০২:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিরোধী দলের ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে মুক্তি দিতে জাতিসংঘের আহ্বান

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক আটক বিরোধী দলীয় ২৫ হাজার নেতাকর্মীর মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মানবাধিকার ইস্যুতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার আনতে হবে।

প্রথমত, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে সকল সুশীল ও রাজনৈতিক কর্মীদের মুক্তি। সেই সঙ্গে ফৌজদারি অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মান অনুযায়ী ন্যায্য পাবলিক ট্রায়াল নিশ্চিত করা। এ জন্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা জরুরি বলে মনে করেন তারা।

দ্বিতীয়ত, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, অবাধ ও বাধাবিহীন অনুশীলনের নিশ্চয়তা দেবার অনুরোধ করেন। বিশেষ করে রাজনৈতিক সমাবেশে অযথা বিধিনিষেধ আরোপ করা থেকে বিরত থাকতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। একই সাথে এই মৌলিক স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘন করা হলে, কেন করা হলো, তার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে অনুরোধ জানানো হয়।

এছাড়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সমালোচনামূলক প্রতিবেদনের বিপরীতে হুমকি, শারীরিক ও অনলাইন সহিংসতা বা বিচারিক হয়রানি এবং ফৌজদারি বিচার থেকে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমরা মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে সমর্থন ও পরামর্শ দিতে প্রস্তুত।

বিরোধী দলের ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে মুক্তি দিতে জাতিসংঘের আহ্বান

প্রকাশিত: ০৮:৩০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক আটক বিরোধী দলীয় ২৫ হাজার নেতাকর্মীর মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মানবাধিকার ইস্যুতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার আনতে হবে।

প্রথমত, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে সকল সুশীল ও রাজনৈতিক কর্মীদের মুক্তি। সেই সঙ্গে ফৌজদারি অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মান অনুযায়ী ন্যায্য পাবলিক ট্রায়াল নিশ্চিত করা। এ জন্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা জরুরি বলে মনে করেন তারা।

দ্বিতীয়ত, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, অবাধ ও বাধাবিহীন অনুশীলনের নিশ্চয়তা দেবার অনুরোধ করেন। বিশেষ করে রাজনৈতিক সমাবেশে অযথা বিধিনিষেধ আরোপ করা থেকে বিরত থাকতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। একই সাথে এই মৌলিক স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘন করা হলে, কেন করা হলো, তার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে অনুরোধ জানানো হয়।

এছাড়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সমালোচনামূলক প্রতিবেদনের বিপরীতে হুমকি, শারীরিক ও অনলাইন সহিংসতা বা বিচারিক হয়রানি এবং ফৌজদারি বিচার থেকে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমরা মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে সমর্থন ও পরামর্শ দিতে প্রস্তুত।