দুইদিন আগে ঘোষণা দিয়ে হত্যা করা হয় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী শাহীন আহমদকে। হত্যাকাণ্ডের দুই সাপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে আসামীরা। পুলিশ বলছে তারা অপরাধীদের হন্য হয়ে খুঁজছে। অথচ প্রকাশ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আলোচিত এই মামলার আসামীরা।
আজ মঙ্গলবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন মামলার বাদী ও নিহতের বড়ভাই মো. শামিম আহমদ। তিনি নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শামিম আহমদ বলেন, গত ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের দিবাগত রাত পৌণে আটটায় সংঘবদ্ধ একটি সন্ত্রাসীচক্র কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইছাকলস নিজগাও গ্রামের পাকা সড়কের উপরে প্রকাশ্যে তার ছোট ভাই রাজধানী ঢাকার ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী শাহীন আহমদকে (২৫) নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের ২০ দিন অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে মামলার মূল আসামীদের গ্রেফতারে অসহযোগিতা ও গড়িমসি করছে পুলিশ।
তিনি বলেন, হত্যাকান্ডের মাসখানেক আগে থেকে সন্ত্রাসীরা তাকে ও তার ভাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলো। তাদের ক্রমাগত হুমকিতে তিনি নিরাপত্তার চেয়ে ঢাকার বমশাল ও কোম্পানীগঞ্জ থানায় একাধিক জিডি করেন। ঈদুল ফিতরের জামাত থেকে খুনী সন্ত্রাসী চক্র তাদের উপর আক্রমণ করার জন্য আমাদের গতিবিধি লক্ষ করে আসছিল। ওইদিন সন্ধ্যায় তাদের স্থানীয় ইউপি সদস্য নেছার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি সালিশে মীমাংসার কথা জানান। তাদের কথামতো সালিশে আসার পথে সন্ত্রাসী চক্রের আক্রমণের শিকার হন তিনি, তার চাচা ও ছোটভাই শাহীন আহমদ। ভাগ্যক্রমে তিনি ও তার চাচা আমির আলী বেঁচে গেলেও সন্ত্রাসীদের হামলায় নির্মমভাবে খুন হন তার ছোটভাই শাহীন।
হত্যাকান্ডের তিনদিন পর কোম্পানীগঞ্জ থানায় ১০ জনকে আসামী করে মামলা করেন তিনি। মামলার ১নং আসামী মরম আলী ও ৮নং আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। কিন্তু হুমকিদাতা এবং হত্যাকান্ডের মূলহোতা শাহেদ ও আনোয়ারসহ অন্য আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আসামীদের সঠিক অবস্থান পুলিশকে জানানোর পরও রহস্যজনক কারণে তাদেরকে গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে না।
তবে এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই মো. মনজুর রহমান জানান, মামলার প্রধান আসামীসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের ধরতে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে।