ফরচুন বরিশালকে ৮ উইকেটে হারিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় তুলে নিয়েছে খুলনা টাইগার্স।
সোমবার দ্বিতীয় ম্যাচে মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান তোলে বরিশাল। জবাবে খেলতে নেমে ১৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা।
বরিশালের দেওয়া চ্যালেঞ্জিং ১৮৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বরিশালের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালাতে থাকেন খুলনার দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও এভিন লুইস। এই দুই ব্যাটার মিলে ৫ ওভারেই তুলে নেন ৭২ রান।
কিন্তু এরপরেই ঘটে ছন্দপতন। ষষ্ঠ ওভারে মোহাম্মদ ইমরানের বলে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহীমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান এভিন লুইস। আউট হওয়ার আগে করেন ২২ বলে ৫৩ রান।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করেন আফিফও। চার মেরে রানের খাতা খোলেন তিনি। ৪০ বলে আফিফ ও বিজয়ের জুটি ৫০ ছাড়িয়ে যায়।
এর খানিক বাদেই ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন খুলনার অধিনায়ক বিজয়। হাফ সেঞ্চুরির পথে ছিলেন আফিফও। তবে ইমরানের বলে লেগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৪১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
এরপর শাই হোপকে নিয়ে খুলনাকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন বিজয়। বিজয় ৪৪ বলে ৬৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন। মাত্র ১০ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলেছেন হোপ।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বরিশালের। ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইব্রাহিম জাদরান। তবে সৌম্যকে সঙ্গে নিয়ে সেই ধাক্কা সামাল দেন তামিম। সৌম্য এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১০ বলে ১৭ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন এই টপ অর্ডার ব্যাটার।
তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৩ বলে ৩০ রান। এই ইনিংস খেলার পথেই বিপিএল ইতিহাসের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৩ হাজার রান পূর্ণ করেছেন এই ওপেনার। তামিম ফেরার পর দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ৬৮ রান। মাহমুদউল্লাহ করেছেন ১৯ বলে ২৭ রান।