০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের আদেশ আজ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে সামরিক তৎপরতাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আদেশ দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে চলেছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার অনুরোধের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) এই আদেশ ঘোষণা করা হবে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার জাতিসংঘের বিচারকরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার অনুরোধের ওপর রায় দেবেন। মূলত ইহুদিবাদী এই দেশটি গাজায় সামরিক অভিযানের নামে রাষ্ট্র পরিচালিত গণহত্যার দায়ে বিশ্ব আদালতে অভিযুক্ত হয়েছে।

অবশ্য ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে কি না, সে ইস্যুতে কোনও ঘোষণা দেবে না আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। শুক্রবার শুধু ইসরায়েলের সামরিক তৎপরতার বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা সে বিষয়েই সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে ৯টি আবেদন জানিয়েছে। এছাড়া গাজায় অবিলম্বে সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি ভূখণ্ডটিতে মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ স্বাভাবিক রাখতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধও জানানো হয়েছে।

এর আগে গাজায় আগ্রাসন আর গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলকে জবাবদিহি করতে গত বছরের শেষের দিকে আইসিজেতে মামলা দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা। চলতি মাসের শুরুতে আদালতে মামলাটির দুই দিনের শুনানি হয়।

শুনানিতে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়, আদালত যেন জরুরি ভিত্তিতে ইসরায়েলকে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেয়। এছাড়া, জেনোসাইড কনভেনশনের আওতায় ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের সুরক্ষার তাগিদও দেওয়া হয়।

অবশ্য ইসরায়েল আদালতকে এই মামলাটি সরাসরি খারিজ করে দিতে বলেছে। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তারা আশা করছেন- জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত ‘এই মিথ্যা এবং বিশেষ অভিযোগগুলোকে ছুড়ে ফেলে দেবে’।

দক্ষিণ আফ্রিকা দুই সপ্তাহ আগে অভিযোগ করে, ইসরায়েলের আকাশ ও স্থল আক্রমণের লক্ষ্য গাজার ‘জনসংখ্যাকে ধ্বংস’ করা। তবে ইসরায়েল এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তারা আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান করে এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার রাখে।

রয়টার্স বলছে, দ্য হেগের স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আদেশ দেওয়া হবে কি না সেই ইস্যুতে সিদ্ধান্ত জানাবে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

দক্ষিণ আফ্রিকা চায়, আদালত গাজায় ইসরায়েলি সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধের আদেশ দেবে। এতে করে যেন আরও মানবিক সহায়তা গাজায় পৌঁছানো যায় এবং ইসরায়েলের সম্ভাব্য আইন লঙ্ঘনের তদন্ত ও বিচার করার সুযোগ পাওয়া যায়।

তবে আদালত দক্ষিণ আফ্রিকার অনুরোধগুলো অনুসরণ করতে বাধ্য নয় এবং মামলার এই পর্যায়ে প্রয়োজন মনে করলে আদালত তার নিজস্ব ব্যবস্থার আদেশ দিতে পারে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

গাজায় গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের আদেশ আজ

প্রকাশিত: ১১:৫৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে সামরিক তৎপরতাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আদেশ দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে চলেছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার অনুরোধের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) এই আদেশ ঘোষণা করা হবে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার জাতিসংঘের বিচারকরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার অনুরোধের ওপর রায় দেবেন। মূলত ইহুদিবাদী এই দেশটি গাজায় সামরিক অভিযানের নামে রাষ্ট্র পরিচালিত গণহত্যার দায়ে বিশ্ব আদালতে অভিযুক্ত হয়েছে।

অবশ্য ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে কি না, সে ইস্যুতে কোনও ঘোষণা দেবে না আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। শুক্রবার শুধু ইসরায়েলের সামরিক তৎপরতার বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা সে বিষয়েই সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে ৯টি আবেদন জানিয়েছে। এছাড়া গাজায় অবিলম্বে সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি ভূখণ্ডটিতে মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ স্বাভাবিক রাখতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধও জানানো হয়েছে।

এর আগে গাজায় আগ্রাসন আর গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলকে জবাবদিহি করতে গত বছরের শেষের দিকে আইসিজেতে মামলা দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা। চলতি মাসের শুরুতে আদালতে মামলাটির দুই দিনের শুনানি হয়।

শুনানিতে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়, আদালত যেন জরুরি ভিত্তিতে ইসরায়েলকে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেয়। এছাড়া, জেনোসাইড কনভেনশনের আওতায় ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের সুরক্ষার তাগিদও দেওয়া হয়।

অবশ্য ইসরায়েল আদালতকে এই মামলাটি সরাসরি খারিজ করে দিতে বলেছে। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তারা আশা করছেন- জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত ‘এই মিথ্যা এবং বিশেষ অভিযোগগুলোকে ছুড়ে ফেলে দেবে’।

দক্ষিণ আফ্রিকা দুই সপ্তাহ আগে অভিযোগ করে, ইসরায়েলের আকাশ ও স্থল আক্রমণের লক্ষ্য গাজার ‘জনসংখ্যাকে ধ্বংস’ করা। তবে ইসরায়েল এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তারা আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান করে এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার রাখে।

রয়টার্স বলছে, দ্য হেগের স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আদেশ দেওয়া হবে কি না সেই ইস্যুতে সিদ্ধান্ত জানাবে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

দক্ষিণ আফ্রিকা চায়, আদালত গাজায় ইসরায়েলি সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধের আদেশ দেবে। এতে করে যেন আরও মানবিক সহায়তা গাজায় পৌঁছানো যায় এবং ইসরায়েলের সম্ভাব্য আইন লঙ্ঘনের তদন্ত ও বিচার করার সুযোগ পাওয়া যায়।

তবে আদালত দক্ষিণ আফ্রিকার অনুরোধগুলো অনুসরণ করতে বাধ্য নয় এবং মামলার এই পর্যায়ে প্রয়োজন মনে করলে আদালত তার নিজস্ব ব্যবস্থার আদেশ দিতে পারে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।