পৌষের শেষদিকে সারাদেশেই জেঁকে বসেছে শীত। তাই সারাদেশেই তীব্র শীতে জবুথবু অবস্থা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়া ও উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
ঘন কুয়াশা আরও দু-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে তারা জানিয়েছেন। এরপর রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে শীতের তীব্রতা কমতে পারে। এরপর সপ্তাহ শেষে বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির পর তাপমাত্রা ফের কমে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) পৌষের ২৯ তারিখ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের (৮ জেলা) ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন> ১৩ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বইছে
শনিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দিনাজপুরে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল টেকনাফে।
আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা বলেন, ‘কুয়াশা পরিস্থিতি আরও দু-তিন থাকতে পারে। এছাড়া উত্তরের হিমেল হাওয়া বইছে। গতকালের চেয়ে আজ বাতাস কিছুটা কম আছে। তবে কুয়াশার কারণে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই রোদ না থাকায় শীতের তীব্রতা রয়েছে। আরও দু-তিন দিন পর কুয়াশার তীব্রতা করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ১৬ ও ১৭ জানুয়ারির দিকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তির দিকে থাকতে পারে। তবে শীতের অনুভূতি থাকবে। এরপর ১৮ ও ১৯ তারিখের দিকে একটু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টির পর তাপমাত্রা ফের কমতে পারে।’