১০:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটে অপরাধী সনাক্ত করবে সিসি ক্যামেরা

সচল হয়েছে সিলেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কে লাগানো ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। সিলেট সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে ক্যামেরাগুলো সচল করা হয়েছে। এসব ক্যামেরার মাধ্যমে নগরীর অপরাধ দমন, অপরাধী শনাক্ত এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে সিলেট নগর পুলিশ (এসএমপি)। সার্বক্ষণিক তদারকি চলবে কোতোয়ালি থানা থেকে।

বৃহস্পতিবার সিসি ক্যামেরা পুনঃসংস্কার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট নগর পুলিশের কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান।

জানা গেছে, ২০১৯ সালে ডিজিটাল সিটি গঠনের অংশ হিসেবে নগরীর ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বসানো হয় ১১০টি সিসি ক্যামেরা। এর মধ্যে ১০টি ‘ফেস রিকগনিশন’ ক্যামেরা। ক্যামেরাগুলো বসানোর পর অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে ধীরে ধীরে অধিকাংশ ক্যামেরা বিকল হয়ে পড়ে। নগর পুলিশের পক্ষ থেকে ক্যামেরাগুলো সচল করার উদ্যোগ নিতে কয়েকবার অনুরোধ জানালেও সিটি করপোরেশন তাতে সাড়া দেয়নি। ফলে ক্যামেরাগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে। বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর নগর পুলিশের পক্ষ থেকে ফের একই অনুরোধ জানানো হয়। সিটি করপোরেশন কতৃপক্ষ নগরবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যামেরাগুলো সচল করার উদ্যোগ নেয়।

সিলেট মহানগর কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান জানান, ক্যামেরাগুলো সচল হলে নগরীতে অপরাধ কমে আসবে। ক্যামেরার আওতাভুক্ত এলাকায় কোনো অঘটন ঘটলে ফুটেজ দেখে জড়িতদের সহজেই শনাক্ত করা যাবে। অপরাধ কর্মকান্ডের পর অপরাধীর অবস্থানও শনাক্ত করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া নগরের যানজটের অবস্থাও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে দেখা যাবে। কোথাও যানজট বেশি হলে মনিটরিং রুম থেকে তাৎক্ষণিক পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে জানানো হবে। তিনি আরও জানান, ১১০টি ক্যামেরার মধ্যে কয়েকটি ‘ফেস রিকগনিশন’ ক্যামেরা রয়েছে। এগুলোতে চিহ্নিত অপরাধীদের ছবি কিংবা যানবাহনের নম্বর ইনপুট করে রাখলে ক্যামেরাগুলো ওই ব্যক্তি ও যানবাহনকে সহজে শনাক্ত করতে পারবে এবং সতর্কতামূলক সংকেত দেবে। এতে পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে পারবে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, সিসি ক্যামেরাগুলো সচল করতে নগর পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ক্যামেরাগুলো সংস্কার করে সচল করা হয়েছে। এখন থেকে পুলিশ ক্যামেরাগুলো ব্যবহার করবে।

সিলেটে অপরাধী সনাক্ত করবে সিসি ক্যামেরা

প্রকাশিত: ১২:৩৩:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

সচল হয়েছে সিলেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কে লাগানো ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। সিলেট সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে ক্যামেরাগুলো সচল করা হয়েছে। এসব ক্যামেরার মাধ্যমে নগরীর অপরাধ দমন, অপরাধী শনাক্ত এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে সিলেট নগর পুলিশ (এসএমপি)। সার্বক্ষণিক তদারকি চলবে কোতোয়ালি থানা থেকে।

বৃহস্পতিবার সিসি ক্যামেরা পুনঃসংস্কার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট নগর পুলিশের কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান।

জানা গেছে, ২০১৯ সালে ডিজিটাল সিটি গঠনের অংশ হিসেবে নগরীর ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বসানো হয় ১১০টি সিসি ক্যামেরা। এর মধ্যে ১০টি ‘ফেস রিকগনিশন’ ক্যামেরা। ক্যামেরাগুলো বসানোর পর অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে ধীরে ধীরে অধিকাংশ ক্যামেরা বিকল হয়ে পড়ে। নগর পুলিশের পক্ষ থেকে ক্যামেরাগুলো সচল করার উদ্যোগ নিতে কয়েকবার অনুরোধ জানালেও সিটি করপোরেশন তাতে সাড়া দেয়নি। ফলে ক্যামেরাগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে। বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর নগর পুলিশের পক্ষ থেকে ফের একই অনুরোধ জানানো হয়। সিটি করপোরেশন কতৃপক্ষ নগরবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যামেরাগুলো সচল করার উদ্যোগ নেয়।

সিলেট মহানগর কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান জানান, ক্যামেরাগুলো সচল হলে নগরীতে অপরাধ কমে আসবে। ক্যামেরার আওতাভুক্ত এলাকায় কোনো অঘটন ঘটলে ফুটেজ দেখে জড়িতদের সহজেই শনাক্ত করা যাবে। অপরাধ কর্মকান্ডের পর অপরাধীর অবস্থানও শনাক্ত করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া নগরের যানজটের অবস্থাও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে দেখা যাবে। কোথাও যানজট বেশি হলে মনিটরিং রুম থেকে তাৎক্ষণিক পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে জানানো হবে। তিনি আরও জানান, ১১০টি ক্যামেরার মধ্যে কয়েকটি ‘ফেস রিকগনিশন’ ক্যামেরা রয়েছে। এগুলোতে চিহ্নিত অপরাধীদের ছবি কিংবা যানবাহনের নম্বর ইনপুট করে রাখলে ক্যামেরাগুলো ওই ব্যক্তি ও যানবাহনকে সহজে শনাক্ত করতে পারবে এবং সতর্কতামূলক সংকেত দেবে। এতে পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে পারবে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, সিসি ক্যামেরাগুলো সচল করতে নগর পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ক্যামেরাগুলো সংস্কার করে সচল করা হয়েছে। এখন থেকে পুলিশ ক্যামেরাগুলো ব্যবহার করবে।