০৫:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মুজিবুল হক চুন্নু

টাকা নিয়েছি প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগ করবো

জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি বাংলাদেশের কোনো লোক যদি বলতে পারে আমি বা চেয়ারম্যান কারও কাছ থেকে টাকা নিয়েছি দলের জন্য বা পার্টিকে দেওয়ার জন্য তাহলে আমি পদত্যাগ করবো।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এ চ্যালেঞ্জ জানান চুন্নু। এর আগে রোববার নির্বাচনে ভরাডুবি, অনিয়মসহ নানা অভিযোগে জাপার পরাজিত প্রার্থীরা বিশেষ সভা করেন। সেখানে তারা অভিযোগ করেন ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে হাইকমান্ড।

এ বিষয়ে চুন্নু বলেন, এইগুলো হলো গসিপিং। অনেকেই মনে করেছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যেহেতু আমাদের কথাবার্তা হয়েছে, ২৬টা সিট দিয়েছে। তাদের ধারণা আমাদের অনেক টাকা দিয়েছে। শত শত কোটি টাকা দিয়েছে, প্রার্থীদের কেন আমরা টাকা দিলাম না। এটা তাদের মনের আসল ব্যথা। ইলেকশন ঠিকমত হয় নাই, তারা পাস করে নাই এইটা আসল ব্যথা না। দুই একজন ছাড়া বাকিদের আসল ব্যথা আমরা শত কোটি টাকা পেয়েছি, তাদের দেই নাই।

চুন্নুর প্রশ্ন, শত কোটি টাকা কে দেবে? সরকার আমাকে টাকা দেবে কেন? সরকার যদি আমাকে টাকা দেয় তাহলে এটা জানার বাকি থাকবে?

রোববার বিশেষ সভায় চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের সমালোচনা করায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু এবং কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও সিলেট-২ আসনের জাপার প্রার্থী ইয়াহ ইয়া চৌধুরীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

জাপা মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের সফলতা-ব্যর্থতার দায় জাপা চেয়ারম্যান ও আমি নিতে রাজি ছিলাম। তার মানে এই না, পাবলিকলি এই ধরনের কথা বলবে। সেন্টু তার আসনে নৌকা আছে বলে আগেই জানিয়েছিল সে ভোট করবে না। সে করেও নাই। যে লোকটা ভোট চায় নাই, সে তো এরকম অভিযোগ করতে পারে না। ইয়াহ হিয়া সামান্য ভোট পেয়েছে। উল্লেখ করার মতো না। ২০১৮ সালে নৌকা ছিল না, তখনও সে জামানত হারিয়েছে। মিলন ইলেকশন করে নাই, সে হাজী সেলিমের ছেলেকে সাপোর্ট দিয়েছে।

রোববারের অনুষ্ঠান সম্পর্কে চুন্নুর বক্তব্য গতকাল খুব বেশি প্রার্থী ছিল না। অল্প সংখ্যক ছিল। তার মধ্যে কিছু আছে যারা জীবনে ৫০০ ভোটও পাবে না। তারা ভোট করতে চেয়েছে, আমরা খালি রাখি নাই।

বাঙালনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।

সূত্র: জাগো নিউজ

মুজিবুল হক চুন্নু

টাকা নিয়েছি প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগ করবো

প্রকাশিত: ০৯:৪৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি বাংলাদেশের কোনো লোক যদি বলতে পারে আমি বা চেয়ারম্যান কারও কাছ থেকে টাকা নিয়েছি দলের জন্য বা পার্টিকে দেওয়ার জন্য তাহলে আমি পদত্যাগ করবো।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এ চ্যালেঞ্জ জানান চুন্নু। এর আগে রোববার নির্বাচনে ভরাডুবি, অনিয়মসহ নানা অভিযোগে জাপার পরাজিত প্রার্থীরা বিশেষ সভা করেন। সেখানে তারা অভিযোগ করেন ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে হাইকমান্ড।

এ বিষয়ে চুন্নু বলেন, এইগুলো হলো গসিপিং। অনেকেই মনে করেছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যেহেতু আমাদের কথাবার্তা হয়েছে, ২৬টা সিট দিয়েছে। তাদের ধারণা আমাদের অনেক টাকা দিয়েছে। শত শত কোটি টাকা দিয়েছে, প্রার্থীদের কেন আমরা টাকা দিলাম না। এটা তাদের মনের আসল ব্যথা। ইলেকশন ঠিকমত হয় নাই, তারা পাস করে নাই এইটা আসল ব্যথা না। দুই একজন ছাড়া বাকিদের আসল ব্যথা আমরা শত কোটি টাকা পেয়েছি, তাদের দেই নাই।

চুন্নুর প্রশ্ন, শত কোটি টাকা কে দেবে? সরকার আমাকে টাকা দেবে কেন? সরকার যদি আমাকে টাকা দেয় তাহলে এটা জানার বাকি থাকবে?

রোববার বিশেষ সভায় চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের সমালোচনা করায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু এবং কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও সিলেট-২ আসনের জাপার প্রার্থী ইয়াহ ইয়া চৌধুরীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

জাপা মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের সফলতা-ব্যর্থতার দায় জাপা চেয়ারম্যান ও আমি নিতে রাজি ছিলাম। তার মানে এই না, পাবলিকলি এই ধরনের কথা বলবে। সেন্টু তার আসনে নৌকা আছে বলে আগেই জানিয়েছিল সে ভোট করবে না। সে করেও নাই। যে লোকটা ভোট চায় নাই, সে তো এরকম অভিযোগ করতে পারে না। ইয়াহ হিয়া সামান্য ভোট পেয়েছে। উল্লেখ করার মতো না। ২০১৮ সালে নৌকা ছিল না, তখনও সে জামানত হারিয়েছে। মিলন ইলেকশন করে নাই, সে হাজী সেলিমের ছেলেকে সাপোর্ট দিয়েছে।

রোববারের অনুষ্ঠান সম্পর্কে চুন্নুর বক্তব্য গতকাল খুব বেশি প্রার্থী ছিল না। অল্প সংখ্যক ছিল। তার মধ্যে কিছু আছে যারা জীবনে ৫০০ ভোটও পাবে না। তারা ভোট করতে চেয়েছে, আমরা খালি রাখি নাই।

বাঙালনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।

সূত্র: জাগো নিউজ