০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনের পর সরকার পাঁচদিন টিকবে কি না প্রশ্ন ড. মঈন খানের

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, দেশে বর্তমানে রাজনীতি বলতে কিছু নেই। রয়েছে অপরাজনীতি। এখানে ক্ষমতার নামে চলে দখল ও চাঁদাবাজি আর টাকা পাচার।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে ভালোবাসলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিক। জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হলে প্রথম আমি অভিনন্দন জানাবো। না হলে এবার জুজুর ভয় দেখিয়ে এই সরকারের কোনো লাভ হবে না।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের একটি মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের পর সরকার ৫দিন টিকবে কি না কেউ বলতে পারেন? সুতরাং ২০১৪ সাল আর ২০২৪ সাল কিন্তু এক না। জনগণের শক্তির কাছে কামান বা বুলেট কিছুই টিকে না। বিশ্বে এমন অসংখ্য নজির রয়েছে। এবার সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। এই সরকারের ওপর জনগণের আস্থা নেই।

‘মহান বিজয় দিবস, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে চিকিৎকদের সংগঠন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সংকটের সমাধান করতে হবে। সরকার মুখে যা বলে কাজে তা করেনা। কাজে যা করে তা বলে না। তারা নিজেদের গণতান্ত্রিক সরকার বলে পরিচয় দেয়। বিএনপিকে বলে সন্ত্রাসী দল! তারা মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বার বার বিভ্রান্ত করছে। তারা হিটলারের মন্ত্রী গোয়েবলসের মতো মিথ্যাচার করছে। তবে এভাবে সরকারের শেষ রক্ষা হবেনা। ক্ষমতার মোহে অন্ধ হলে পায়ের মাটি কখন সরে যায় টের পাওয়া যায় না।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনোই স্বৈরশাসক কে মানেনি। যার প্রমাণ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। সেদিন কিন্তু দেশের জনগণ পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে ও গণতন্ত্রের দাবিতে জীবন দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছে। আমরা আবারও সবাইকে নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন ঘটাবো ইনশাআল্লাহ।

বিষয়

নির্বাচনের পর সরকার পাঁচদিন টিকবে কি না প্রশ্ন ড. মঈন খানের

প্রকাশিত: ০১:৩৬:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, দেশে বর্তমানে রাজনীতি বলতে কিছু নেই। রয়েছে অপরাজনীতি। এখানে ক্ষমতার নামে চলে দখল ও চাঁদাবাজি আর টাকা পাচার।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে ভালোবাসলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিক। জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হলে প্রথম আমি অভিনন্দন জানাবো। না হলে এবার জুজুর ভয় দেখিয়ে এই সরকারের কোনো লাভ হবে না।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের একটি মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের পর সরকার ৫দিন টিকবে কি না কেউ বলতে পারেন? সুতরাং ২০১৪ সাল আর ২০২৪ সাল কিন্তু এক না। জনগণের শক্তির কাছে কামান বা বুলেট কিছুই টিকে না। বিশ্বে এমন অসংখ্য নজির রয়েছে। এবার সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। এই সরকারের ওপর জনগণের আস্থা নেই।

‘মহান বিজয় দিবস, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে চিকিৎকদের সংগঠন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সংকটের সমাধান করতে হবে। সরকার মুখে যা বলে কাজে তা করেনা। কাজে যা করে তা বলে না। তারা নিজেদের গণতান্ত্রিক সরকার বলে পরিচয় দেয়। বিএনপিকে বলে সন্ত্রাসী দল! তারা মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বার বার বিভ্রান্ত করছে। তারা হিটলারের মন্ত্রী গোয়েবলসের মতো মিথ্যাচার করছে। তবে এভাবে সরকারের শেষ রক্ষা হবেনা। ক্ষমতার মোহে অন্ধ হলে পায়ের মাটি কখন সরে যায় টের পাওয়া যায় না।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনোই স্বৈরশাসক কে মানেনি। যার প্রমাণ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। সেদিন কিন্তু দেশের জনগণ পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে ও গণতন্ত্রের দাবিতে জীবন দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছে। আমরা আবারও সবাইকে নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন ঘটাবো ইনশাআল্লাহ।