০৭:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাষ্ট্রীয় শোক প্রত্যাখ্যান

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি

ছবি- ডেইলি স্টার বাংলা

সরকারের ঘোষিত রাষ্ট্রীয় শোক প্রত্যাখ্যান করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) চোখে ও মুখে লাল কাপড় বেঁধে অনলাইনে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তারা।

সোমবার ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এই কর্মসূচি ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রিফাত রশিদ। কর্মসূচি সফল করতে দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ করেন ছাত্রনেতারা।

শুরুতে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে দেশবাসী ও ছাত্র জনতাকে তাদের অপরিসীম ত্যাগ-তিতিক্ষা ও আত্ম বলিদানের জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয় – আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে শত শত শিক্ষার্থী নিহত ও হাজারো ছাত্র-জনতা আহত হয়ে যখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে তখনও শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নিয়ে একাত্তরের হানাদার বাহিনীর মতো মধ্যরাতে বাসা বাড়িতে রেইড ব্লকের মাধ্যমে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে রিমান্ডের নামে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর নির্যাতন চালানো হচ্ছে।

বর্তমান সরকারের কর্তাব্যক্তিরা সংকট নিরসনে শিক্ষার্থীদের দাবি না মেনে নির্মমভাবে শিক্ষার্থীদের দমন নিপীড়ন ও মানুষের জীবন থেকে রাষ্ট্রীয় সম্পদকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ায় প্রচার করছে এবং মিডিয়ার সামনে দেওয়া সরকারের কর্তাব্যক্তিদের মায়াকান্না প্রচার করছে। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর গণহত্যা ও নির্যাতনের বিচার না করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিদিন যে নির্মম উপহাস করা হচ্ছে। প্রচার কর্মসূচি করার জন্য অনুরোধ করছি।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে ছাত্রনেতারা বলেন, ছাত্রসমাজের বুকে গুলি চালিয়ে বাংলার ইতিহাসে কোনো আন্দোলন দমন করা যায়নি। অবিলম্বে ছাত্রসমাজের নয় দফা দাবি মেনে নিয়ে দেশকে স্থিতিশীল করুন।

রাষ্ট্রীয় শোক প্রত্যাখ্যান

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি

প্রকাশিত: ১২:১৩:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

সরকারের ঘোষিত রাষ্ট্রীয় শোক প্রত্যাখ্যান করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) চোখে ও মুখে লাল কাপড় বেঁধে অনলাইনে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তারা।

সোমবার ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এই কর্মসূচি ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রিফাত রশিদ। কর্মসূচি সফল করতে দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ করেন ছাত্রনেতারা।

শুরুতে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে দেশবাসী ও ছাত্র জনতাকে তাদের অপরিসীম ত্যাগ-তিতিক্ষা ও আত্ম বলিদানের জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয় – আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে শত শত শিক্ষার্থী নিহত ও হাজারো ছাত্র-জনতা আহত হয়ে যখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে তখনও শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নিয়ে একাত্তরের হানাদার বাহিনীর মতো মধ্যরাতে বাসা বাড়িতে রেইড ব্লকের মাধ্যমে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে রিমান্ডের নামে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর নির্যাতন চালানো হচ্ছে।

বর্তমান সরকারের কর্তাব্যক্তিরা সংকট নিরসনে শিক্ষার্থীদের দাবি না মেনে নির্মমভাবে শিক্ষার্থীদের দমন নিপীড়ন ও মানুষের জীবন থেকে রাষ্ট্রীয় সম্পদকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ায় প্রচার করছে এবং মিডিয়ার সামনে দেওয়া সরকারের কর্তাব্যক্তিদের মায়াকান্না প্রচার করছে। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর গণহত্যা ও নির্যাতনের বিচার না করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিদিন যে নির্মম উপহাস করা হচ্ছে। প্রচার কর্মসূচি করার জন্য অনুরোধ করছি।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে ছাত্রনেতারা বলেন, ছাত্রসমাজের বুকে গুলি চালিয়ে বাংলার ইতিহাসে কোনো আন্দোলন দমন করা যায়নি। অবিলম্বে ছাত্রসমাজের নয় দফা দাবি মেনে নিয়ে দেশকে স্থিতিশীল করুন।