১১:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইনের খসড়া তৈরি, কারা, কীভাবে অংশ নেবেন

দেশে প্রথমবারের মতো কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর জন্য আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এখন খসড়া এ আইনের ওপর বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতামত সংগ্রহ করছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় সংযোজন–বিয়োজনের মাধ্যমে আইনটি চূড়ান্ত করা হবে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, আইনটি চূড়ান্ত হওয়ার পর আগ্রহীরা কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আবেদন করবেন। পাশাপাশি কমোডিটি এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহী ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে আলাদাভাবে অনুমোদন নিতে হবে। এরপরই অনুমোদিত এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে পণ্য লেনদেন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে। চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার আগে অবশ্যই প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ থেকে শুরু করে, লেনদেন–সুবিধা তৈরিসহ আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইনটি চূড়ান্ত হওয়ার পর আগ্রহীরা আবেদন করলেই আমরা কমোডিটি এক্সচেঞ্জের অনুমোদন দিয়ে দেব। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় বিধিবিধান তৈরি করতে হবে। এরপরই লেনদেন শুরুর অনুমতি দেওয়া হবে।’

খসড়া আইনে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠায় যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে, তার বেশির ভাগই দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রেও রয়েছে। তবে প্রথমবারের মতো কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর উদ্যোগের সঙ্গে এখন পর্যন্ত জড়িত রয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ বা সিএসই। তারা তাদের এ–সংক্রান্ত প্রস্তুতি অনেকটাই গুছিয়ে এনেছে বলে স্টক এক্সচেঞ্জটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

কমোডিটি এক্সচেঞ্জে অনেক ধরনের পণ্য লেনদেনের সুবিধা থাকলেও আপাতত এক বা একাধিক পণ্য নিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করতে চায় সিএসই। জানা গেছে, শুরুতে সোনার লেনদেনের মাধ্যমে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি। তবে এ লেনদেন শুরুর আগে সংস্থাটিকে ২৫–৩০টি বিধিবিধান তৈরি করতে হবে। নিয়োগ দিতে হবে দক্ষ জনবল। নতুন ধরনের লেনদেন পরিচালনায় আলাদা কারিগরি ব্যবস্থা, ওয়্যারহাউস সুবিধাও নিশ্চিত করতে হবে।

ব্রোকারেজ হাউস হিসেবে যুক্ত হতে পারবে কারা
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, লেনদেনের জন্য অনুমোদিত ‘ট্রেক হোল্ডার’ বা ব্রোকারেজ হাউস ছাড়া অন্য কেউ কমোডিটি এক্সচেঞ্জে লেনদেন করতে পারবে না। ব্রোকার হিসেবে নিবন্ধনের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউসের ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন হতে হবে ১০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধনের ৭৫ শতাংশ বা সাড়ে ৭ কোটি টাকা সব সময় প্রকৃত সম্পদ হিসেবে সংরক্ষিত থাকতে হবে। ব্রোকারেজ হাউসের পরিচালনা পর্ষদের কোনো সদস্য যদি অপরাধ, প্রতারণা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকেন বা ঋণখেলাপি হন, তবে ওই ব্রোকারেজ হাউস নিবন্ধনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

এ ছাড়া পরিচালনা পর্ষদের কোনো সদস্য দেউলিয়া ঘোষিত হলে; কোনো ব্রোকারেজ হাউসের আলাদা কার্যালয়, দক্ষ জনবল ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসুবিধা না থাকলে; অনুমোদনপ্রাপ্ত ব্রোকারেজ হাউসের প্রতিটি শাখার জন্য বাড়তি দুই কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন না থাকলে কোনো ব্রোকারেজ হাউস কমোডিটি এক্সচেঞ্জে লেনদেনের অনুমোদন পাবে না।

কারা লেনদেনে অংশ নিতে পারবেন
কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত বিএসইসি ও সিএসইর একাধিক কর্মকর্তা জানান, প্রচলিত শেয়ারবাজারের মতো সাধারণ বিনিয়োগকারী থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী পর্যন্ত সবাই কমোডিটি এক্সচেঞ্জে লেনদেনের সুযোগ পাবেন। তবে প্রচলিত শেয়ারবাজারের চেয়েও কমোডিটি এক্সচেঞ্জে ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই পর্যাপ্ত দক্ষতা ও আর্থিক জ্ঞান না থাকলে এ বাজার থেকে লাভবান হওয়ার সুযোগ কম।

কীভাবে লেনদেন হবে
ধরা যাক, সোনা দিয়েই লেনদেন শুরু হলো কোনো কমোডিটি এক্সচেঞ্জের। লেনদেন হওয়ার আগে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও প্রসপেক্টাসের মতো সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুমোদিত ঘোষণাপত্র বা চুক্তির শর্ত থাকবে, যা কন্ট্রাক্ট স্পেসিফিকেশন হিসেবে বিবেচিত হবে। সাধারণ শেয়ারবাজারে শেয়ারের হাতবদল হয়। আর কমোডিটি এক্সচেঞ্জে হাতবদল হবে চুক্তিপত্র বা কন্ট্রাক্টের। ওই চুক্তিপত্রের মেয়াদ আগে থেকেই নির্ধারিত থাকবে।

ধরা যাক, কোনো একটি চুক্তিপত্রের মেয়াদ তিন মাস। তাহলে ওই চুক্তিপত্রের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে তিন মাসের মেয়াদ শেষে। ওই সময় যিনি বিক্রেতা থাকবেন, তিনি ক্রেতাকে হয় পণ্য, না হয় নগদ অর্থে চুক্তিপত্রের দাম পরিশোধ করবেন। সোনা দিয়ে যদি লেনদেন শুরু হয়, তাহলে কেনাবেচার সুবিধার্থে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণিতে বেশ কিছু চুক্তিপত্র থাকবে। এর কোনোটি হতে পারে ১০ গ্রামে ওজনের সোনার চুক্তিপত্র, কোনোটি ১০০ গ্রামের, কোনোটি এক ভরির, কোনোটি ১০ ভরির, কোনোটি বা ১০০ ভরির। ওজন অনুযায়ী, চুক্তিপত্রের দাম নির্ধারিত হবে।

অনুমোদিত একেকটি ব্রোকারেজ হাউস তাদের জন্য নির্ধারিত সীমা অনুযায়ী চুক্তিপত্র ইস্যু করতে পারবে। যেসব বিনিয়োগকারী এ চুক্তিপত্র কিনবেন, তাঁদেরকে নির্ধারিত হারে জামানত জমা রাখতে হবে। পরে ওই ক্রেতা যদি লাভে বা লোকসানে ওই চুক্তিপত্র বিক্রি করে দেন, তাহলে যে পরিমাণ লাভ হবে, সেই পরিমাণ অর্থ তার হিসাবে জমা হয়ে যাবে। আর যদি লোকসান করেন, তাহলে তাঁর জামানত থেকে সেই অর্থ কেটে রাখা হবে।

সোনার চুক্তিপত্রের বাজারমূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতি বা বিশ্বের কমোডিটি এক্সচেঞ্জে কী দামে সোনা বেচাকেনা হচ্ছে, এসব তথ্য তুলে ধরা হবে। তার ভিত্তিতে ক্রেতারা দাম প্রস্তাব করতে পারবেন।

সোনার কমোডিটি এক্সচেঞ্জের প্রসঙ্গে কর্মকর্তারা বলেন, দেশে এখন যেভাবে সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু হলে তাতে পরিবর্তন হতে পারে।

বিষয়

আইনের খসড়া তৈরি, কারা, কীভাবে অংশ নেবেন

প্রকাশিত: ০৬:৫০:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশে প্রথমবারের মতো কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর জন্য আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এখন খসড়া এ আইনের ওপর বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতামত সংগ্রহ করছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় সংযোজন–বিয়োজনের মাধ্যমে আইনটি চূড়ান্ত করা হবে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, আইনটি চূড়ান্ত হওয়ার পর আগ্রহীরা কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আবেদন করবেন। পাশাপাশি কমোডিটি এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহী ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে আলাদাভাবে অনুমোদন নিতে হবে। এরপরই অনুমোদিত এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে পণ্য লেনদেন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে। চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার আগে অবশ্যই প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ থেকে শুরু করে, লেনদেন–সুবিধা তৈরিসহ আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইনটি চূড়ান্ত হওয়ার পর আগ্রহীরা আবেদন করলেই আমরা কমোডিটি এক্সচেঞ্জের অনুমোদন দিয়ে দেব। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় বিধিবিধান তৈরি করতে হবে। এরপরই লেনদেন শুরুর অনুমতি দেওয়া হবে।’

খসড়া আইনে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠায় যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে, তার বেশির ভাগই দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রেও রয়েছে। তবে প্রথমবারের মতো কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর উদ্যোগের সঙ্গে এখন পর্যন্ত জড়িত রয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ বা সিএসই। তারা তাদের এ–সংক্রান্ত প্রস্তুতি অনেকটাই গুছিয়ে এনেছে বলে স্টক এক্সচেঞ্জটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

কমোডিটি এক্সচেঞ্জে অনেক ধরনের পণ্য লেনদেনের সুবিধা থাকলেও আপাতত এক বা একাধিক পণ্য নিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করতে চায় সিএসই। জানা গেছে, শুরুতে সোনার লেনদেনের মাধ্যমে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি। তবে এ লেনদেন শুরুর আগে সংস্থাটিকে ২৫–৩০টি বিধিবিধান তৈরি করতে হবে। নিয়োগ দিতে হবে দক্ষ জনবল। নতুন ধরনের লেনদেন পরিচালনায় আলাদা কারিগরি ব্যবস্থা, ওয়্যারহাউস সুবিধাও নিশ্চিত করতে হবে।

ব্রোকারেজ হাউস হিসেবে যুক্ত হতে পারবে কারা
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, লেনদেনের জন্য অনুমোদিত ‘ট্রেক হোল্ডার’ বা ব্রোকারেজ হাউস ছাড়া অন্য কেউ কমোডিটি এক্সচেঞ্জে লেনদেন করতে পারবে না। ব্রোকার হিসেবে নিবন্ধনের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউসের ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন হতে হবে ১০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধনের ৭৫ শতাংশ বা সাড়ে ৭ কোটি টাকা সব সময় প্রকৃত সম্পদ হিসেবে সংরক্ষিত থাকতে হবে। ব্রোকারেজ হাউসের পরিচালনা পর্ষদের কোনো সদস্য যদি অপরাধ, প্রতারণা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকেন বা ঋণখেলাপি হন, তবে ওই ব্রোকারেজ হাউস নিবন্ধনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

এ ছাড়া পরিচালনা পর্ষদের কোনো সদস্য দেউলিয়া ঘোষিত হলে; কোনো ব্রোকারেজ হাউসের আলাদা কার্যালয়, দক্ষ জনবল ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসুবিধা না থাকলে; অনুমোদনপ্রাপ্ত ব্রোকারেজ হাউসের প্রতিটি শাখার জন্য বাড়তি দুই কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন না থাকলে কোনো ব্রোকারেজ হাউস কমোডিটি এক্সচেঞ্জে লেনদেনের অনুমোদন পাবে না।

কারা লেনদেনে অংশ নিতে পারবেন
কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত বিএসইসি ও সিএসইর একাধিক কর্মকর্তা জানান, প্রচলিত শেয়ারবাজারের মতো সাধারণ বিনিয়োগকারী থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী পর্যন্ত সবাই কমোডিটি এক্সচেঞ্জে লেনদেনের সুযোগ পাবেন। তবে প্রচলিত শেয়ারবাজারের চেয়েও কমোডিটি এক্সচেঞ্জে ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই পর্যাপ্ত দক্ষতা ও আর্থিক জ্ঞান না থাকলে এ বাজার থেকে লাভবান হওয়ার সুযোগ কম।

কীভাবে লেনদেন হবে
ধরা যাক, সোনা দিয়েই লেনদেন শুরু হলো কোনো কমোডিটি এক্সচেঞ্জের। লেনদেন হওয়ার আগে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও প্রসপেক্টাসের মতো সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুমোদিত ঘোষণাপত্র বা চুক্তির শর্ত থাকবে, যা কন্ট্রাক্ট স্পেসিফিকেশন হিসেবে বিবেচিত হবে। সাধারণ শেয়ারবাজারে শেয়ারের হাতবদল হয়। আর কমোডিটি এক্সচেঞ্জে হাতবদল হবে চুক্তিপত্র বা কন্ট্রাক্টের। ওই চুক্তিপত্রের মেয়াদ আগে থেকেই নির্ধারিত থাকবে।

ধরা যাক, কোনো একটি চুক্তিপত্রের মেয়াদ তিন মাস। তাহলে ওই চুক্তিপত্রের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে তিন মাসের মেয়াদ শেষে। ওই সময় যিনি বিক্রেতা থাকবেন, তিনি ক্রেতাকে হয় পণ্য, না হয় নগদ অর্থে চুক্তিপত্রের দাম পরিশোধ করবেন। সোনা দিয়ে যদি লেনদেন শুরু হয়, তাহলে কেনাবেচার সুবিধার্থে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণিতে বেশ কিছু চুক্তিপত্র থাকবে। এর কোনোটি হতে পারে ১০ গ্রামে ওজনের সোনার চুক্তিপত্র, কোনোটি ১০০ গ্রামের, কোনোটি এক ভরির, কোনোটি ১০ ভরির, কোনোটি বা ১০০ ভরির। ওজন অনুযায়ী, চুক্তিপত্রের দাম নির্ধারিত হবে।

অনুমোদিত একেকটি ব্রোকারেজ হাউস তাদের জন্য নির্ধারিত সীমা অনুযায়ী চুক্তিপত্র ইস্যু করতে পারবে। যেসব বিনিয়োগকারী এ চুক্তিপত্র কিনবেন, তাঁদেরকে নির্ধারিত হারে জামানত জমা রাখতে হবে। পরে ওই ক্রেতা যদি লাভে বা লোকসানে ওই চুক্তিপত্র বিক্রি করে দেন, তাহলে যে পরিমাণ লাভ হবে, সেই পরিমাণ অর্থ তার হিসাবে জমা হয়ে যাবে। আর যদি লোকসান করেন, তাহলে তাঁর জামানত থেকে সেই অর্থ কেটে রাখা হবে।

সোনার চুক্তিপত্রের বাজারমূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতি বা বিশ্বের কমোডিটি এক্সচেঞ্জে কী দামে সোনা বেচাকেনা হচ্ছে, এসব তথ্য তুলে ধরা হবে। তার ভিত্তিতে ক্রেতারা দাম প্রস্তাব করতে পারবেন।

সোনার কমোডিটি এক্সচেঞ্জের প্রসঙ্গে কর্মকর্তারা বলেন, দেশে এখন যেভাবে সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু হলে তাতে পরিবর্তন হতে পারে।