০৯:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্দোলন থামছে না সিমেবিতে, গা-ঢাকা দিয়েছেন ভিসি-রেজিস্ট্রার

আন্দোলন থামছে না সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিমেবি)। ভিসি, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গেল এক সাপ্তাহ ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে আন্দোলনকারীরা। মিছিলটি নগরের আম্বরখানা পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন, অফিসার্স এসোসিয়েশন এর যুগ্ন আহ্বায়ক মাইদুল ইসলাম চৌধুরী, কর্মচারী পরিষদ এর আহ্বায়ক মুহাজিরুল ইসলাম, সদস্য সচিব নাদীম সীমান্ত, সদস্য আব্দুস সামাদ চৌধুরী ও আহসান উদ্দিন প্রমূখ।

এদিকে, দীর্ঘ এক সাপ্তাহ ধরে এক দফা দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে গা-ঢাকা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার। তারা কেউই অফিসে আসছেন না। বন্ধ রয়েছে তাদের ব্যবহৃত মুঠোফোন। আবার মাঝে মধ্যে কল ঢুকলেও রিসিভ হচ্ছে না। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বন্ধ রয়েছে অফিসিয়াল কার্যক্রম। অন্যদিকে আন্দোলনকারীরা বলছেন তাদের এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশও করেন তারা।

আন্দোলনকারীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার চোখের ডাক্তার প্রফেসর ডা. এনায়েত হোসেন ও ট্রেজারার শাহ আলম ও রেজিস্ট্রার (এ্যাডহেক) আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি করে যাচ্ছেন। তারা আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে নানা অপকর্ম করেছেন। এজন্য তারা তাদের পদত্যাগ চান। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

এর আগে, গত সেমবার (১২ আগস্ট) ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারকে পদত্যাগের জন্য ৪৮ ঘন্টার সময় বেঁধে দেন বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে (এ্যাডহেক) ভিত্তিতে রেজিস্ট্রার পদে আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান নিয়োগ পান। এরপর থেকেই নানা অনিয়ম শুরু করেন। তাঁর এসব দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে স্থানীয় পত্রিকা ও বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবুও ক্ষমতার দাপট ও ভিসির একচ্ছত্র মদদে তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন। শুধু তাই নয় আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তাঁর ভয়ে তটস্থ ছিলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তিনি তাঁর পছন্দের কয়েজন কর্মকর্তাকে দিয়ে আলাদা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন। এই সিন্ডিকেট দিয়েই নানা অপকর্ম করাতেন তিনি। তাঁকে মদদ দিচ্ছেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. এনায়েত হোসেন।

বিষয়

আন্দোলন থামছে না সিমেবিতে, গা-ঢাকা দিয়েছেন ভিসি-রেজিস্ট্রার

প্রকাশিত: ০৬:২৩:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

আন্দোলন থামছে না সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিমেবি)। ভিসি, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গেল এক সাপ্তাহ ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে আন্দোলনকারীরা। মিছিলটি নগরের আম্বরখানা পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন, অফিসার্স এসোসিয়েশন এর যুগ্ন আহ্বায়ক মাইদুল ইসলাম চৌধুরী, কর্মচারী পরিষদ এর আহ্বায়ক মুহাজিরুল ইসলাম, সদস্য সচিব নাদীম সীমান্ত, সদস্য আব্দুস সামাদ চৌধুরী ও আহসান উদ্দিন প্রমূখ।

এদিকে, দীর্ঘ এক সাপ্তাহ ধরে এক দফা দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে গা-ঢাকা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার। তারা কেউই অফিসে আসছেন না। বন্ধ রয়েছে তাদের ব্যবহৃত মুঠোফোন। আবার মাঝে মধ্যে কল ঢুকলেও রিসিভ হচ্ছে না। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বন্ধ রয়েছে অফিসিয়াল কার্যক্রম। অন্যদিকে আন্দোলনকারীরা বলছেন তাদের এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশও করেন তারা।

আন্দোলনকারীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার চোখের ডাক্তার প্রফেসর ডা. এনায়েত হোসেন ও ট্রেজারার শাহ আলম ও রেজিস্ট্রার (এ্যাডহেক) আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি করে যাচ্ছেন। তারা আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে নানা অপকর্ম করেছেন। এজন্য তারা তাদের পদত্যাগ চান। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

এর আগে, গত সেমবার (১২ আগস্ট) ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারকে পদত্যাগের জন্য ৪৮ ঘন্টার সময় বেঁধে দেন বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে (এ্যাডহেক) ভিত্তিতে রেজিস্ট্রার পদে আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান নিয়োগ পান। এরপর থেকেই নানা অনিয়ম শুরু করেন। তাঁর এসব দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে স্থানীয় পত্রিকা ও বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবুও ক্ষমতার দাপট ও ভিসির একচ্ছত্র মদদে তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন। শুধু তাই নয় আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তাঁর ভয়ে তটস্থ ছিলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তিনি তাঁর পছন্দের কয়েজন কর্মকর্তাকে দিয়ে আলাদা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন। এই সিন্ডিকেট দিয়েই নানা অপকর্ম করাতেন তিনি। তাঁকে মদদ দিচ্ছেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. এনায়েত হোসেন।