০৩:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়

২১৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মানবেতর জীবনযাপন

>>১৪ মাস ধরে বন্ধ বেতন-ভাতা
>>কেউ কেউ ফিরেছে অন্য পেশায়
>>ঝুলে আছে নিয়োগ প্রক্রিয়া, সংবিধির >>দোহাই দিচ্ছে প্রশাসন
>>আন্দোলনে নামছে কর্মচারী পরিষদ

সিলেটের বঙ্গমাতা শেখ ফজলিাতুন্নেছা মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা প্রহরী মোহাম্মদ মুক্তার আলী (৪৫)। ১৪ মাস ধরে বিনা বেতন-ভাতায় চাকরি করছেন। সংসারের খরচ জোগাতে এখন তিনি ভ্যানে করে (ভ্রাম্যমান) সবজি বিক্রি করছেন। সিলেট নগরের মদিনা মার্কেট পয়েন্টে প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় মুক্তার আলীর। তিনি জানান, ‘নিয়মিত অফিস করছি। ১৪ মাস ধরে বেতন-ভাতা বন্ধ। চাকরি আছে না নেই তাও বলতে পারছিনা। দুই মেয়ে আর এক ছেলে নিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবারের খরচ চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। খেয়ে না খেয়ে দিনযাপন করছি, আর কুলোতে পারছি না তাই বাধ্য হয়ে ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করছি।’

মুক্তার আলীর মতো আরও অনেকেরই একই অবস্থা। তাদেরই একজন আল-আমিন হোসেন (৩২)। ২০১৯ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লিনার পদে তিনি চাকরি করছেন। মুক্তার আলীর মতো তিনিও ১৪ মাস ধরে বেতন-ভাতা উত্তোলন করতে পারছেন না। চার সদস্যের পরিবারকে নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিনযাপন করছেন তিনি। দুঃখ দুর্দশার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত আল-আমিন প্রতিবেদককে জানান, ‘অনেক দিন উপবাস করেছি। সন্তানদের তো আর না খাইয়ে রাখতে পারিনা। সংসারের খরচ জোগাতে এখন রিকশা চালাই।’

২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লিনার পদে নিয়োগ পান ফৌজিয়া সুলতানা মণি। ১৪ মাস ধরে তারও বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘বেতন বন্ধ থাকায় বাচ্চা নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছি। এখন আর চলতে পারছিনা। বেতন বন্ধ থাকায় তার পারিবারিক সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে তিনি জানান।’ জীবিকার তাগিদে কর্মচারীদের আরও অনেকে অন্যত্র ডে লেবার হিসেবে কেউ রিকশা চালিয়ে কেউবা মুদি দোকানে কাজ করছে।

জানা গেছে, ১৪ মাস ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বন্ধ। অফিসে কেউ আসেন, কেউ না। কার চাকরি আছে আর কার নেই; তাও জানা নেই। অফিসে না আসলেও নেই জবাবদীহিতা। নেই কোনো প্রোটোকল। সাপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন অফিস করেন উপাচার্য। রেজিস্ট্রারও নিয়মিত অফিসে থাকেন না। এমন যাচ্ছেতাই অবস্থা সিলেটের প্রথম এই মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যিালয়ের। র্দীঘদিন ধরে এমন হ-য-ব-র-ল অবস্থা চললেও তা নিরসনে কার্যত কোনও উদ্যোগ নেই। সম্প্রতি দুই দফায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেও অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠতে পারছে না র্কতৃপক্ষ। এদিকে ছয় বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস করার কাজে অগ্রগতি হয়নি খুব বেশি। অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমও শুরু করা যায়নি।

এদিকে এমন পরিস্থিতিতে চাকরি স্থায়ীকরণ, বকেয়াসহ বেতন-ভাতা নিয়মিতকরণ ও র্কমস্থলে কাজরে পরিবেশ নিশ্চিতকরণসহ ৩ দফা দাবি নিয়ে গেল বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে আন্দোলনে নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত কর্মচারী পরিষদ। কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই গেল বছরের ২ অক্টোবর অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আরও ২৯ জনকে। নতুন নিয়োগ যারা পেয়েছেন, তাদের মধ্যে পুরনো অনেকে বাদ পড়েছেন। টানা একত্রিশ দিন আন্দোলনের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে কাজে ফিরেন কর্মচারীরা। তখন প্রশাসন নভেম্বরের মধ্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার আশ্বাস দেয়। তবে এখন পর্যন্ত কোন কার্যক্রমই শুরু করতে পারেনি কতৃপক্ষ। এ অবস্থায় ক্ষুভে ফুঁসছে কর্মচারীরা। তারা বলছে, প্রশাসন একেকবার আমাদেরকে একেক বাহানা দেখিয়ে নিয়োগ পক্রিয়া পেছাচ্ছে। তারা আমাদেরকে কেবল আশ্বাসই দিচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এক ধরনের চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন বেতন-ভাতা না পেয়ে তারা হতাশা প্রকাশ করেন। অনেকেই বলেছেন, তারা নিয়মিত অফিস করছেন কিন্তু বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। এ নিয়ে তারা উপাচার্যের সঙ্গে কথাও বলেছেন। উপাচার্য বেতনের বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী পরিষদের সদস্য সচিব নাদিম সীমান্ত গতকাল খোলা কাগজকে জানান, ‘১৪ মাস যাবত বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। অনেকে পরিবার নিয়ে আগে শহরে বসবাস করতেন। কিন্তু বেতন না পেয়ে এখন পরিবার গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। আমরা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে জানিয়েছি। কথা বলেছি। তিনি কয়েক দফা সময় নিয়েও বিষয়টি সুরাহা করেননি। কেবল আশ্বস্তই করে যাচ্ছেন। দাবি আদায় না হওয়া র্পযন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে আরও কঠোর র্কমসূচির ডাক দেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।’

আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুস সামাদ চৌধুরী বলেন, ‘১৪ মাস যাবত বিনা বেতনে কাজ করছি। একটি দিনের জন্যও অফিসের কোনও কাজ বন্ধ রাখিনি। পরবিার বাচ্চাদরে নিয়ে খুব কষ্টে আছি। আমাদরে পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে। তাই বাধ্য হয়ে ফের আমরা কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে তাদের ১১২ জনের স্থায়ী নিয়োগের অনুমোদন রয়েছে। তবে স্থায়ী নিয়োগে সংবিধি না থাকার কারণে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছাড়া বিভিন্ন পদে অতিরিক্ত নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে যোগ করেন তিনি।’

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ফেরদৌস জামান বলেন, বেতন-ভাতার বন্ধের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এসব বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক অধ্যাপক ডা. এ এইচএম এনায়েত হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

খবর: খোলা কাগজ

বিষয়

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়

২১৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মানবেতর জীবনযাপন

প্রকাশিত: ০১:৩৯:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

>>১৪ মাস ধরে বন্ধ বেতন-ভাতা
>>কেউ কেউ ফিরেছে অন্য পেশায়
>>ঝুলে আছে নিয়োগ প্রক্রিয়া, সংবিধির >>দোহাই দিচ্ছে প্রশাসন
>>আন্দোলনে নামছে কর্মচারী পরিষদ

সিলেটের বঙ্গমাতা শেখ ফজলিাতুন্নেছা মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা প্রহরী মোহাম্মদ মুক্তার আলী (৪৫)। ১৪ মাস ধরে বিনা বেতন-ভাতায় চাকরি করছেন। সংসারের খরচ জোগাতে এখন তিনি ভ্যানে করে (ভ্রাম্যমান) সবজি বিক্রি করছেন। সিলেট নগরের মদিনা মার্কেট পয়েন্টে প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় মুক্তার আলীর। তিনি জানান, ‘নিয়মিত অফিস করছি। ১৪ মাস ধরে বেতন-ভাতা বন্ধ। চাকরি আছে না নেই তাও বলতে পারছিনা। দুই মেয়ে আর এক ছেলে নিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবারের খরচ চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। খেয়ে না খেয়ে দিনযাপন করছি, আর কুলোতে পারছি না তাই বাধ্য হয়ে ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করছি।’

মুক্তার আলীর মতো আরও অনেকেরই একই অবস্থা। তাদেরই একজন আল-আমিন হোসেন (৩২)। ২০১৯ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লিনার পদে তিনি চাকরি করছেন। মুক্তার আলীর মতো তিনিও ১৪ মাস ধরে বেতন-ভাতা উত্তোলন করতে পারছেন না। চার সদস্যের পরিবারকে নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিনযাপন করছেন তিনি। দুঃখ দুর্দশার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত আল-আমিন প্রতিবেদককে জানান, ‘অনেক দিন উপবাস করেছি। সন্তানদের তো আর না খাইয়ে রাখতে পারিনা। সংসারের খরচ জোগাতে এখন রিকশা চালাই।’

২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লিনার পদে নিয়োগ পান ফৌজিয়া সুলতানা মণি। ১৪ মাস ধরে তারও বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘বেতন বন্ধ থাকায় বাচ্চা নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছি। এখন আর চলতে পারছিনা। বেতন বন্ধ থাকায় তার পারিবারিক সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে তিনি জানান।’ জীবিকার তাগিদে কর্মচারীদের আরও অনেকে অন্যত্র ডে লেবার হিসেবে কেউ রিকশা চালিয়ে কেউবা মুদি দোকানে কাজ করছে।

জানা গেছে, ১৪ মাস ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বন্ধ। অফিসে কেউ আসেন, কেউ না। কার চাকরি আছে আর কার নেই; তাও জানা নেই। অফিসে না আসলেও নেই জবাবদীহিতা। নেই কোনো প্রোটোকল। সাপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন অফিস করেন উপাচার্য। রেজিস্ট্রারও নিয়মিত অফিসে থাকেন না। এমন যাচ্ছেতাই অবস্থা সিলেটের প্রথম এই মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যিালয়ের। র্দীঘদিন ধরে এমন হ-য-ব-র-ল অবস্থা চললেও তা নিরসনে কার্যত কোনও উদ্যোগ নেই। সম্প্রতি দুই দফায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেও অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠতে পারছে না র্কতৃপক্ষ। এদিকে ছয় বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস করার কাজে অগ্রগতি হয়নি খুব বেশি। অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমও শুরু করা যায়নি।

এদিকে এমন পরিস্থিতিতে চাকরি স্থায়ীকরণ, বকেয়াসহ বেতন-ভাতা নিয়মিতকরণ ও র্কমস্থলে কাজরে পরিবেশ নিশ্চিতকরণসহ ৩ দফা দাবি নিয়ে গেল বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে আন্দোলনে নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত কর্মচারী পরিষদ। কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই গেল বছরের ২ অক্টোবর অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আরও ২৯ জনকে। নতুন নিয়োগ যারা পেয়েছেন, তাদের মধ্যে পুরনো অনেকে বাদ পড়েছেন। টানা একত্রিশ দিন আন্দোলনের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে কাজে ফিরেন কর্মচারীরা। তখন প্রশাসন নভেম্বরের মধ্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার আশ্বাস দেয়। তবে এখন পর্যন্ত কোন কার্যক্রমই শুরু করতে পারেনি কতৃপক্ষ। এ অবস্থায় ক্ষুভে ফুঁসছে কর্মচারীরা। তারা বলছে, প্রশাসন একেকবার আমাদেরকে একেক বাহানা দেখিয়ে নিয়োগ পক্রিয়া পেছাচ্ছে। তারা আমাদেরকে কেবল আশ্বাসই দিচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এক ধরনের চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন বেতন-ভাতা না পেয়ে তারা হতাশা প্রকাশ করেন। অনেকেই বলেছেন, তারা নিয়মিত অফিস করছেন কিন্তু বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। এ নিয়ে তারা উপাচার্যের সঙ্গে কথাও বলেছেন। উপাচার্য বেতনের বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী পরিষদের সদস্য সচিব নাদিম সীমান্ত গতকাল খোলা কাগজকে জানান, ‘১৪ মাস যাবত বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। অনেকে পরিবার নিয়ে আগে শহরে বসবাস করতেন। কিন্তু বেতন না পেয়ে এখন পরিবার গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। আমরা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে জানিয়েছি। কথা বলেছি। তিনি কয়েক দফা সময় নিয়েও বিষয়টি সুরাহা করেননি। কেবল আশ্বস্তই করে যাচ্ছেন। দাবি আদায় না হওয়া র্পযন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে আরও কঠোর র্কমসূচির ডাক দেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।’

আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুস সামাদ চৌধুরী বলেন, ‘১৪ মাস যাবত বিনা বেতনে কাজ করছি। একটি দিনের জন্যও অফিসের কোনও কাজ বন্ধ রাখিনি। পরবিার বাচ্চাদরে নিয়ে খুব কষ্টে আছি। আমাদরে পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে। তাই বাধ্য হয়ে ফের আমরা কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে তাদের ১১২ জনের স্থায়ী নিয়োগের অনুমোদন রয়েছে। তবে স্থায়ী নিয়োগে সংবিধি না থাকার কারণে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছাড়া বিভিন্ন পদে অতিরিক্ত নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে যোগ করেন তিনি।’

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ফেরদৌস জামান বলেন, বেতন-ভাতার বন্ধের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এসব বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক অধ্যাপক ডা. এ এইচএম এনায়েত হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

খবর: খোলা কাগজ