০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার ঝুমন দাসকে মারধরের হুমকি

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাও গ্রামের আলোচিত ঝুমন দাসকে হাত পা-ভেঙে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝুমন দাশ শাল্লা থানায় বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ঝুমন দাশ ২০২২ সালে খান বাহাদুর এহিয়া ওয়াকফ এস্টেট ও সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মোতাওয়াল্লী কার্যালয় থেকে শাল্লার ছন উল্লারখাল জলমহাল ১৪ লাখ পাঁচ হাজার টাকায় ইজারা নেন। এ সময় তিনি এই জলমহালের মালিকানা বিভিন্ন মানুষের কাছে শেয়ার হিসেব বণ্টন করেন। যার প্রমাণ চুক্তিপত্রও তার কাছে রয়েছে।

চলতি বছরের ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঝুমনের নিজ গ্রাম নোয়াগাও এর শৈলেন দাস (৪৫), রুপেশ দাস (৩৫), লোকেশ দাসসহ (৪২) আরও কয়েকজন এসে হঠাৎ জলমহালের মালিকানার টাকা দাবি করে বসে। ঝুমন দাস তাদের জলমহালের ব্যাপারে কোনো টাকা দেওয়া হয়নি জানালে বিবাদীরা উত্তেজিত হয়ে গালি দেন এবং ঝুমন দাসকে যে জায়গায় পাওয়া যাবে সেখানেই হাত পা ভেঙে পঙ্গু করে দেওয়ার হুমকি দেন।

ঝুমন দাশ বলেন, ‘জেল থেকে বের হওয়ার পর থেকেই আমি বেকার ছিলাম। জীবিকা নির্বাহের জন্য একটি জলমহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিই। তবে আমার কাছে এত টাকা না থাকায় কয়েকজনের কাছে শেয়ার হিসেবে মালিকানা দিই। যাদের দিয়েছি তাদের সঙ্গে আমার চুক্তিনামাও আছে। তবে গেল মঙ্গলবার আমাকে শৈলেন দাস, রুপেশ দাস, লোকেশ দাসসহ আরও কয়েকজন হাত-পা ভেঙে পঙ্গু করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। আমি এবং আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ঝুমন দাস গতকাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্তের জন্য একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ফেসবুকে হেফাজতের সাবেক নেতা কারাবন্দী মামুনুল হকের সমালোচনার অভিযোগে ২০২১ সালের ১৬ মার্চ গ্রেপ্তার হন শাল্লা উপজেলার দুর্গম নোয়াগাঁও গ্রামের যুবক ঝুমন দাশ। সাড়ে ছয় মাসের অধিক জেল খেটে ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি।

বিষয়

এবার ঝুমন দাসকে মারধরের হুমকি

প্রকাশিত: ০৫:২৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাও গ্রামের আলোচিত ঝুমন দাসকে হাত পা-ভেঙে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝুমন দাশ শাল্লা থানায় বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ঝুমন দাশ ২০২২ সালে খান বাহাদুর এহিয়া ওয়াকফ এস্টেট ও সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মোতাওয়াল্লী কার্যালয় থেকে শাল্লার ছন উল্লারখাল জলমহাল ১৪ লাখ পাঁচ হাজার টাকায় ইজারা নেন। এ সময় তিনি এই জলমহালের মালিকানা বিভিন্ন মানুষের কাছে শেয়ার হিসেব বণ্টন করেন। যার প্রমাণ চুক্তিপত্রও তার কাছে রয়েছে।

চলতি বছরের ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঝুমনের নিজ গ্রাম নোয়াগাও এর শৈলেন দাস (৪৫), রুপেশ দাস (৩৫), লোকেশ দাসসহ (৪২) আরও কয়েকজন এসে হঠাৎ জলমহালের মালিকানার টাকা দাবি করে বসে। ঝুমন দাস তাদের জলমহালের ব্যাপারে কোনো টাকা দেওয়া হয়নি জানালে বিবাদীরা উত্তেজিত হয়ে গালি দেন এবং ঝুমন দাসকে যে জায়গায় পাওয়া যাবে সেখানেই হাত পা ভেঙে পঙ্গু করে দেওয়ার হুমকি দেন।

ঝুমন দাশ বলেন, ‘জেল থেকে বের হওয়ার পর থেকেই আমি বেকার ছিলাম। জীবিকা নির্বাহের জন্য একটি জলমহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিই। তবে আমার কাছে এত টাকা না থাকায় কয়েকজনের কাছে শেয়ার হিসেবে মালিকানা দিই। যাদের দিয়েছি তাদের সঙ্গে আমার চুক্তিনামাও আছে। তবে গেল মঙ্গলবার আমাকে শৈলেন দাস, রুপেশ দাস, লোকেশ দাসসহ আরও কয়েকজন হাত-পা ভেঙে পঙ্গু করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। আমি এবং আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ঝুমন দাস গতকাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্তের জন্য একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ফেসবুকে হেফাজতের সাবেক নেতা কারাবন্দী মামুনুল হকের সমালোচনার অভিযোগে ২০২১ সালের ১৬ মার্চ গ্রেপ্তার হন শাল্লা উপজেলার দুর্গম নোয়াগাঁও গ্রামের যুবক ঝুমন দাশ। সাড়ে ছয় মাসের অধিক জেল খেটে ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি।