০৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইলিয়াস আলী সম্পর্কে যে তথ্য দিলেন মেজর জিয়াউল

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ডিবি পুলিশের রিমান্ডে দলটির মন্ত্রী-এমপি-নেতারা দিচ্ছেন চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য। পুলিশের জেরার মুখে আছেন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান।

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর গুম সম্পর্কে জিয়াউল আহসানকে প্রশ্ন করা হয়, ‘ইলিয়াস আলীকে কেন গুম করেছেন? ইলিয়াস আলীর বিষয়ে জিয়ার কাছে সুনির্দিষ্টভাবে প্রশ্ন ছিল, ‘ইলিয়াস আলীকে ফেরত পেতে তার স্ত্রী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। এরপর তিনি আপনাকে ফোনে বলেছিলেন, ইলিয়াসকে ছেড়ে দাও। আপনি ওই সময় বলেন, ‘ইলিয়াস আলীকে কিছুক্ষণ আগে শেষ করে দেয়া হয়েছে।’ এই সময় জিয়া আর কোনো মন্তব্য করেননি।

গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ফোনকল রেকর্ড করা প্রসঙ্গে জিয়াউল আহসানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার ওপর বিশেষ দায়িত্ব ছিল। আমার প্রতিষ্ঠান থেকে সবার মোবাইল ফোনকল রেকর্ড করা হয়নি। নির্দিষ্ট কিছু লোকের ফোনকল রেকর্ড করা হয়। কারো হোয়াটসঅ্যাপস কল রেকর্ড করা হয়নি। ভয় দেখানোর জন্য এটা ছড়ানো হয়েছে যে, হোয়াটসঅ্যাপ রেকর্ড করা হচ্ছে।

বহুল আলোচিত ‘আয়নাঘর’ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ওটা আমার বিষয় না। গ্রেপ্তারের আগে ৮ দিন আমাকেও সেখানে অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থায় রাখা হয়। এর কারণ হলো-আয়নাঘরের কারিগরদের কাছে যেসব সরঞ্জামাদি ছিল এনটিএমসি প্রতিষ্ঠার পরপর সেগুলো কিছু আমি নিয়ে আসি। এই কারণে তারা আমার প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল।

ডিবির কর্মকর্তা জিয়াকে প্রশ্ন করেন, ‘২০১৩ সালে আপানি র‌্যাবের ইন্টেলিজেন্স শাখার প্রধান ছিলেন তখন শাপলা চত্বরে এতগুলো মানুষ মারার প্রয়োজন কী ছিল?’

জবাবে জিয়াউল আহসান বলেন, ‘তৎকালীন আইজি, র‌্যাব ডিজি এবং পুলিশ কমিশনার আমাকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমি চেষ্টা করেছি, যে কোনো মূল্যে শাপলা চত্বর ফাঁকা করার। আমরা ফাঁকা গুলি করেছি। তবে সেখানে কোনো লোক মারা যায়নি।’

বিষয়

ইলিয়াস আলী সম্পর্কে যে তথ্য দিলেন মেজর জিয়াউল

প্রকাশিত: ১২:০৮:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ডিবি পুলিশের রিমান্ডে দলটির মন্ত্রী-এমপি-নেতারা দিচ্ছেন চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য। পুলিশের জেরার মুখে আছেন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান।

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর গুম সম্পর্কে জিয়াউল আহসানকে প্রশ্ন করা হয়, ‘ইলিয়াস আলীকে কেন গুম করেছেন? ইলিয়াস আলীর বিষয়ে জিয়ার কাছে সুনির্দিষ্টভাবে প্রশ্ন ছিল, ‘ইলিয়াস আলীকে ফেরত পেতে তার স্ত্রী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। এরপর তিনি আপনাকে ফোনে বলেছিলেন, ইলিয়াসকে ছেড়ে দাও। আপনি ওই সময় বলেন, ‘ইলিয়াস আলীকে কিছুক্ষণ আগে শেষ করে দেয়া হয়েছে।’ এই সময় জিয়া আর কোনো মন্তব্য করেননি।

গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ফোনকল রেকর্ড করা প্রসঙ্গে জিয়াউল আহসানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার ওপর বিশেষ দায়িত্ব ছিল। আমার প্রতিষ্ঠান থেকে সবার মোবাইল ফোনকল রেকর্ড করা হয়নি। নির্দিষ্ট কিছু লোকের ফোনকল রেকর্ড করা হয়। কারো হোয়াটসঅ্যাপস কল রেকর্ড করা হয়নি। ভয় দেখানোর জন্য এটা ছড়ানো হয়েছে যে, হোয়াটসঅ্যাপ রেকর্ড করা হচ্ছে।

বহুল আলোচিত ‘আয়নাঘর’ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ওটা আমার বিষয় না। গ্রেপ্তারের আগে ৮ দিন আমাকেও সেখানে অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থায় রাখা হয়। এর কারণ হলো-আয়নাঘরের কারিগরদের কাছে যেসব সরঞ্জামাদি ছিল এনটিএমসি প্রতিষ্ঠার পরপর সেগুলো কিছু আমি নিয়ে আসি। এই কারণে তারা আমার প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল।

ডিবির কর্মকর্তা জিয়াকে প্রশ্ন করেন, ‘২০১৩ সালে আপানি র‌্যাবের ইন্টেলিজেন্স শাখার প্রধান ছিলেন তখন শাপলা চত্বরে এতগুলো মানুষ মারার প্রয়োজন কী ছিল?’

জবাবে জিয়াউল আহসান বলেন, ‘তৎকালীন আইজি, র‌্যাব ডিজি এবং পুলিশ কমিশনার আমাকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমি চেষ্টা করেছি, যে কোনো মূল্যে শাপলা চত্বর ফাঁকা করার। আমরা ফাঁকা গুলি করেছি। তবে সেখানে কোনো লোক মারা যায়নি।’