০৬:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় নির্বাচন করতে হচ্ছে, ইইউকে কাদের

সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় সরকারকে এই নির্বাচনটি করতে হচ্ছে বলে বাংলাদেশে সফরে আসা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নির্বাচন করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। তার ব্যাখ্যা প্রতিনিধি দল ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন ওবায়দুল কাদের। পরে তিনি সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফ করেন।

বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের বক্তব্য শুনেছেন। বাংলাদেশের বাস্তবতা এই নির্বাচনটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচনটা আমাদের করতে হয়েছে। ২৭টার মতো দল আছে, এক হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। এসব বিষয় তারা পজিটিভ নিয়েছেন।’

কাদের বলেন, ‘তারা আমাদের ইলেকশনকে সামনে রেখে তাদের প্রদত্ত যে দায়িত্ব সেটা পালন করছেন। তারা আমাদের কথাই বেশি শুনতে আগ্রহী ছিলেন। মন্তব্য তারা তেমন করতে চাননি। আমরাও ইনসিস্ট করিনি। আমরা আমাদের ইলেকশন নিয়ে কথা বলেছি।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভয়ভীতি এসব আছে। তারপরও আমরা বলেছি ভোটের টার্ন আউট সন্তোষজনক হবে। মানুষের আগ্রহ আছে। সারাদেশের ভোটারদের মধ্যে যা লক্ষ করা যাচ্ছে, তাতে করে টান আউট নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার কোনো কারণ নেই। বিএনপি একটি বড় দল, টার্ন আউট নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশের স্ট্যান্ডার্ড বজায় থাকবে সেটাই আমরা বলেছি।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ভায়োলেন্স নিয়ে তারা জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি, ভায়োলেন্স তো হচ্ছে। পিসফুল নির্বাচনের জবাব দিচ্ছে ভায়োলেন্স দিয়ে।’

কাদের বলেন, ‘পাঁচ বছর পরপর ইলেকশন করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। নির্বাচিত সরকার, নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে, এটাই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তাদের (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) আসলে মাথাব্যথা ইউক্রেন নিয়ে, গাজা-ইজরায়েল-ফিলিস্তিন নিয়ে। কাজেই শক্তিধররা বেশি ঘামাচ্ছেন এসব নিয়ে। কঙ্গোতে একটা ইলেকশন হইছে, কারও সাথে কারও যোগাযোগ নেই। ফলাফল হয়ে গেছে। পাকিস্তান ভালো ডেমোক্রেসির উদাহরণ, এটা কেউ বলবে না।’

কাদের বলেন, ‘তাদের কোনো কনসার্ন নাই। ইলেকশন নিয়ে প্রস্তুতি কী জানতে চেয়েছে। কনসার্স থাকলেও সেটা তাদের মনে আছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘সে অধিকার দেওয়া হয়েছে। যে স্বতন্ত্র ইলেকশন করছে, সে যদি আওয়ামী লীগের হয় তার সাথে অন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কাজ করে তাহলে কোনো সমস্যা দেখি না। আমরা নতুন এক্সপেরিয়েন্স বিশ্বকে দেখাতে চাচ্ছি। জনমত নিয়ে এটাও ডেমোক্রেসি।’

এই নির্বাচনে বিএনপির স্বতন্ত্রও আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্র শুধু আওয়ামী লীগের কি না। বাইরেরও কে কে আছে। অনেকে বিএনপি থেকে এসে হইছে। বেশিরভাগ আওয়ামী লীগের না। স্বতন্ত্র শুধু আওয়ামী লীগের না।’

সূত্র : ঢাকা মেইল

বিষয়

সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় নির্বাচন করতে হচ্ছে, ইইউকে কাদের

প্রকাশিত: ০১:১৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় সরকারকে এই নির্বাচনটি করতে হচ্ছে বলে বাংলাদেশে সফরে আসা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নির্বাচন করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। তার ব্যাখ্যা প্রতিনিধি দল ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন ওবায়দুল কাদের। পরে তিনি সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফ করেন।

বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের বক্তব্য শুনেছেন। বাংলাদেশের বাস্তবতা এই নির্বাচনটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচনটা আমাদের করতে হয়েছে। ২৭টার মতো দল আছে, এক হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। এসব বিষয় তারা পজিটিভ নিয়েছেন।’

কাদের বলেন, ‘তারা আমাদের ইলেকশনকে সামনে রেখে তাদের প্রদত্ত যে দায়িত্ব সেটা পালন করছেন। তারা আমাদের কথাই বেশি শুনতে আগ্রহী ছিলেন। মন্তব্য তারা তেমন করতে চাননি। আমরাও ইনসিস্ট করিনি। আমরা আমাদের ইলেকশন নিয়ে কথা বলেছি।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভয়ভীতি এসব আছে। তারপরও আমরা বলেছি ভোটের টার্ন আউট সন্তোষজনক হবে। মানুষের আগ্রহ আছে। সারাদেশের ভোটারদের মধ্যে যা লক্ষ করা যাচ্ছে, তাতে করে টান আউট নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার কোনো কারণ নেই। বিএনপি একটি বড় দল, টার্ন আউট নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশের স্ট্যান্ডার্ড বজায় থাকবে সেটাই আমরা বলেছি।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ভায়োলেন্স নিয়ে তারা জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি, ভায়োলেন্স তো হচ্ছে। পিসফুল নির্বাচনের জবাব দিচ্ছে ভায়োলেন্স দিয়ে।’

কাদের বলেন, ‘পাঁচ বছর পরপর ইলেকশন করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। নির্বাচিত সরকার, নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে, এটাই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তাদের (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) আসলে মাথাব্যথা ইউক্রেন নিয়ে, গাজা-ইজরায়েল-ফিলিস্তিন নিয়ে। কাজেই শক্তিধররা বেশি ঘামাচ্ছেন এসব নিয়ে। কঙ্গোতে একটা ইলেকশন হইছে, কারও সাথে কারও যোগাযোগ নেই। ফলাফল হয়ে গেছে। পাকিস্তান ভালো ডেমোক্রেসির উদাহরণ, এটা কেউ বলবে না।’

কাদের বলেন, ‘তাদের কোনো কনসার্ন নাই। ইলেকশন নিয়ে প্রস্তুতি কী জানতে চেয়েছে। কনসার্স থাকলেও সেটা তাদের মনে আছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘সে অধিকার দেওয়া হয়েছে। যে স্বতন্ত্র ইলেকশন করছে, সে যদি আওয়ামী লীগের হয় তার সাথে অন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কাজ করে তাহলে কোনো সমস্যা দেখি না। আমরা নতুন এক্সপেরিয়েন্স বিশ্বকে দেখাতে চাচ্ছি। জনমত নিয়ে এটাও ডেমোক্রেসি।’

এই নির্বাচনে বিএনপির স্বতন্ত্রও আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্র শুধু আওয়ামী লীগের কি না। বাইরেরও কে কে আছে। অনেকে বিএনপি থেকে এসে হইছে। বেশিরভাগ আওয়ামী লীগের না। স্বতন্ত্র শুধু আওয়ামী লীগের না।’

সূত্র : ঢাকা মেইল