সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে গত ১ এপ্রিল ইরানের কনস্যুলেট লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে দেশটির বিপ্লবী গার্ডের দুই জেনারেলসহ ৭ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাব দিতে গত ১৪ এপ্রিল দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিনশরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান।
এক ইসরায়েলি কর্মকর্তার বক্তব্য উদ্ধৃত করে মার্কিনিরা বলেছেন, “ইসরায়েলিরা বিষয়টি নিয়ে খুবই বাজে হিসাব করেছিল। মনে করেছিল ইরান শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখাবে না।”
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, কনস্যুলেটে হামলা চালানোর মাত্র কয়েক মিনিট আগে যুক্তরাষ্ট্রকে এ ব্যাপারে ইসরায়েল অবহিত করে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তার ক্ষিপ্ত হন।
যদিও হামলার পর পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছিলেন তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না। তবে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রীসভাই এটির অনুমোদন দেয়।
কিন্তু কনস্যুলেটে হামলার পর ইরান পাল্টা হামলা চালাতে এত শক্তি প্রয়োগ করবে এটি ইসরায়েল একদমই বুঝতে পারেনি। তারা তাদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বলেছিল, ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে খুব বেশি হলে ১০টি সারফেস টু সারফেস ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে। এরপর গত সপ্তাহে তারা নতুন পর্যবেক্ষণে জানায়, ইরান থেকে সর্বোচ্চ ৬০ থেকে ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে। কিন্তু ইরান কয়েকশ ড্রোন এবং একশরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়বে এটি তারা কল্পনাও করেনি।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল