০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ২ বছরের জন্য জাতীয় সরকারের প্রস্তাব নুরের

সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনে রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এক থেকে দুই বছরের জন্য জাতীয় সরকার করার প্রস্তাব করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের ভোটাধিকার ও দেশের অস্তিত্ব রক্ষায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। সেখানে পুলিশ কেন বাধা দেবে? সভা-সমাবেশ আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। যে ইসিকে জনগণ মেনে নেয়নি তাদের নিষেধাজ্ঞায় কেন আমরা মিছিল-মিটিং বন্ধ করবো?

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) হরতালের সমর্থনে পুরানা পল্টনে সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

নির্বাচনের তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে গণঅধিকার পরিষদ। বেলা পৌনে ১১টায় পুরানা পল্টন মোড়ের পাশের গলি থেকে মিছিল বের করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি শেষে মিছিল বের করে পুরানা পল্টন মোড়, বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড় ঘুরে আল-রাজি কমপ্লেক্সের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমরা মিছিল বের করতে গেলে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। তাদের অনেকের চেহারায় অস্বস্তির ছাপ ছিল। কারণ তারা অনেকেই আমাদের পূর্ব পরিচিত, তারা আমাদের ওপর হামলা করবে কীভাবে। এক তরফা নির্বাচন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে সরকার প্রশাসনকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ভিন্নমতের রাজনীতি করলেও গ্রামে, পাড়া-মহল্লায় মানুষের মধ্যে যে সম্প্রীতি ছিল, আওয়ামী লীগ আজ সেটাও নষ্ট করে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আজ দেশের সব প্রতিষ্ঠান ভারতের নিয়ন্ত্রণে। ভারত বাংলাদেশকে ব্যর্থ ও পঙ্গু রাষ্ট্রে পরিণত করতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করছে। আমাদের পরিষ্কার কথা, আমরাও নির্বাচন চাই। সে নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে।’

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অস্তিত্ব হারানোর আশঙ্কায় থাকলে প্রয়োজনে রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এক থেকে দুই বছরের জন্য জাতীয় সরকার হতে পারে। সরকারকে সে উদ্যোগ নিতে হবে। এখনো সময় আছে, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের বলবো, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি করুন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের উদ্যোগ নিন।’

সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে জনগণকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে নুর বলেন, ‘পুলিশ যতই বাধা দিক, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলবে। যে যেখান থেকে পারেন সেখান থেকে কর্মসূচি দেন। সর্বদলীয় গণপ্রতিরোধ কমিটি গঠন করে এক তরফা নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। সরকারকে বলবো, নিরস্ত্র জনগণের ওপর দমন-পীড়ন, অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে মিয়ানমারের মতো সশস্ত্র আন্দোলনের দিকে ঠেলে দেবেন না।’

সূত্র : জাগোনিউজ

বিষয়

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ২ বছরের জন্য জাতীয় সরকারের প্রস্তাব নুরের

প্রকাশিত: ১২:১৯:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনে রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এক থেকে দুই বছরের জন্য জাতীয় সরকার করার প্রস্তাব করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের ভোটাধিকার ও দেশের অস্তিত্ব রক্ষায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। সেখানে পুলিশ কেন বাধা দেবে? সভা-সমাবেশ আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। যে ইসিকে জনগণ মেনে নেয়নি তাদের নিষেধাজ্ঞায় কেন আমরা মিছিল-মিটিং বন্ধ করবো?

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) হরতালের সমর্থনে পুরানা পল্টনে সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

নির্বাচনের তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে গণঅধিকার পরিষদ। বেলা পৌনে ১১টায় পুরানা পল্টন মোড়ের পাশের গলি থেকে মিছিল বের করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি শেষে মিছিল বের করে পুরানা পল্টন মোড়, বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড় ঘুরে আল-রাজি কমপ্লেক্সের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমরা মিছিল বের করতে গেলে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। তাদের অনেকের চেহারায় অস্বস্তির ছাপ ছিল। কারণ তারা অনেকেই আমাদের পূর্ব পরিচিত, তারা আমাদের ওপর হামলা করবে কীভাবে। এক তরফা নির্বাচন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে সরকার প্রশাসনকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ভিন্নমতের রাজনীতি করলেও গ্রামে, পাড়া-মহল্লায় মানুষের মধ্যে যে সম্প্রীতি ছিল, আওয়ামী লীগ আজ সেটাও নষ্ট করে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আজ দেশের সব প্রতিষ্ঠান ভারতের নিয়ন্ত্রণে। ভারত বাংলাদেশকে ব্যর্থ ও পঙ্গু রাষ্ট্রে পরিণত করতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করছে। আমাদের পরিষ্কার কথা, আমরাও নির্বাচন চাই। সে নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে।’

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অস্তিত্ব হারানোর আশঙ্কায় থাকলে প্রয়োজনে রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এক থেকে দুই বছরের জন্য জাতীয় সরকার হতে পারে। সরকারকে সে উদ্যোগ নিতে হবে। এখনো সময় আছে, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের বলবো, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি করুন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের উদ্যোগ নিন।’

সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে জনগণকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে নুর বলেন, ‘পুলিশ যতই বাধা দিক, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলবে। যে যেখান থেকে পারেন সেখান থেকে কর্মসূচি দেন। সর্বদলীয় গণপ্রতিরোধ কমিটি গঠন করে এক তরফা নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। সরকারকে বলবো, নিরস্ত্র জনগণের ওপর দমন-পীড়ন, অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে মিয়ানমারের মতো সশস্ত্র আন্দোলনের দিকে ঠেলে দেবেন না।’

সূত্র : জাগোনিউজ