০৪:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২২০৩ হেক্টর বোরো ও ৬২৫ হেক্টর সবজি নষ্ট

ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে লণ্ডভন্ড সিলেট

সিলেটে গতকাল রোববার রাতে ঝড়ের সঙ্গে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে জেলাজুড়ে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি আংশিক ও পুরোপুরি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। একইসঙ্গে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে গাছ পড়ে, বসতঘর ধসে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। জেলার গোলাপগঞ্জে শিলাখণ্ডের আঘাতে মাথা ফেটে আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ।

রোববার রাত সোয়া ১০টায় শুরু হওয়া শিলাবৃষ্টি তাণ্ডব চালায় ১৫ মিনিট। মাত্র ১৫ মিনিটের এই তাণ্ডবে লণ্ডভন্ড হয়ে যায় পুরো সিলেট জেলা। এতে বিভিন্ন স্থানে টিনের ঘরের চাল, সড়কে থাকা গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেছে। ঝড়ে জেলার প্রায় ৬০ ভাগ টিনের তৈরি বাড়ি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

এদিকে সিলেটের গোলাপগঞ্জে ঝড়ের সময় শিলাখণ্ডের আঘাতে মাথা ফেটে অন্তত ৪০ জন আহত হন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ঘরের টিনের চালা ফুটো হয়ে মাথায় আঘাত পান। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুদর্শন সেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝড়ে সিলেট জেলার সবকয়টি উপজেলায় কমবেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সিলেট সদর উপলোর খাদিমনগর ও খাদিমপাড়া ইউনিয়ন। এই ইউনিয়ন দুটি ভৌগোলিক অবস্থা পাশাপাশি হওয়ায় ক্ষতির পরিমান সবচেয়ে বেশি। সরেজমিনে দেখা যায়, শিলাবৃষ্টির আঘাতে ঘর বাড়ির চালের টিন ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা বৃষ্টির পানিতে ভিজে ঘুমহীন রাত পার করেছেন। বিশালআকৃতির শিলাখণ্ড শরীর ও মাথায় লেগে অনেকে আহতও হয়েছেনে।

খাদিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দিলোয়ার হোসেন জানান, ‘আমার ইউনিয়নে শতকরা ১০০ টি টিনের ঘরের মধ্যে প্রায় ৮০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়েছি। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা তৈরি করার জন্য বলেছেন। তালিকা তৈরি করে উপজেলা পরিষদে পাঠানো হবে।’

সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মতিউজ্জামান বলেন, ‘শিলাবৃষ্টিতে ২২০৩ হেক্টর বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ৬২৫ হেক্টর সবজি নষ্ট হয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, ‘শিলাবৃষ্টিতে টিনের তৈরি ঘর বাড়ি ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা তৈরি করার জন্য ইউএনওদের নির্দেশ দিয়েছি। তালিকা যাচাই-বাছাই করে সরকারি সহায়তা করা হবে।’

বিষয়

২২০৩ হেক্টর বোরো ও ৬২৫ হেক্টর সবজি নষ্ট

ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে লণ্ডভন্ড সিলেট

প্রকাশিত: ০৭:২৯:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪

সিলেটে গতকাল রোববার রাতে ঝড়ের সঙ্গে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে জেলাজুড়ে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি আংশিক ও পুরোপুরি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। একইসঙ্গে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে গাছ পড়ে, বসতঘর ধসে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। জেলার গোলাপগঞ্জে শিলাখণ্ডের আঘাতে মাথা ফেটে আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ।

রোববার রাত সোয়া ১০টায় শুরু হওয়া শিলাবৃষ্টি তাণ্ডব চালায় ১৫ মিনিট। মাত্র ১৫ মিনিটের এই তাণ্ডবে লণ্ডভন্ড হয়ে যায় পুরো সিলেট জেলা। এতে বিভিন্ন স্থানে টিনের ঘরের চাল, সড়কে থাকা গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেছে। ঝড়ে জেলার প্রায় ৬০ ভাগ টিনের তৈরি বাড়ি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

এদিকে সিলেটের গোলাপগঞ্জে ঝড়ের সময় শিলাখণ্ডের আঘাতে মাথা ফেটে অন্তত ৪০ জন আহত হন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ঘরের টিনের চালা ফুটো হয়ে মাথায় আঘাত পান। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুদর্শন সেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝড়ে সিলেট জেলার সবকয়টি উপজেলায় কমবেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সিলেট সদর উপলোর খাদিমনগর ও খাদিমপাড়া ইউনিয়ন। এই ইউনিয়ন দুটি ভৌগোলিক অবস্থা পাশাপাশি হওয়ায় ক্ষতির পরিমান সবচেয়ে বেশি। সরেজমিনে দেখা যায়, শিলাবৃষ্টির আঘাতে ঘর বাড়ির চালের টিন ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা বৃষ্টির পানিতে ভিজে ঘুমহীন রাত পার করেছেন। বিশালআকৃতির শিলাখণ্ড শরীর ও মাথায় লেগে অনেকে আহতও হয়েছেনে।

খাদিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দিলোয়ার হোসেন জানান, ‘আমার ইউনিয়নে শতকরা ১০০ টি টিনের ঘরের মধ্যে প্রায় ৮০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়েছি। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা তৈরি করার জন্য বলেছেন। তালিকা তৈরি করে উপজেলা পরিষদে পাঠানো হবে।’

সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মতিউজ্জামান বলেন, ‘শিলাবৃষ্টিতে ২২০৩ হেক্টর বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ৬২৫ হেক্টর সবজি নষ্ট হয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, ‘শিলাবৃষ্টিতে টিনের তৈরি ঘর বাড়ি ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা তৈরি করার জন্য ইউএনওদের নির্দেশ দিয়েছি। তালিকা যাচাই-বাছাই করে সরকারি সহায়তা করা হবে।’