০৬:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে হতাশ কানাডা

বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে হতাশ প্রকাশ করেছে কানাডা। এছাড়া নির্বাচনের আগে ও পরে সহিংসতার ঘটনায় নিন্দাও জানিয়েছে উত্তর আমেরিকার এই দেশটি।একইসঙ্গে কানাডা বাংলাদেশের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রশংসা এবং সমর্থন করে বলেও জানিয়েছে দেশটি।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে কানাডা সরকারের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা ডিপার্টমেন্ট।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি : যুক্তরাজ্য

এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কানাডা বাংলাদেশি নাগরিকদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রশংসা ও সমর্থন করে এবং নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের সময়কালে ঘটে যাওয়া ভয়ভীতি দেখানোর মতো কাজ ও সহিংসতার নিন্দা জানাচ্ছে। যারা এসব সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সকলের প্রতি আমরা সহানুভূতি জানাচ্ছি।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কানাডা হতাশা প্রকাশ করছে যে, এই নির্বাচনী প্রক্রিয়া গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার মূলনীতি থেকে ছিটকে পড়েছে যার ভিত্তিতে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এছাড়া গণতন্ত্র, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান এবং মৌলিক স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সকল পক্ষের সাথে স্বচ্ছভাবে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে কানাডা, যা হবে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। একটি কার্যকর বিরোধী দল, স্বাধীন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা শক্তিশালী এবং সুস্থ গণতন্ত্র নিশ্চিত করার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।’

গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে কানাডাও ছিল এবং আরও স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশের জনগণকে তাদের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতে কানাডা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে।’

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি: আমেরিকা

এর আগে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে জানিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ ছিল না বলেও জানিয়েছে দেশটি।

এছাড়া বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু মানদণ্ড মেনে নির্বাচন হয়নি বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাজ্য। নির্বাচনে সব দল অংশ না নেওয়ায় মানুষের ভোট দেওয়ার যথেষ্ট বিকল্প ছিল না বলেও অভিমত দেশটির।

বিষয়

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে হতাশ কানাডা

প্রকাশিত: ০৪:২২:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে হতাশ প্রকাশ করেছে কানাডা। এছাড়া নির্বাচনের আগে ও পরে সহিংসতার ঘটনায় নিন্দাও জানিয়েছে উত্তর আমেরিকার এই দেশটি।একইসঙ্গে কানাডা বাংলাদেশের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রশংসা এবং সমর্থন করে বলেও জানিয়েছে দেশটি।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে কানাডা সরকারের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা ডিপার্টমেন্ট।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি : যুক্তরাজ্য

এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কানাডা বাংলাদেশি নাগরিকদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রশংসা ও সমর্থন করে এবং নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের সময়কালে ঘটে যাওয়া ভয়ভীতি দেখানোর মতো কাজ ও সহিংসতার নিন্দা জানাচ্ছে। যারা এসব সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সকলের প্রতি আমরা সহানুভূতি জানাচ্ছি।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কানাডা হতাশা প্রকাশ করছে যে, এই নির্বাচনী প্রক্রিয়া গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার মূলনীতি থেকে ছিটকে পড়েছে যার ভিত্তিতে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এছাড়া গণতন্ত্র, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান এবং মৌলিক স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সকল পক্ষের সাথে স্বচ্ছভাবে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে কানাডা, যা হবে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। একটি কার্যকর বিরোধী দল, স্বাধীন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা শক্তিশালী এবং সুস্থ গণতন্ত্র নিশ্চিত করার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।’

গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে কানাডাও ছিল এবং আরও স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশের জনগণকে তাদের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতে কানাডা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে।’

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি: আমেরিকা

এর আগে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে জানিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ ছিল না বলেও জানিয়েছে দেশটি।

এছাড়া বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু মানদণ্ড মেনে নির্বাচন হয়নি বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাজ্য। নির্বাচনে সব দল অংশ না নেওয়ায় মানুষের ভোট দেওয়ার যথেষ্ট বিকল্প ছিল না বলেও অভিমত দেশটির।