১০:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদ্রোহীদের তাড়া খেয়ে ভারতে পালালো মিয়ানমারের ৬০০ সেনা

ফাইল ছবি। এএফপি

মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের তাড়া খেয়ে গত কয়েকদিনে মিজোরামে ঢুকেছে অন্তত ৬০০ সৈন্য। তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে মিজোরাম সরকার।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মিয়ানমারে তীব্র সংঘর্ষের মধ্যে গত কয়েকদিনে প্রায় ৬০০ সৈন্য ভারতে প্রবেশ করেছে। জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কয়েকটি ক্যাম্প দখল করার পর পালিয়ে মিজোরামের লংটলাই জেলায় আশ্রয় নেয় এসব সৈন্য। তাদের আসাম রাইফেলসের ক্যাম্পে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

এ অবস্থায় শিলংয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে জরুরি আলোচনায় বসেছিলেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা।

সরকারি সূত্রগুলো বলেছে, পালিয়ে যাওয়া মিয়ানমারের সেনা সদস্যদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে মিজোরাম। ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের জেরে এই আবেদন জানিয়েছে ভারতীয় রাজ্যটি।

মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, মিয়ানমার থেকে মানুষজন আমাদের দেশে আশ্রয়ের জন্য পালিয়ে আসছে এবং আমরা মানবিক কারণে তাদের সাহায্য করছি। আগে আমরা তাদের আকাশপথে ফেরত পাঠাতাম। এ যাবৎ প্রায় ৪৫০ জন সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই গণতন্ত্রপন্থিদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে তাদের। তবে গত অক্টোবরের শেষের দিকে তিনটি জাতিগত সংখ্যালঘু বাহিনী সমন্বিত আক্রমণ শুরু করলে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে জান্তা সরকার।

এরই মধ্যে বেশ কিছু শহর ও সামরিক পোস্ট দখল করেছে বিদ্রোহীরা এবং এর ফলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে মিয়ানমারের সৈন্যরা।

বিদ্রোহীদের তাড়া খেয়ে ভারতে পালালো মিয়ানমারের ৬০০ সেনা

প্রকাশিত: ০৫:২৫:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৪

মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের তাড়া খেয়ে গত কয়েকদিনে মিজোরামে ঢুকেছে অন্তত ৬০০ সৈন্য। তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে মিজোরাম সরকার।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মিয়ানমারে তীব্র সংঘর্ষের মধ্যে গত কয়েকদিনে প্রায় ৬০০ সৈন্য ভারতে প্রবেশ করেছে। জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কয়েকটি ক্যাম্প দখল করার পর পালিয়ে মিজোরামের লংটলাই জেলায় আশ্রয় নেয় এসব সৈন্য। তাদের আসাম রাইফেলসের ক্যাম্পে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

এ অবস্থায় শিলংয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে জরুরি আলোচনায় বসেছিলেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা।

সরকারি সূত্রগুলো বলেছে, পালিয়ে যাওয়া মিয়ানমারের সেনা সদস্যদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে মিজোরাম। ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের জেরে এই আবেদন জানিয়েছে ভারতীয় রাজ্যটি।

মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, মিয়ানমার থেকে মানুষজন আমাদের দেশে আশ্রয়ের জন্য পালিয়ে আসছে এবং আমরা মানবিক কারণে তাদের সাহায্য করছি। আগে আমরা তাদের আকাশপথে ফেরত পাঠাতাম। এ যাবৎ প্রায় ৪৫০ জন সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই গণতন্ত্রপন্থিদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে তাদের। তবে গত অক্টোবরের শেষের দিকে তিনটি জাতিগত সংখ্যালঘু বাহিনী সমন্বিত আক্রমণ শুরু করলে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে জান্তা সরকার।

এরই মধ্যে বেশ কিছু শহর ও সামরিক পোস্ট দখল করেছে বিদ্রোহীরা এবং এর ফলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে মিয়ানমারের সৈন্যরা।