খুবই অপ্রত্যাশিত একটি সেশন শেষ করেছে বাংলাদেশ। ৪৭ রানে ছিল না ৪ উইকেট। দলকে এমন চরম বিপর্যয় থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেছেন মুশফিকুর রহিম ও শাহাদাত হোসেন। তবে এখনো চাপ থেকে পুরোপুরি সামলে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। হয়তো টেস্ট ম্যাচ বিবেচনায় সেই চাপ সামলে ওঠাও সম্ভব নয়। তবু এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে শান্তশিবিরে।
চরম বিপর্যয় থেকে কিছুটা টেনে তুলে লাঞ্চ বিরতিতে গেছেন মুশফিক ও শাহাদাত। এই দুই ব্যাটার যোগ করেছেন ৩৩ রান। প্রথম সেশনে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৮ ওভারের খেলা শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান। ২৮ রান নিয়ে খেলছেন মুশফিকুর রহিম, অপরপ্রান্তে ১৪ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় সেশন শুরু করবেন শাহাদাত।
এরপরের ১৮ রান তুলতেই আরও ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। বাজেভাবে আউট হয়ে ফিরেছেন মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
দিনের শুরুতেই বাজে ক্যাচে সাজঘরে ফিরে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের মুখে হাসি ফোটালেন জাকির। ২৪ বলে ৮ রান করে মিচেল স্যান্টনারকে আকাশে তুলে মিড-অন অঞ্চলে কেন উইলিয়ামসনের হাতে সহজ হন তিনি।
জাকিরের দেখানো পথে হাঁটলেন আগের ম্যাচে ৮৬ করা ওপেনার জয়ও। অ্যাজাজ প্যাটেলের বল ঠেকাতে গিয়ে শর্টলেগে টম ল্যাথামের হাতে ধরা পড়েন এই ডানহাতি ব্যাটার। ৪০ বলে ১৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান আগের টেস্টের প্রথম ইনিংসের সেরা ব্যাটার।
জয়কে ফেরানোর পর ব্যাক টু ব্যাক বল করতে এসে মুমিনুলকেও সাজঘরের পথ দেখান প্যাটেল। এটি তার দ্বিতীয় শিকার। বাঁহাতি কিউই স্পিনারের করা বল মুমিনুলের ব্যাটে চুমু দিয়ে উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলের হাতে ক্যাচ হয়।
আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো অধিনায়ক শান্ত এই ম্যাচে দলের হাল ধরতে পারলেন না। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে শান্তকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান স্যান্টনার। ১৪ বলে ৯ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
এর আগে শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ফলে প্রথম টেস্টের মতো বোলিং দিয়েই ম্যাচ শুরু করেছে কিউইরা।
সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ১৫০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ফলে এই টেস্ট জিতলে বা নিদেনপক্ষে ড্র করলেও প্রথমবারের মতো কিউইদের বিপক্ষে সিরিজ জয় নিশ্চিত হবে টাইগারদের।