০৪:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার

ছবি-সংগৃহীত

এক ভিডিও বার্তায় কোটা আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার ঘোষণা দিয়েছেন ডিবি পুলিশের হেফাজতে থাকা ছয় সমন্বয়ক।

রোববার (২৮ জুলাই) রাতে ডিবি কার্যালয় থেকে এক ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

ভিডিও বার্তায় নাহিদ ইসলাম বলেন, সরকার কোটার মূল দাবি মেনে নেওয়ায় আমরা সব আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার ঘোষণা করছি। তিনি বলেন, আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অনেকে অপ্রত্যাশিতভাবে আহত এবং নিহত হয়েছেন। এছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ নানা সহিংস ঘটনার তীব্র নিন্দা ও সুষ্ঠু-তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

নাহিদ আরও বলেন, আমাদের মূল দাবি এরই মধ্যে পূরণ হয়েছে। এখন দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই। এ মুহূর্ত থেকে আমরা আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ ও নুসরাত তাবাসসুমস।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন গত ১৮ জুলাই থেকে সংঘাত-সহিংসতায় রূপ নেয়। পরদিন সংঘাত-সহিংসতা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত সহিংসতায় ছাত্র-জনতাসহ ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও আন্দোলনকারীদের দাবি, নিহতের সংখ্যা ২৬৬।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত ১৯ জুলাই রাত থেকে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার। মাঠে নামানো হয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ১২:৩০:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪

এক ভিডিও বার্তায় কোটা আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার ঘোষণা দিয়েছেন ডিবি পুলিশের হেফাজতে থাকা ছয় সমন্বয়ক।

রোববার (২৮ জুলাই) রাতে ডিবি কার্যালয় থেকে এক ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

ভিডিও বার্তায় নাহিদ ইসলাম বলেন, সরকার কোটার মূল দাবি মেনে নেওয়ায় আমরা সব আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার ঘোষণা করছি। তিনি বলেন, আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অনেকে অপ্রত্যাশিতভাবে আহত এবং নিহত হয়েছেন। এছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ নানা সহিংস ঘটনার তীব্র নিন্দা ও সুষ্ঠু-তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

নাহিদ আরও বলেন, আমাদের মূল দাবি এরই মধ্যে পূরণ হয়েছে। এখন দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই। এ মুহূর্ত থেকে আমরা আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ ও নুসরাত তাবাসসুমস।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন গত ১৮ জুলাই থেকে সংঘাত-সহিংসতায় রূপ নেয়। পরদিন সংঘাত-সহিংসতা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত সহিংসতায় ছাত্র-জনতাসহ ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও আন্দোলনকারীদের দাবি, নিহতের সংখ্যা ২৬৬।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত ১৯ জুলাই রাত থেকে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার। মাঠে নামানো হয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের।