১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইতালি নেওয়ার কথা বলে তিন যুবককে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ

 

চাঁদপুরের কচুয়ায় তিন যুবককে ইতালি নেওয়ার কথা বলে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে ওই তিন যুবক লিবিয়ায় দলাল চক্রের হাতে আটক আছেন বলে তাঁদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী একজনের স্ত্রী কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সফিবাদ গ্রামের ইসমাইল মোল্লার ছেলে ইব্রাহিম, মৃত আবদুল জব্বার মোল্লার ছেলে কবির হোসেন ও নুরুল ইসলামের ছেলে ইব্রাহিমকে ইতালিতে পাঠানোর কথা বলে একই গ্রামের খোরশেদ আলম তাঁর জামাতা রাকিবের মাধ্যমে প্রতি পরিবার থেকে চার লাখ টাকা করে হাতিয়ে নেন। চলতি বছরের ১৯ জুলাই ইতালি নেওয়ার নামে ওই তিন যুবককে লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওই তিন যুবককে জিম্মি করে প্রত্যেকের পরিবারের কাছ থেকে পরে আরও দুই লাখ টাকা করে হাতিয়ে নেন দালাল খোরশেদ আলম। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের দাবি, ওই তিনজনকে কোনো কাজ দেওয়া হচ্ছে না; বরং আটকে রেখে তাঁদের নির্যাতন করা হচ্ছে।

এ তথ্য জানার পর ওই তিন যুবকের পরিবার বড় দুশ্চিন্তায় দিন পার করছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে গত শনিবার দালাল খোরশেদ আলমের বাড়িতে সালিস হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। ওই তিন যুবকের দ্রুত মুক্তি চেয়ে আজ বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা এবং এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছেন। এ জন্য প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে দালাল চক্রের সদস্য খোরশেদ আলম ও তাঁর জামাতা রাকিব হোসেনের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

এ নিয়ে খোরশেদ আলমের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাঁর বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়

ইতালি নেওয়ার কথা বলে তিন যুবককে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০১:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

 

চাঁদপুরের কচুয়ায় তিন যুবককে ইতালি নেওয়ার কথা বলে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে ওই তিন যুবক লিবিয়ায় দলাল চক্রের হাতে আটক আছেন বলে তাঁদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী একজনের স্ত্রী কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সফিবাদ গ্রামের ইসমাইল মোল্লার ছেলে ইব্রাহিম, মৃত আবদুল জব্বার মোল্লার ছেলে কবির হোসেন ও নুরুল ইসলামের ছেলে ইব্রাহিমকে ইতালিতে পাঠানোর কথা বলে একই গ্রামের খোরশেদ আলম তাঁর জামাতা রাকিবের মাধ্যমে প্রতি পরিবার থেকে চার লাখ টাকা করে হাতিয়ে নেন। চলতি বছরের ১৯ জুলাই ইতালি নেওয়ার নামে ওই তিন যুবককে লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওই তিন যুবককে জিম্মি করে প্রত্যেকের পরিবারের কাছ থেকে পরে আরও দুই লাখ টাকা করে হাতিয়ে নেন দালাল খোরশেদ আলম। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের দাবি, ওই তিনজনকে কোনো কাজ দেওয়া হচ্ছে না; বরং আটকে রেখে তাঁদের নির্যাতন করা হচ্ছে।

এ তথ্য জানার পর ওই তিন যুবকের পরিবার বড় দুশ্চিন্তায় দিন পার করছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে গত শনিবার দালাল খোরশেদ আলমের বাড়িতে সালিস হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। ওই তিন যুবকের দ্রুত মুক্তি চেয়ে আজ বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা এবং এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছেন। এ জন্য প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে দালাল চক্রের সদস্য খোরশেদ আলম ও তাঁর জামাতা রাকিব হোসেনের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

এ নিয়ে খোরশেদ আলমের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাঁর বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।