কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সহিংসতায় নিহত, নির্যাতন, গুলি ও গণগ্রেফতারের ঘটনায় শিক্ষক, আইনজীবী, সংস্কৃতি কর্মী ও অভিভাবক ও প্রথিতযশা ব্যক্তির সমন্বয়ে একটি ‘জাতীয় গণতদন্ত’ কমিশন গঠন করা হয়েছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এক আইনজীবী সমাবেশে এই জাতীয় গণতদন্ত কমিশন গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন,‘ছাত্রদের আট দফা দাবি খুবই যৌক্তিক থাকার পরও এতোগুলো ছাত্রকে হত্যা করা হলো। রাতের অন্ধকারে কেন ব্লক রেড করে বাসা থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে কোন অধিকারে। কোন আইনে এই অধিকার দিয়েছে। আমরা ধিক্কার দেই। যে রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। পদে পদে সরকার তা বরখেলাপ করে যাচ্ছে।’
কমিশনের সদস্যরা হলেন- আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল, সাবেক বিচারপতি মো. আব্দুল মতিন, সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সিনিয়র সাংবাদিক আবু সাইয়িদ খান, ঢাকা বিশ্বাবদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরিন, সিনিয়র সাংবাদিক আশরাফ কায়সার, আইনজীবী অনীক আর হক, অধ্যাপক তানজিমুদ্দিন খান, লেখক ও গবেষক মাহা মির্জা, বিচারপতি মো. আব্দুল মতিন ও সুলতানা কামাল কমিশনের যুগ্ম সভপতি হবেন। কমিশনের সদস্য সচিব করা হয়েছে অধ্যাপক তানজিমুদ্দিন খান ও মাহা মির্জাকে।
এছাড়াও উপদেষ্টা করা হয়েছে- সিনিয়র আইনজীবী তোবারক হোসেন, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ড. শাহদীন মালিক, লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যপক সলিমুল্লাহ্ খান, শিক্ষক কাজী মাহফুজুল হক সুপন, আইনজীবী রাশনা ইমাম, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও শিক্ষক সাইমুম রেজা তালুকদারকে।