গত ৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদকে সরকার কুক্ষিগত করে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয়নি। ভোটের ফলাফল সব নির্ধারিত হয়েছে ঢাকার একটি উচ্চ পর্যায়ের টেবিল থেকে। কে কত ভোট পাবে, কে কে নির্বাচিত হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে মঈন খান অভিযোগ করেন, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিস সরকার বেদখল করে নিয়েছিল ২৮ অক্টোবর ক্র্যাকডাউন করে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র আজ মৃত। গণতন্ত্রের জন্য লাখ লাখ মানুষ নিজেদের রক্ত দিয়েছিল, এ অবস্থার জন্য নয়। সরকার বিশ্বাস করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থায়।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘এ দেশের মানুষ ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জন করে সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া বলেছে এ নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে, সুষ্ঠু হয়নি। অনেক সংস্থা বলেছে, নির্বাচনে সুষ্ঠু ও লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করে হয়নি। সাজানো নাটক করে নির্বাচনের আবহ তৈরি করেছে- তা বিশ্বে প্রমাণিত হয়েছে। এটা স্পষ্ট হয়েছে, ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয়নি। ভোটার ফলাফল সব নির্ধারিত হয়েছে ঢাকার একটি উচ্চ পর্যায়ের টেবিল থেকে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে আছি, থাকবো। ক্ষমতার জন্য নয়, জনগণের জন্য রাজনীতি করি। একটা ভোটের পরিবেশ আমরা সৃষ্টি করবো, ইনশাআল্লাহ।’
এ সময় মঈন খান আরও বলেন, ‘নির্বাচনের অনিয়মের ২৫০ ঘটনা নিয়ে আমাদের ডকুমেন্ট তৈরি হয়েছে। এগুলো যথেষ্ট নয়, আরও আড়াইশ অনিয়মের ঘটনা নিয়ে ডকুমেন্ট তৈরি হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, জয়নুল আবেদীন, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, স্বনির্ভর বিষয়ক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবেদ রাজা, চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।
সূত্র: জাগো নিউজ