পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানিয়েছেন, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন নাশকতাকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছিল। তিনি বলেন, তাদের সেই পরিকল্পনার তথ্য আমরা পেয়েছি এবং সে অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতিও নিয়েছি। আশা করি এ ধরনের ভীতির সঞ্চার তারা করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, এর আগেও সারাদেশে নাশকতার চেষ্টা হয়েছিল, তবে নাশকতাকারীরা কোথাও সফল হতে পারেনি। আমরা সবাই মিলে আগামী ৭ জানুয়ারি একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হবো৷
বিগত নির্বাচনগুলোতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিভিন্ন ‘গুজব’ ছড়ানো হয়েছে। ভোটারদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। এবারের নির্বাচন ঘিরে এ ধরনের গুজব ঠেকাতে পুলিশ কী ভূমিকা রাখবে? এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট সাইবার ওয়ার্ল্ডে কাজ করছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের সব কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
বিএনপি ও সমমনাদের হরতাল ঘোষণার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশপ্রধান বলেন, এদেশের মানুষ নির্বাচনমুখী এবং নির্বাচনের জন্য দেশবাসী উন্মুখ হয়ে আছে। দলে দলে মানুষ ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যাবে। ভোট উৎসবে হরতালকারীদের খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে আমার মনে হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, সব কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রেখেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট একসঙ্গে একযোগে কাজ করছি। স্থানীয় প্রশাসন ও রিটার্নিং অফিসাররাও একযোগে এক প্ল্যাটফর্মে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: ভোটের মাঠে সেনাবাহিনী
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বা নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে ফলাফল ভালো হবে না। যারা এসব করতে চাইবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেবো।