০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটে অসহ্য গরমে কাহিল জনজীবন

ছবি-সংগৃহীত

রোদের তেজে পুড়ছে সিলেট। কড়া রোদ আর তীব্র গরমে কাহিল জনজীবন। ঘরেও মিলছেনা রেহাই। আর জরুরী প্রয়োজনে যারা ঘরের বাইরে বেরিয়েছেন রোদের তেজে তারাও বেশিক্ষণ থাকতে পারেছ না। সবচেয়ে বেশি কষ্ঠে আছেন সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষ, বয়স্ক ও শিশুরা।

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় সিলেটের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

আজ সকাল থেকেই কাঠফাটা রোদের কারণে নগরের রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কম দেখা গেছে। একান্ত প্রয়োজনে যারা বেরিয়েছেন গরমে তাদের হাঁসফাঁস অবস্থা। অনেকেই গাছের নিচে কিংবা ছায়া পেলেই একটুখানি ঝিরিয়ে নিচ্ছেন।
অপরদিকে প্রচন্ড গরমে নগরে ডাব ও লেবুর শরবতের চাহিদা বেড়েছে। সড়কের পাশে ভ্রাম্যমান দোকানে লাইন ধরে সাধারণ মানুষকে ডাব ও লেবুর শরবত পান করতে দেখা যায়। আর শিশুরা ঝুঁকছেন আইসক্রিমে।

নগরের চৌহাট্টা এলকায় ভ্রাম্যমান শরবত বিক্রেতা জাকির মিয়া জানান, গত দুই তিন ধরে পচন্ড গরম পড়েছে। তাঁর বেচাবিক্রিও বেড়েছে। দিনে ৩ থেকে ৪০০ গ্লাস শরবত বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান।

সিলেটে চলতি বছর গড় তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৬ ডিগ্রির মধ্যেই উঠানামা করছিল। এ বছরে বৃষ্টিপাত বেশি হলেও সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের কারণে আবহাওয়া রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। এ বছরে মে মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সিলেটে ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, গরমের প্রভাব বেড়েছে। সাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপে আবহাওয়ার তারতম্য হচ্ছে। তবে সিলেটে আজও আগামীকাল ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

সিলেটে অসহ্য গরমে কাহিল জনজীবন

প্রকাশিত: ০৬:৪১:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

রোদের তেজে পুড়ছে সিলেট। কড়া রোদ আর তীব্র গরমে কাহিল জনজীবন। ঘরেও মিলছেনা রেহাই। আর জরুরী প্রয়োজনে যারা ঘরের বাইরে বেরিয়েছেন রোদের তেজে তারাও বেশিক্ষণ থাকতে পারেছ না। সবচেয়ে বেশি কষ্ঠে আছেন সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষ, বয়স্ক ও শিশুরা।

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় সিলেটের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

আজ সকাল থেকেই কাঠফাটা রোদের কারণে নগরের রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কম দেখা গেছে। একান্ত প্রয়োজনে যারা বেরিয়েছেন গরমে তাদের হাঁসফাঁস অবস্থা। অনেকেই গাছের নিচে কিংবা ছায়া পেলেই একটুখানি ঝিরিয়ে নিচ্ছেন।
অপরদিকে প্রচন্ড গরমে নগরে ডাব ও লেবুর শরবতের চাহিদা বেড়েছে। সড়কের পাশে ভ্রাম্যমান দোকানে লাইন ধরে সাধারণ মানুষকে ডাব ও লেবুর শরবত পান করতে দেখা যায়। আর শিশুরা ঝুঁকছেন আইসক্রিমে।

নগরের চৌহাট্টা এলকায় ভ্রাম্যমান শরবত বিক্রেতা জাকির মিয়া জানান, গত দুই তিন ধরে পচন্ড গরম পড়েছে। তাঁর বেচাবিক্রিও বেড়েছে। দিনে ৩ থেকে ৪০০ গ্লাস শরবত বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান।

সিলেটে চলতি বছর গড় তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৬ ডিগ্রির মধ্যেই উঠানামা করছিল। এ বছরে বৃষ্টিপাত বেশি হলেও সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের কারণে আবহাওয়া রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। এ বছরে মে মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সিলেটে ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, গরমের প্রভাব বেড়েছে। সাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপে আবহাওয়ার তারতম্য হচ্ছে। তবে সিলেটে আজও আগামীকাল ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।