মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তবে এরপরও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মাস্ক ব্যবহার করছেন না। এ কারণে এই সপ্তাহে বাইডেন সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন।
সমালোচনা হলেও ৮০ বছর বয়সী বাইডেনকে মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। শুধু তা–ই নয়, সমালোচনার জবাবও দিয়েছেন বাইডেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর উদ্দেশে হাসতে হাসতে বাইডেন বলেছেন, মহামারিতে বিরক্ত মার্কিনিদের সঙ্গে তিনি এভাবে যোগাযোগ স্থাপন করেছেন।
গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশ নেওয়া প্রবীণ এক সেনার গলায় মেডেল অব অনার পরিয়ে দেওয়ার সময় বাইডেন মাস্ক খুলে ফেলেন। এ সময় থেকেই সমালোচনা শুরু হয়। কারণ, কয়েক ঘণ্টা আগেই মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, ফার্স্ট লেডি করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় বাইডেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন।
তবে এর পরদিন বুধবারও বাইডেন জাহাজঘাটের শ্রমিকদের চুক্তিসংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় কালো একটি মুখোশ খুলে বাতাসে ওড়াতে থাকেন। তিনি ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আজ আবার আমার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা না থাকলেও আমাকে ১০ দিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে।’ মাস্কটি ইঙ্গিত করে বাইডেন বলেন, ‘আমাকে এটি পরতে বলা হয়েছে।’ এরপর আবার হেসে বাইডেন বলেন, ‘তবে তাঁদের বলবেন না ঢোকার সময় আমি মাস্ক পরিনি, ঠিক আছে?’
জিল বাইডেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার বেড়েছে।
২০২২ সালে বাইডেন করোনায় আক্রান্ত হন। এই সপ্তাহে তিনি ভারতে জি–২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
বাইডেনের মাস্ক না পরাকে ভন্ডামি বলে সমালোচনা করেছে ফক্স নিউজ। নিউইয়র্ক পোস্টের টিভি হোস্ট পিয়েরস মার্গান বলেছেন, মেডেল প্রদান অনুষ্ঠানে বাইডেনের মাস্ক না পরা অসম্মানজনক।
তবে বাইডেনের মুখপাত্র কারিনে জেন পিয়েরে তাঁর পক্ষ নিয়ে বলেছেন বুধবারও করোনা পরীক্ষায় বাইডেনের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।