০৩:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুর

সিলেটে ছাত্রলীগের তিনশ’ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ছাত্রলীগের আড়াই থেকে তিনশ’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার মধ্যরাতে উপজেলা স্বাস্ত্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো সালাউদ্দিন মিয়া বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। তবে মামলায় আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

সড়ক দুর্ঘটনায় চার ছাত্রলীগ কর্মী নিহতের জেরে শুক্রবার মধ্যরাতে উত্তেজিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এসময় ভাংচুর করা হয় একটি এম্বুলেন্স, হাসপাতালের আসবাবপত্র এবং জরুরী বিভাগের বিভিন্ন সরঞ্জাম। এছাড়া কর্তব্যরত ডাক্তারকে মারধর ও হাসপাতালের গ্যারেজে থাকা একটি নতুন জিপ গাড়িও জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

ভাংচুরের মামলা দায়েরের কথা জানিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সালাহ্উদ্দিন মিয়া, আড়াই থেকে তিনশ’ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

ওই রাতের ঘটনার বর্ননা দিয়ে সালাউদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার পর প্রথমে দুজনের মৃতদেহ নিয়ে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আসেন তারা। এসময় জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক (ইএমও) হিল্লোল সাহা দুইজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর কিছুক্ষণ পর আরও দুজনকে নিয়ে আসেন কয়েকজন। তবে এই দুজনও আগে থেকেই মৃত ছিলেন। তাই আমাদের প্রকৃত অর্থে কিছুই করার ছিলো না।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে জৈন্তাপুর থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আবেগের বশবর্তী হয়ে নিহতের স্বজনরা এমনটি করেছেন। এ বিষয়ে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।’

প্রসঙ্গত, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার সময় তারা জৈন্তাপুর থেকে একটি প্রাইভেটকার নিয়ে তামাবিলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের ৪নং বাংলাবাজার রাংপানি লক্ষীপুর এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারটি মহাসড়কের পাশে খাদে পানিতে পড়ে যায়। এতে চারজনের মৃত্যু হয়।

বিষয়

জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুর

সিলেটে ছাত্রলীগের তিনশ’ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ০৭:৩৭:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ছাত্রলীগের আড়াই থেকে তিনশ’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার মধ্যরাতে উপজেলা স্বাস্ত্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো সালাউদ্দিন মিয়া বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। তবে মামলায় আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

সড়ক দুর্ঘটনায় চার ছাত্রলীগ কর্মী নিহতের জেরে শুক্রবার মধ্যরাতে উত্তেজিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এসময় ভাংচুর করা হয় একটি এম্বুলেন্স, হাসপাতালের আসবাবপত্র এবং জরুরী বিভাগের বিভিন্ন সরঞ্জাম। এছাড়া কর্তব্যরত ডাক্তারকে মারধর ও হাসপাতালের গ্যারেজে থাকা একটি নতুন জিপ গাড়িও জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

ভাংচুরের মামলা দায়েরের কথা জানিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সালাহ্উদ্দিন মিয়া, আড়াই থেকে তিনশ’ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

ওই রাতের ঘটনার বর্ননা দিয়ে সালাউদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার পর প্রথমে দুজনের মৃতদেহ নিয়ে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আসেন তারা। এসময় জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক (ইএমও) হিল্লোল সাহা দুইজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর কিছুক্ষণ পর আরও দুজনকে নিয়ে আসেন কয়েকজন। তবে এই দুজনও আগে থেকেই মৃত ছিলেন। তাই আমাদের প্রকৃত অর্থে কিছুই করার ছিলো না।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে জৈন্তাপুর থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আবেগের বশবর্তী হয়ে নিহতের স্বজনরা এমনটি করেছেন। এ বিষয়ে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।’

প্রসঙ্গত, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার সময় তারা জৈন্তাপুর থেকে একটি প্রাইভেটকার নিয়ে তামাবিলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের ৪নং বাংলাবাজার রাংপানি লক্ষীপুর এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারটি মহাসড়কের পাশে খাদে পানিতে পড়ে যায়। এতে চারজনের মৃত্যু হয়।