০৫:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিইউদের ১৩৪ রানেই থামল টাইগাররা

বাংলাদেশের বোলারদের বোলিং তোপে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে মাত্র ৯৮ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। আর আজ প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের বোলিং তোপে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে কিউইরা। জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ১৩৫ রান।

নিউজিল্যান্ডের নেপিয়ারে ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টা ১০ মিনিটে। কিউইদের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন টিম সেইফার্ট ও ফিন অ্যালেন। তবে এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দিলেন না মেহেদী হাসান।মেহেদী হাসানের বলে প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান টিম সেইফার্ট। তিন বলে শূন্য রান করেই সাজঘরে ফিরে যান তিনি।

মেহেদীর পর কিউই শিবিরে আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের বলে সেকেন্ড স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান আরেক ওপেনার টিম সেইফার্ট। তিন বলে মাত্র ১ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে ১ রানেই ২ উইকেট হারায় কিউইরা।

দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে গ্লেন ফিলিপসও ফিরে যান শূন্য রানে। তাকেও ফেরান শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। তার বিদায়ে ১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে নিউজিল্যান্ড।

১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন ড্যারিল মিচেল ও মার্ক চ্যাপম্যান। তবে এই জুটিকেও বেশিদূর এগোতে দেননি মেহেদী হাসান। টিম সেইফার্টের মতো মেহেদীর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ড্যারিল মিচেল। আউট হওয়ার আগে করেন ১৫ বলে ১৪ রান।

দলীয় ২০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জিমি নিশামকে নিয়ে জুটি গড়েন মার্ক চ্যাপম্যান। ক্রমেই বাংলাদেশের জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠছিল এই জুটি। অবশেষে এই জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। রিশাদের বলে ডিপ কাভার পয়েন্টে তানজিম হাসান সাকিবের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মার্ক চ্যাপম্যান। আউট হওয়ার আগে করেন ১৯ বলে ১৯ রান। তার বিদায়ে ৫০ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে পড়ে কিউইরা।

জুটি গড়ে দলকে খাদের কিনার থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন জিমি নিশাম ও কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে নিউজিল্যান্ড। তবে দলীয় ৯১ রানে মিচেল স্যান্টনারকে ফিরিয়ে ৪১ রানের জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের বলে মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন স্যান্টনার। মিড উইকেটে দাঁড়ানো সৌম্য সরকার সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন। খালি চোখে আম্পায়ার বুঝতে পারেননি, আসলে কি ঘটেছে। এরপর থার্ড আম্পায়ার বেশ কয়েকবার দেখে আউটের সিদ্ধান্ত দেন। আউট হওয়ার আগে করেন ২২ বলে ২৩ রান।

স্যান্টনারের পর প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন জিমি নিশাম। তাকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। অর্ধশতক থেকে মাত্র ২ রান দূরে থাকা নিশাম মোস্তাফিজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ কাভার পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন। ডিপ কাভার পয়েন্টে দাঁড়ানো আফিফ হোসেন ক্যাচটি তালুবন্দি করতে ভুল করেননি। যার ফলে ৪৮ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় নিশামকে।

জিমি নিশামের পর টিম সাউদিকেও ফেরান মোস্তাফিজ। মোস্তাফিজের বলে ডিপ স্কোয়ার লেগে আফিফ হোসেনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান সাউদি। তার বিদায়ে ১২৪ রানে ৮ উইকেট হারায় কিউইরা।

টিম সাউদির পর দলীয় ১২৭ রানে তানজিম হাসানের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ইশ সোধিও। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান তুলতে সক্ষম হয় কিউইরা।

বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল ইসলাম ৩টি, মেহেদী হাসান ২টি, মোস্তাফিজ ২টি, তানজিম হাসান ১টি ও রিশাদ হোসেন ১টি করে উইকেট নেন।

সূত্র : ঢাকা টাইমস

বিষয়

কিইউদের ১৩৪ রানেই থামল টাইগাররা

প্রকাশিত: ০৮:৩৯:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশের বোলারদের বোলিং তোপে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে মাত্র ৯৮ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। আর আজ প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের বোলিং তোপে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে কিউইরা। জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ১৩৫ রান।

নিউজিল্যান্ডের নেপিয়ারে ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টা ১০ মিনিটে। কিউইদের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন টিম সেইফার্ট ও ফিন অ্যালেন। তবে এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দিলেন না মেহেদী হাসান।মেহেদী হাসানের বলে প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান টিম সেইফার্ট। তিন বলে শূন্য রান করেই সাজঘরে ফিরে যান তিনি।

মেহেদীর পর কিউই শিবিরে আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের বলে সেকেন্ড স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান আরেক ওপেনার টিম সেইফার্ট। তিন বলে মাত্র ১ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে ১ রানেই ২ উইকেট হারায় কিউইরা।

দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে গ্লেন ফিলিপসও ফিরে যান শূন্য রানে। তাকেও ফেরান শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। তার বিদায়ে ১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে নিউজিল্যান্ড।

১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন ড্যারিল মিচেল ও মার্ক চ্যাপম্যান। তবে এই জুটিকেও বেশিদূর এগোতে দেননি মেহেদী হাসান। টিম সেইফার্টের মতো মেহেদীর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ড্যারিল মিচেল। আউট হওয়ার আগে করেন ১৫ বলে ১৪ রান।

দলীয় ২০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জিমি নিশামকে নিয়ে জুটি গড়েন মার্ক চ্যাপম্যান। ক্রমেই বাংলাদেশের জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠছিল এই জুটি। অবশেষে এই জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। রিশাদের বলে ডিপ কাভার পয়েন্টে তানজিম হাসান সাকিবের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মার্ক চ্যাপম্যান। আউট হওয়ার আগে করেন ১৯ বলে ১৯ রান। তার বিদায়ে ৫০ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে পড়ে কিউইরা।

জুটি গড়ে দলকে খাদের কিনার থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন জিমি নিশাম ও কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে নিউজিল্যান্ড। তবে দলীয় ৯১ রানে মিচেল স্যান্টনারকে ফিরিয়ে ৪১ রানের জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের বলে মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন স্যান্টনার। মিড উইকেটে দাঁড়ানো সৌম্য সরকার সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন। খালি চোখে আম্পায়ার বুঝতে পারেননি, আসলে কি ঘটেছে। এরপর থার্ড আম্পায়ার বেশ কয়েকবার দেখে আউটের সিদ্ধান্ত দেন। আউট হওয়ার আগে করেন ২২ বলে ২৩ রান।

স্যান্টনারের পর প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন জিমি নিশাম। তাকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। অর্ধশতক থেকে মাত্র ২ রান দূরে থাকা নিশাম মোস্তাফিজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ কাভার পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন। ডিপ কাভার পয়েন্টে দাঁড়ানো আফিফ হোসেন ক্যাচটি তালুবন্দি করতে ভুল করেননি। যার ফলে ৪৮ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় নিশামকে।

জিমি নিশামের পর টিম সাউদিকেও ফেরান মোস্তাফিজ। মোস্তাফিজের বলে ডিপ স্কোয়ার লেগে আফিফ হোসেনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান সাউদি। তার বিদায়ে ১২৪ রানে ৮ উইকেট হারায় কিউইরা।

টিম সাউদির পর দলীয় ১২৭ রানে তানজিম হাসানের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ইশ সোধিও। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান তুলতে সক্ষম হয় কিউইরা।

বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল ইসলাম ৩টি, মেহেদী হাসান ২টি, মোস্তাফিজ ২টি, তানজিম হাসান ১টি ও রিশাদ হোসেন ১টি করে উইকেট নেন।

সূত্র : ঢাকা টাইমস