তথাকথিত জালিয়াতির এ নির্বাচন আওয়ামী লীগকে ইতোমধ্যে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। এবার তেপান্তরে পাঠাবে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোল, একতরফা নির্বাচন ও পরিকল্পিত সহিংসতার প্রতিবাদে’ গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, প্রচণ্ড নির্যাতনের মধ্যেও আমরা দাঁড়িয়ে আছি, এগিয়ে যাচ্ছি এবং এগিয়ে যেতে থাকব; পারলে ঠেকান। কী করবেন? গ্রেপ্তার করবেন ? সাজা দেবেন? দিতে থাকেন আন্দোলন বন্ধ করতে পারবেন না। যতই নাটক করেন, যত কিছুই করেন ৭ জানুয়ারি আসবে, চলে যাবে আপনার সংকট শেষ হবে না। এই নির্বাচন তথাকথিত জালিয়াতির নির্বাচন, আওয়ামী লীগকে ইতোমধ্যে নির্বাসনে পাঠিয়েছে এবার তেপান্তরে পাঠাবে। বাঁচার উপায় নেই আওয়ামী লীগের। যত কিছুই করেন না কেন জনগণের রুদ্ধ রোষানলে আপনারা টিকতে পারবেন না।
মান্না বলেন, আগামী নির্বাচন যে হবে এটা রেডিও টেলিভিশন বলে, মানুষ বলে না। ভোট কেমন হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে জিএম কাদেরকে জিজ্ঞেস করেন। পুলিশ নিয়ে গিয়ে তার কার্যালয় ঘেরাও করে রাখলেন, চেয়ারম্যানের রুম তালা মেরে রাখলেন; তারপরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বললেন, ‘এই ভিক্ষা নিয়ে আমি নির্বাচন করব না।’ তার মানে সরকার নির্বাচনের নামে ভিক্ষা দিয়ে বেড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, এই প্রতারণার নির্বাচনের পরে প্রধান বিরোধী দল কে হবে ? সরকার তো হয়েই আছে। প্রধান বিরোধী দল কে হবে? জাতীয় পার্টি হবে? যারা নিজেদের আসন কনফার্ম করতে পারে না। অনেক কান্নাকাটি অনুনয় বিনয় করে যে ২৬টি দিয়েছে আবার তাদের অনেকেই বলে কাকে যে রাখে আবার কাকে বাদ দেয় বলা মুশকিল। তবে অনেকেই বলে এবার বিরোধীদল হবে স্বতন্ত্র পার্টি। পৃথিবীতে এ রকম কোথাও কী হয়েছে? এই ৪২০ নির্বাচন নিয়ে বড়াই করার কিছুই নেই।
ডাকসুর সাবেক এ ভিপি বলেন, সম্প্রতি ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনায় পুলিশ কমিশনার বিবৃতি দিয়েছেন। মনে হয়েছে আওয়ামী লীগের প্যাডে তিনি বিবৃতি দিয়েছেন। কোনো তদন্ত ছাড়াই তিনি বললেন, ট্রেনে আগুন দিয়েছে বিরোধীদল। ট্রেনের আগুন লাগা বগিতে নুরুল নামে একজন ছিলেন, তিনি বলেছেন পোশাক (রেলের কর্মচারীর পোশাক) পরা লোক ট্রেনে আগুন দিয়েছে। এরা এই পোশাক পেল কোথায় এগুলোর কোনো তদন্ত নেই। তাই কমিশনারের বক্তব্য থেকে বুঝা যায়, পুলিশ প্রশাসন ও সরকার এক হয়ে বিরোধীদলের আন্দোলন দমনের জন্য কাজ করছে।
সূত্র : ঢাকাপোস্ট