০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্ব: ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ ঘোষণার দাবি মার্কিন সংস্থার

ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ধর্মাচরণের স্বাধীনতা বিপন্নতার অভিযোগ নতুন নয়। দেশে-বিদেশে বহু প্রতিষ্ঠান এই ব্যাপারে সরব হয়েছে। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন বারাক ওবামা এই ব্যাপারে সরব হয়েছিলেন। এবার মার্কিন সরকারের একটি স্বশাসিত সংস্থা বাইডেন প্রশাসনকে সুপারিশ করেছে ধর্মীয় স্বাধীনতা, সহিষ্ণুতার প্রশ্নে ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ বলে ঘোষণা করা হোক। খবর রয়টার্সের।

মার্কিন ওই সংস্থাটির নাম ‘দ্য ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’ (ইউএসসিআইআরএফ)। ১৯৯৮ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের ঘটনায় নজরদারির কাজ করে। এ নিয়ে সংস্থাটি টানা পাচঁবার ভারত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল তাদের বার্ষিক রিপোর্টে। এবার তারা শুধু ভারতের অভ্যন্তরের ঘটনাবলী ছাড়াও বিদেশের মাটিতে ভারতীয়দের ধর্মকেন্দ্রিক অপরাধ নিয়েও তৎপর হয়েছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে ভারতের নিয়মতান্ত্রিক এবং ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘনের কারণে ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগের’ দেশ হিসেবে মনোনীত করার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে অনুরোধ করে ইউএসসিআইআরএফ।

ইউএসসিআইআরএফ কমিশনার স্টিফেন স্নেক জানান, কানাডায় শিখ কর্মী হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যা এবং যুক্তরাষ্ট্রে আরেক শিখ কর্মী গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রে ভারত সরকারের কথিত জড়িত থাকার বিষটি “গভীরভাবে উদ্বেগজনক”।

ইউএসসিআইআরএফের আরও এক কমিশনার ডেভিড কারির বক্তব্য, ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের ঘটনা নতুন নয়। এখন তা বিদেশেও সক্রামিত হয়েছে। তিনি জানান, ১৯৯৮ সালের ইউএস রিলিজিয়াস ফ্রিডম অ্যাক্টে কোনও দেশকে ধর্মীয় স্বাধীনতা, সহিষ্ণুতার মানদণ্ডে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ ঘোষণার বিধান রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।

বাইডেন প্রশাসনকে পেশ করা বিবৃতিতে সংস্থাটি ভারতের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ করার সুপারিশও করেছে। তারা বলেছে, যে সব প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এবং এজেন্সির লোকজন ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের ঘটনায় অভিযুক্ত তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। তারা যাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পায় সে ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। এছাড়া ওই কর্মকর্তাদের যুক্তরাষ্ট্রে কোনও সম্পদ থেকে থাকলে তাও বাজেয়াপ্ত করা হোক।

বিষয়

ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্ব: ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ ঘোষণার দাবি মার্কিন সংস্থার

প্রকাশিত: ১০:৩৫:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ধর্মাচরণের স্বাধীনতা বিপন্নতার অভিযোগ নতুন নয়। দেশে-বিদেশে বহু প্রতিষ্ঠান এই ব্যাপারে সরব হয়েছে। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন বারাক ওবামা এই ব্যাপারে সরব হয়েছিলেন। এবার মার্কিন সরকারের একটি স্বশাসিত সংস্থা বাইডেন প্রশাসনকে সুপারিশ করেছে ধর্মীয় স্বাধীনতা, সহিষ্ণুতার প্রশ্নে ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ বলে ঘোষণা করা হোক। খবর রয়টার্সের।

মার্কিন ওই সংস্থাটির নাম ‘দ্য ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’ (ইউএসসিআইআরএফ)। ১৯৯৮ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের ঘটনায় নজরদারির কাজ করে। এ নিয়ে সংস্থাটি টানা পাচঁবার ভারত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল তাদের বার্ষিক রিপোর্টে। এবার তারা শুধু ভারতের অভ্যন্তরের ঘটনাবলী ছাড়াও বিদেশের মাটিতে ভারতীয়দের ধর্মকেন্দ্রিক অপরাধ নিয়েও তৎপর হয়েছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে ভারতের নিয়মতান্ত্রিক এবং ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘনের কারণে ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগের’ দেশ হিসেবে মনোনীত করার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে অনুরোধ করে ইউএসসিআইআরএফ।

ইউএসসিআইআরএফ কমিশনার স্টিফেন স্নেক জানান, কানাডায় শিখ কর্মী হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যা এবং যুক্তরাষ্ট্রে আরেক শিখ কর্মী গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রে ভারত সরকারের কথিত জড়িত থাকার বিষটি “গভীরভাবে উদ্বেগজনক”।

ইউএসসিআইআরএফের আরও এক কমিশনার ডেভিড কারির বক্তব্য, ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের ঘটনা নতুন নয়। এখন তা বিদেশেও সক্রামিত হয়েছে। তিনি জানান, ১৯৯৮ সালের ইউএস রিলিজিয়াস ফ্রিডম অ্যাক্টে কোনও দেশকে ধর্মীয় স্বাধীনতা, সহিষ্ণুতার মানদণ্ডে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ ঘোষণার বিধান রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।

বাইডেন প্রশাসনকে পেশ করা বিবৃতিতে সংস্থাটি ভারতের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ করার সুপারিশও করেছে। তারা বলেছে, যে সব প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এবং এজেন্সির লোকজন ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের ঘটনায় অভিযুক্ত তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। তারা যাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পায় সে ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। এছাড়া ওই কর্মকর্তাদের যুক্তরাষ্ট্রে কোনও সম্পদ থেকে থাকলে তাও বাজেয়াপ্ত করা হোক।