয়টায় ছিল ১২ দশমিক ৫২ সেন্টিমিটার। সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে সকাল ৬টায় ছিল ৯ দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার। দুপুর ১২টায় তা কমে ৯ দশমিক ১২ সেন্টিমিটারে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সুনামগঞ্জের দিকে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ ব্যাপারে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজি বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সত্যেন্দ্র বৈদ্য জানান, ‘গেল কদিন ধরে সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে নদনদীরপানি এখনো বিপৎসসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও কয়েকটি পয়েন্টে নদনদীর পানি কমতে শুরু করেছে।নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানির চাপ খুব বেশি না থাকায় দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা তার।’

বিষয়

সিলেটের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত, ফসল হারানোর শঙ্কা

প্রকাশিত: ১২:২৬:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

সিলেটের সুরমা কুশিয়ারাসহ বিভিন্ন নদনদীর পানি কমতে শুরু করেছে। চব্বিশ ঘন্টার ব্যবধানে প্রতিটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বাড়ছে। পাউবোর তথ্যমতে গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও গতকাল শুক্রবার তা কমেছে। একইভাবে পানি কমেছে কুশিয়ারার আমলশীদ পয়েন্টে।

পানি উন্নয়ন বোডের্র কর্তারা বলছেন, বৃষ্টিপাত হলে নদ-নদীর পানি একটু বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে স্থায়ীত্ব বেশিক্ষণ হবে না।

এদিকে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার নয়াবাড়ি, ফুলবাড়ি, কেন্দ্রী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, খারম্নবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১ নম্বর লক্ষীপুর, ২ নম্বর লক্ষীপুর, আমবাড়ি, ঝিঙ্গাবাড়ি, কাঠালবাড়ির নিম্নাঞ্চল এখনো প্লাবিত রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার কৃষক। একই অবস্থা জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জেও।

বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে এসব এলাকায় তলিয়ে গেছে হাওরের বোরো ধান। এতে কৃষকদের মধ্যে ফসল হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে। শিলাবৃষ্টি কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর এবার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হবে কৃষকদের। বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে অনেকে আধাপাকা ধান কেটে আনছেন। তবে খুব বেশি পানির চাপ নেই। ফলে দ্রুতই পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে জানিয়েছে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড।

জকিগঞ্জের সোনাসার এলাকার কৃষক ফজল আলী বলেন, শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন বন্যা হলে অবশিষ্ট যা ছিল তাও হারাতে হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১১ দশমিক ১৩ সেন্টিমিটার। দুপুর ১২টায় তা কমে ১০ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটারে দাঁড়িয়েছে। সিলেট পয়েন্টে সকাল ৬টায় ছিল ৮ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। দুপুরে ছিল ৮ দশমিক ১২ সেন্টিমিটার। সুনামগঞ্জে সকাল ৬টায় পানির উচ্চতা ছিল ৪ দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার। দুপুরে ছিল ৪ দশমিক ৬৪ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে সকাল নয়টায় ছিল ১২ দশমিক ৫২ সেন্টিমিটার। সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে সকাল ৬টায় ছিল ৯ দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার। দুপুর ১২টায় তা কমে ৯ দশমিক ১২ সেন্টিমিটারে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সুনামগঞ্জের দিকে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ ব্যাপারে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজি বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সত্যেন্দ্র বৈদ্য জানান, ‘গেল কদিন ধরে সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে নদনদীরপানি এখনো বিপৎসসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও কয়েকটি পয়েন্টে নদনদীর পানি কমতে শুরু করেছে।নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানির চাপ খুব বেশি না থাকায় দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা তার।’