তীব্র শীতে বির্যস্ত জনজীবন। পৌষের শেষ দিক থেকেই সারাদেশেই হাড়কাঁপানো শীতে অনেকেরই জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। পুরো জানুয়ারি জুড়েই সারাদেশে শীতের এই প্রকোপ থাকছে বলে বার্তা দিয়েছে দেশের আবহাওয়া বিভাগ।
ঢাকাসহ অনেক জেলাতেও দিনের বেলা সূর্যের আলোচোখে পড়ছে না। ঘন কুয়াশার সঙ্গে শীতের হিমেলহাওয়ায় ঘর থেকে বাইরে বের হওয়াও দায় হয়েছে। এদিকে শীতের প্রকোপে শীতজনিত রোগব্যাধি বাড়ছে।প্রতিদিনই অসংখ্য শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্করা ভর্তি হচ্ছেনবিভিন্ন হাসপাতালে।
আরও পড়ুন> তীব্র শীতে বন্ধ থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ও
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশেরসর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রিসেলসিয়াস। যা গত সোমবার ছিল বরিশালে ৯ ডিগ্রিসেলসিয়াস। এছাড়া ঢাকার ১৪ দশমিক ৮ থেকে ১ডিগ্রি কমে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রিতে নেমেছে। এদিকে ১২ডিগ্রির নিচে থাকা অঞ্চলগুলো হচ্ছে, চট্টগ্রামেরসীতাকুণ্ডে ১০; বান্দরবানে ১০ দশমিক ২; নওগাঁরবদলগাছীতে ১০ দশমিক ৩; বগুড়ায় ১০ দশমিক ৪; তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৭; বরিশালে ১০ দশমিক ৮; ভোলা, নীলফামারীর ডিমলা ও কিশোরগঞ্জেরনিকলীতে ১১, খুলনায় ১১ দশমিক ৩, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও দিনাজপুরে ১১ দশমিক ৪, রাঙামাটিতে ১১ দশমিক ৫; নীলফামারীর সৈয়দপুরে১১ দশমিক ৬; চট্টগ্রামে ১১ দশমিক ৭; রংপুর, রাজশাহী ও গোপালগঞ্জে ১১ দশমিক ৮; কুষ্টিয়ারকুমারখালী ও পাবনার ঈশ্বরদীতে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসতাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
অধিদপ্তরটি তথ্য বলছে, দেশে দমকা হাওয়া বা বৃষ্টি নানামলে ঘন কুয়াশা সরবে না। আর কুয়াশা না সরলেশীতের তীব্রতাও কমবে না। তাদের তথ্য বলছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানেআকাশে মেঘ জমতে পারে, অনেক এলাকায় বৃষ্টিহওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশিসমস্যায় পড়ছেন দেশের শ্রমজীবী মানুষ। কুয়াশা ওঠান্ডা বাতাসের কারণে দিনের বেলায়ও দেশের উত্তর–দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের অনেক এলাকায়জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন > তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার ধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর(মাউশি) অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচেনামবে, সেসব জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল বন্ধথাকবে।