নানা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে জাতীয় নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে পাকিস্তান। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে আগামীকাল (৮ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে দেশটিতে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবারের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অপেক্ষাকৃত দুর্বল নির্বাচনী প্রচারণা মঙ্গলবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের প্রচারণা থেকে বিরত থাকতেও নির্দেশনা জারি করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।
প্রচারাভিযানের শেষ দিন পিপিপি চেয়ারপারসন বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি লারকানায় গিয়েছিলেন। এটি পাকিস্তানের রাজনীতিতে ‘ভুট্টো রাজবংশের’ ঘাঁটি। আর পিএমএল-এনের শীর্ষ নেতা নওয়াজ শরিফ প্রচারাভিযানের শেষ দিনে কাসুরকে বেছে নিয়েছিলেন। এটি তার ছোট ভাই শেহবাজ শরিফের নির্বাচনী এলাকা। নওয়াজ শরিফের লাহোরে একটি সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু পরে তা বাতিল করা হয়।
ইমরান খানের প্রতিষ্ঠিত দল পিটিআইয়ের ক্ষেত্রে অবশ্য পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। একদিকে দলটিকে তার আইকনিক নির্বাচনী প্রতীক ‘ব্যাট’ থেকে বঞ্চিত হয়েছে, অন্যদিকে দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান অনেক অভিযোগের মুখোমুখি হয়ে কারাগারে আটক রয়েছেন।
এবারই পাকিস্তানে মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ ভোটার হিসেবে তাদের অধিকার প্রয়োগ করবেন। এছাড়া এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সংখ্যাও নজিরবিহীন। এছাড়া ব্যালট পেপার ছাপাতে ২৬০ মিলিয়ন টন কাগজ ব্যবহৃত হয়েছে।
শুধু তাই নয়, ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হবে পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনের চেয়ে ২৬ গুণ বেশি ব্যয়বহুল। পূর্ববর্তী নির্বাচনে ১১ হাজার ৭০০ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন। আর এই নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার। যা আগের নির্বাচনের তুলনায় ৫৩ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এবার অনেক বেশি সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন কারণ পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর আইকনিক ‘ব্যাট’ নির্বাচনী প্রতীক ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং দলটির মনোনীত প্রার্থীরা এবার স্বতন্ত্র হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধ্য হয়েছেন।
ফলস্বরূপ ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা ৬ হাজার ৩৭ জন থেকে ৯৫ শতাংশ বেড়ে ১১ হাজার ৭৮৫ জনে পৌঁছেছে।