সিলেটে আদালত প্রাঙ্গণে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ লায়েক।
আজ রবিবার দুপুরে সিলেটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আদালত চত্বর ও বারান্দায় তাকে কয়েকজন কিল-ঘুষি মারেন। এসময় পুলিশ তাদের বাঁধা দেয়।
পুলিশ জানায়, আজ (রবিবার) তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। পরে আবেদনের শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য্য করেন বিচারক।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে শনিবার ভোররাতে ঢাকার একটি আবাসিক এলাকা থেকে নারীসহ লায়েককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে সড়ক পথে সিলেট নিয়ে আসা হয়। এ সময় তিনি শারীরিক অসুস্থতাবোধ করলে ওইদিন সন্ধ্যায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। পরে তাঁকে কোতোয়ালি মডেল থানা হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. জিয়াউল হক বলেন, আবুল কালাম আজাদ লায়েকের বিরুদ্ধে নাশকতা, হত্যাচেষ্টা ও হত্যার অভিযোগে আদালত ও থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। এগুলো ৫ আগস্টের আগে আন্দোলন চলাকালীন দায়ের করা মামলা। এর মধ্যে বন্দরবাজার এলাকার একটি ঘটনায় তাঁকে ১০ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। এ জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। তবে রবিবার শুনানি হয়নি, পরবর্তীতে হবে।
আবুল কালাম আজাদ লায়েকে সিসিকের ৩ নং ওয়ার্ড থেকে পরপর দুইবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। সরকারি চাল সরিয়ে ফেলা, ভাতার জন্য চাঁদা দাবি করা ও নিজের কার্যালয়ে হামলার নাটক সাজানোসহ নানা অভিযোগে বিতর্কিত ছিলেন তিনি।