০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঝিমিয়ে পড়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রম

চার নেতায় বন্দি সিলেট ছাত্রলীগ

ছাত্রলীগ লগো

সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের রাজনীতি এখন চার নেতা নির্ভর। এতে ঝিমিয়ে পড়েছে দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম। অনেকে দীর্ঘদিন ছাত্রলীগ করেও দলীয় পরিচয় পাচ্ছেন না। ইতোমধ্যে অনেক ছাত্রলীগ কর্মী দলীয় পরিচয় ছাড়াই ছাত্র রাজনীতি ছেড়েছেন। কবে নেতাকর্মীর এ অপেক্ষা ফুরাবে, তা কেউই জানেন না। অবশ্য শিগগিরই এ দুই ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শীর্ষ চার নেতা।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর নাজমুল ইসলামকে সভাপতি ও রাহেল সিরাজকে সাধারণ সম্পাদক করে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। আর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ ও নাঈম আহমদ পান সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব। উভয় কমিটির মেয়াদ এক বছর বেঁধে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এ ছাড়াও এক সপ্তাহের মধ্যে আংশিক কমিটি ঘোষণার কথা বলেছিলেন ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। এরপর চার নেতায় কেটে গেছে তিন বছর। আংশিক কমিটি দূরে থাক, উভয় শাখার নির্ধারিত মেয়াদ এক বছর শেষ তবুও পূর্ণাঙ্গ হয়নি কমিটি।

ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। এরপর ২০১৫ সালের ৪ ডিসেম্বর ১৪১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের ওই কমিটি ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্র। অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে ছাত্রলীগ কর্মী ওমর মিয়াদ হত্যাকান্ড এবং এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরী প্রধান আসামি হওয়াকে কেন্দ্র করে কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

অপরদিকে ২০১৫ সালের ২০ জুলাই সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্র। তবে তিন বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়নি। নানা বিতর্কের জন্ম দেওয়া সে কমিটি ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্র। একইসাথে বহিষ্কার হন ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম তুষার। পরে অবশ্য তার বহিষ্কার আদেশ তুলে নেয় কেন্দ্র।

সূত্র আরও জানায়, সবশেষ ২০১১ সালে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়েছিল। এরপর আর কোনো কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় সিলেট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এখন হতাশ, ক্ষুব্ধ। তারা বলছেন, অদূরদর্শী নেতৃত্বে সিলেটে ছাত্রলীগ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। প্রকৃত ছাত্রদের হাতে সিলেট ছাত্রলীগের নেতৃত্ব তুলে দেয়া উচিত। এতে ছাত্রলীগ তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে।

এদিকে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের অধীনে ১৩টি উপজেলা, ৫টি পৌরসভা এবং ১২টি কলেজ ইউনিট আছে। মার্চ অবধি এই ৩০টি ইউনিটের মধ্যে কমিটি গঠন করতে পেরেছে হাতেগুনা কয়েকটি ইউনিটে। সাংগঠনিক স্থবিরতায় আছে মহানগর ছাত্রলীগও। তাদের অধীনস্থ ৪২টি ওয়ার্ড ইউনিটের মধ্যে ১৭টিতে কমিটি করা হয়েছে। এছাড়া ৬টি থানার মধ্যে ১টিতে কমিটি ও ৬টি কলেজের মধ্যে কমিটি আছে মাত্র তিনটিতে। সিলেট এমসি কলেজ, সরকারি কলেজ ও সিলেট ‘ল’ কলেজে কমিটি দেওয়া হয়েছে।

সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদপ্রত্যাশী সাদিকুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা বিরাজ করছে। অপরাধীরাও ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে ছাত্রলীগের উপর দোষ চাপাচ্ছে। এতে সংগঠনের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। যারা কখনও ছাত্রলীগের রাজনীতি করেনি তারাও এখন নিজেকে ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে এলাকায় অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় তা ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান তিনি।

সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদপ্রত্যাশী সালমান আহমদ বলেন, ‘বর্তমান কমিটির মেয়াদ অনেই আগেই শেষ হয়েছে। কেন্দ্রের বেধে দেওয়া সময়ে তারা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি। তাই এ কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি করা হলে সংগঠনে গতি ফিরে আসবে বলে মনে করছি।’

সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদপ্রত্যাশী হামিম আহমদ বলেন, ‘কমিটি না থাকায় অনেকে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এতে ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠন বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে হলে নতুন নেতৃত্ব প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।’

সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটির একটি খসড়া কেন্দ্রর দপ্তর সেলে জমা দিয়েছি। যাচাই-বাছাই চলছে সেখান থেকে কিছু নাম বাদ যাবে। কারা বদ পড়ছেন? এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা অছাত্র, বিবাহিত কিংবা বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন তারাই বাদ পড়ছেন। যোগ্য, ত্যাগী ও মেধাবীরাই পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে এই ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি সেক্ষেত্রে পদ প্রত্যাশী বেশি হওয়াতে কত সদস্যের কমিটি হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না, তবে নেতাকর্মীদের ডায়নামিক একটি কমিটি উপহার দিতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।’

এ বিষয়ে জানতে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে এক ক্ষুদে বার্তায় তিনি জানিয়েছেন তিনি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। শিগগিরই জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন হবে।

ঝিমিয়ে পড়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রম

চার নেতায় বন্দি সিলেট ছাত্রলীগ

প্রকাশিত: ০৬:০২:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪

সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের রাজনীতি এখন চার নেতা নির্ভর। এতে ঝিমিয়ে পড়েছে দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম। অনেকে দীর্ঘদিন ছাত্রলীগ করেও দলীয় পরিচয় পাচ্ছেন না। ইতোমধ্যে অনেক ছাত্রলীগ কর্মী দলীয় পরিচয় ছাড়াই ছাত্র রাজনীতি ছেড়েছেন। কবে নেতাকর্মীর এ অপেক্ষা ফুরাবে, তা কেউই জানেন না। অবশ্য শিগগিরই এ দুই ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শীর্ষ চার নেতা।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর নাজমুল ইসলামকে সভাপতি ও রাহেল সিরাজকে সাধারণ সম্পাদক করে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। আর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ ও নাঈম আহমদ পান সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব। উভয় কমিটির মেয়াদ এক বছর বেঁধে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এ ছাড়াও এক সপ্তাহের মধ্যে আংশিক কমিটি ঘোষণার কথা বলেছিলেন ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। এরপর চার নেতায় কেটে গেছে তিন বছর। আংশিক কমিটি দূরে থাক, উভয় শাখার নির্ধারিত মেয়াদ এক বছর শেষ তবুও পূর্ণাঙ্গ হয়নি কমিটি।

ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। এরপর ২০১৫ সালের ৪ ডিসেম্বর ১৪১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের ওই কমিটি ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্র। অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে ছাত্রলীগ কর্মী ওমর মিয়াদ হত্যাকান্ড এবং এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরী প্রধান আসামি হওয়াকে কেন্দ্র করে কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

অপরদিকে ২০১৫ সালের ২০ জুলাই সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্র। তবে তিন বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়নি। নানা বিতর্কের জন্ম দেওয়া সে কমিটি ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্র। একইসাথে বহিষ্কার হন ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম তুষার। পরে অবশ্য তার বহিষ্কার আদেশ তুলে নেয় কেন্দ্র।

সূত্র আরও জানায়, সবশেষ ২০১১ সালে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়েছিল। এরপর আর কোনো কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় সিলেট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এখন হতাশ, ক্ষুব্ধ। তারা বলছেন, অদূরদর্শী নেতৃত্বে সিলেটে ছাত্রলীগ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। প্রকৃত ছাত্রদের হাতে সিলেট ছাত্রলীগের নেতৃত্ব তুলে দেয়া উচিত। এতে ছাত্রলীগ তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে।

এদিকে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের অধীনে ১৩টি উপজেলা, ৫টি পৌরসভা এবং ১২টি কলেজ ইউনিট আছে। মার্চ অবধি এই ৩০টি ইউনিটের মধ্যে কমিটি গঠন করতে পেরেছে হাতেগুনা কয়েকটি ইউনিটে। সাংগঠনিক স্থবিরতায় আছে মহানগর ছাত্রলীগও। তাদের অধীনস্থ ৪২টি ওয়ার্ড ইউনিটের মধ্যে ১৭টিতে কমিটি করা হয়েছে। এছাড়া ৬টি থানার মধ্যে ১টিতে কমিটি ও ৬টি কলেজের মধ্যে কমিটি আছে মাত্র তিনটিতে। সিলেট এমসি কলেজ, সরকারি কলেজ ও সিলেট ‘ল’ কলেজে কমিটি দেওয়া হয়েছে।

সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদপ্রত্যাশী সাদিকুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা বিরাজ করছে। অপরাধীরাও ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে ছাত্রলীগের উপর দোষ চাপাচ্ছে। এতে সংগঠনের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। যারা কখনও ছাত্রলীগের রাজনীতি করেনি তারাও এখন নিজেকে ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে এলাকায় অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় তা ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান তিনি।

সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদপ্রত্যাশী সালমান আহমদ বলেন, ‘বর্তমান কমিটির মেয়াদ অনেই আগেই শেষ হয়েছে। কেন্দ্রের বেধে দেওয়া সময়ে তারা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি। তাই এ কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি করা হলে সংগঠনে গতি ফিরে আসবে বলে মনে করছি।’

সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদপ্রত্যাশী হামিম আহমদ বলেন, ‘কমিটি না থাকায় অনেকে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এতে ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠন বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে হলে নতুন নেতৃত্ব প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।’

সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটির একটি খসড়া কেন্দ্রর দপ্তর সেলে জমা দিয়েছি। যাচাই-বাছাই চলছে সেখান থেকে কিছু নাম বাদ যাবে। কারা বদ পড়ছেন? এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা অছাত্র, বিবাহিত কিংবা বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন তারাই বাদ পড়ছেন। যোগ্য, ত্যাগী ও মেধাবীরাই পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে এই ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি সেক্ষেত্রে পদ প্রত্যাশী বেশি হওয়াতে কত সদস্যের কমিটি হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না, তবে নেতাকর্মীদের ডায়নামিক একটি কমিটি উপহার দিতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।’

এ বিষয়ে জানতে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে এক ক্ষুদে বার্তায় তিনি জানিয়েছেন তিনি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। শিগগিরই জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন হবে।