সারা দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যালয় ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটসমূহের শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, গত রোববার (১৪ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’
প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে ক্ষিপ্ত হন আন্দোলনকারীরা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য প্রত্যাহার এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে ওইদিন মধ্যরাত থেকে আন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এরপর গতকাল সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর থেকে আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ। এতে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর রাত ১০টার পর আন্দোলনকারীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং সারা দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে তাদের সমর্থনে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে রাজধানীর ১৫ থেকে ২০টি স্থানে একযোগে সড়ক অবরোধ শুরু করেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, বগুড়াসহ দেশের প্রায় সর্বত্র শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে এসেছেন।
এদিকে, দুপুরের পর থেকে ঢাকার সায়েন্সল্যাব এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়।
শেষ খবর পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, রংপুর ও রাজশাহীতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
সূত্র: ঢাকা মেইল