০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ভোটের পর নৌকা বিরোধীদের ঠ্যাং ভেঙে ফেলা হবে’

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে পঞ্চগড়ে-১ আসনে নৌকার বিরোধী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সমর্থকদের ভোটের পর পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউপির কাজীরহাট বাজারে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সভায় নৌকার বিপক্ষে যারা কাজ করছেন তাদেরকে চিহ্নিত করে রাখার ব্যাপারে বক্তব্য দেন তিনি।

চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু বক্তব্যে বলেন, এত দিন যারা নৌকার পতাকা তলে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়েছে এখন নৌকার বাইরে তারা অন্য সুর ধরেছে, তাদের চিহ্নিত করে রাখবেন। ৭ তারিখের পরে এই সমস্ত লোককে নৌকার আশপাশে দেখলে প্রয়োজনে তাদের ঠ্যাং ভেঙে ফেলা হবে। এদেরকে খন্দকার মোস্তাক বলা হয়। কারণ নৌকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মার্কা, এই মার্কা জননেত্রী শেখ হাসিনার মার্কা। এই মার্কায় যেই সমস্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিরোধিতা করে তাদেরকে খন্দকার মোস্তাক বলতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

বক্তব্যটি স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট ও তার কর্মী সমর্থকদের ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে।

হুমকি দেওয়া ওই নুরুজ্জামান নুরু পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পঞ্চগড়-১ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তার অনুসারী ও সমর্থক বলে জানা গেছে। নির্বাচনী সভায় এই আওয়ামী লীগের সর্মথকের হুমকির ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে জেলাজুড়ে শুরু হয় সমালোচনা।

এর আগেও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর অনুসারী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব এক নির্বাচনী সভায় এমন হুমকি প্রদান করলে তাকে শোকজ করে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।

সূত্র : ঢাকা পোস্ট

বিষয়

‘ভোটের পর নৌকা বিরোধীদের ঠ্যাং ভেঙে ফেলা হবে’

প্রকাশিত: ০৬:৩৪:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে পঞ্চগড়ে-১ আসনে নৌকার বিরোধী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সমর্থকদের ভোটের পর পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউপির কাজীরহাট বাজারে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সভায় নৌকার বিপক্ষে যারা কাজ করছেন তাদেরকে চিহ্নিত করে রাখার ব্যাপারে বক্তব্য দেন তিনি।

চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু বক্তব্যে বলেন, এত দিন যারা নৌকার পতাকা তলে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়েছে এখন নৌকার বাইরে তারা অন্য সুর ধরেছে, তাদের চিহ্নিত করে রাখবেন। ৭ তারিখের পরে এই সমস্ত লোককে নৌকার আশপাশে দেখলে প্রয়োজনে তাদের ঠ্যাং ভেঙে ফেলা হবে। এদেরকে খন্দকার মোস্তাক বলা হয়। কারণ নৌকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মার্কা, এই মার্কা জননেত্রী শেখ হাসিনার মার্কা। এই মার্কায় যেই সমস্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিরোধিতা করে তাদেরকে খন্দকার মোস্তাক বলতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

বক্তব্যটি স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট ও তার কর্মী সমর্থকদের ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে।

হুমকি দেওয়া ওই নুরুজ্জামান নুরু পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পঞ্চগড়-১ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তার অনুসারী ও সমর্থক বলে জানা গেছে। নির্বাচনী সভায় এই আওয়ামী লীগের সর্মথকের হুমকির ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে জেলাজুড়ে শুরু হয় সমালোচনা।

এর আগেও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর অনুসারী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব এক নির্বাচনী সভায় এমন হুমকি প্রদান করলে তাকে শোকজ করে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।

সূত্র : ঢাকা পোস্ট