বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, আজ শুক্রবার পহেলা ভাদ্র অর্থাৎ ঋতুরাণী শরতের প্রথম দিন।
শরতের সৌন্দর্য আবহমান বাংলার প্রকৃতিতে ঋতুবৈচিত্র্যের অন্যতম অনুঘটক। আষাঢ়-শ্রাবণের বৃষ্টিমুখর দিন শেষে শরতেই প্রকৃতি হয়ে ওঠে শুভ্র ও সবুজ। আকাশে ওড়ে পেঁজা তুলার মতো মেঘ; ঘাসের বনে বাতাসে দোলে সাদা কাশফুল। শরতের এমন মোহনীয় সৌন্দর্যের জন্যই তাকে ঋতুরানী বলা হয়। শরতের রূপের প্রেমে পড়ে কত যে কবি-সাহিত্যিক এ ঋতু নিয়ে সাহিত্য রচনা করেছেন, তার হিসাব নেই।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর লেখায় শরৎকে এভাবে উপস্থাপন করেছেন– ‘আমরা বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ, আমরা গেঁথেছি শেফালিমালা–/নবীন ধানের মঞ্জরী দিয়ে সাজিয়ে এনেছি ডালা।/এসো গো শারদলক্ষ্মী, তোমার শুভ্র মেঘের রথে,/ এসো নির্মল নীলপথে…’। কবি বিনয় মজুমদার তাঁর কবিতায় লিখেছেন– ‘শরতের দ্বিপ্রহরে সুধীর সমীর-পরে জল-ঝরা শাদা শাদা মেঘ উড়ে যায়; ভাবি, একদৃষ্টে চেয়ে, যদি ঊর্ধ্ব পথ বেয়ে শুভ্র অনাসক্ত প্রাণ অভ্র ভেদি ধায়!’
এ ছাড়া আমাদের দেশে শরৎ মানে গাছে গাছে পাকা তাল। সেই তাল দিয়ে তৈরি হয় পিঠা-পায়েস। সঙ্গে ক্ষেতে আমন ধানের বেড়ে ওঠা চারা। শরতের রাতে জ্যোৎস্নার বিমোহিত রূপও অভাবনীয়।